আয়ুর্বেদ বহু প্রাচীনকাল থেকেই ভারতে চলে আসছে। এর মাধ্যমে খুব সহজেই ব্রণ সারিয়ে তোলা যায়। আর এগুলো আপনি খুব দ্রুত ব্যবহার করতে পারবেন। পুরো মুখেও প্যাক লাগানোর প্রয়োজন পড়বে না শুধু ব্রণর উপরে লাগালেই হবে। ব্রণের সাথে সাথে দাগছোপও উঠে যাবে।
তুলসি আর হলুদের ফেসপ্যাক: প্রত্যেকের বাড়িতেই তুলসি গাছ রয়েছে। আর হলুদ তো রান্নাঘরে থাকেই। এই দুটি উপাদান দিয়েই বানিয়ে নিন ব্রণর নিরাময়কারী উপাদান। প্রথমে কাঁচা হলুদ দু`চামচ পরিমাণ বেটে নিন। সাথে কুড়ি-পঁচিশটা তুলসি পাতা ভালো করে ধুয়ে বেটে নিন। এই তুলসি পাতা বাটা আর কাঁচা হলুদ বাটা একসঙ্গে মিশিয়ে নিয়ে ব্রণর উপরে লাগিয়ে রাখুন, শুকিয়ে গেলে ধুয়ে নেবেন।
নিমপাতা আর গোলাপজলের মিশ্রণ: নিমপাতা খুবই ভালো অ্যান্টিসেপটিক আর গোলাপজল ত্বক স্নিগ্ধ আর সতেজ রাখে। বেশ কয়েকটি নিমপাতা নিয়ে পাতাগুলো ধুয়ে জলে কিছুক্ষন ফোটান। তারপর জল থেকে পাতা তুলে মিহি করে বেটে নিন। এবার পাতা বাটায় দু` চাচামচ পরিমাণ গোলাপজল মেশান। এই মিশ্রণটা ব্রণর উপরে লাগিয়ে রাখুন, শুকিয়ে গেলে ঠান্ডা জল দিয়ে ধুয়ে ফেলুন।
মধু: অনেক ধরণের আয়ুর্বেদিক ওষুধে মধুর ব্যবহার হয়ে থাকে। ব্যাকটেরিয়া নষ্ট করার ক্ষমতা আছে মধুর মধ্যে। এক চাচামচ খাঁটি মধুতে অল্প তুলো ডুবিয়ে ব্রণর উপরে লাগিয়ে রেখে দিন। আধ ঘণ্টা পরে ধুয়ে ফেলুন।
লেবু আর জল: খুবই সাধারণ উপাদান কিন্তু লেবুর ভিটামিন সি ব্রণ কমাতে দারুণ কার্যকরী। প্রথমে দুটো পাতিলেবু চিপে রস বের করে নিন। এবার এই রসে দু`চামচ জল মেশান। মিশ্রণে তুলো ভিজিয়ে ব্রণর উপরে লাগিয়ে দিন। খুব দ্রুত ব্রণ শুকিয়ে যাবে এতে।
আপনার মতামত লিখুন :