শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল, ২০২৪

ডায়পার পরে তাক লাগানো ব্যাটিং, জিতেছিল তেন্ডুলকরের মন! বাংলা থেকে মুম্বই উড়ে গেল খুদে

মৌসুমী মোদক

প্রকাশিত: মার্চ ১৪, ২০২২, ০২:০৮ পিএম | আপডেট: মার্চ ১৪, ২০২২, ০৮:০৮ পিএম

ডায়পার পরে তাক লাগানো ব্যাটিং, জিতেছিল তেন্ডুলকরের মন! বাংলা থেকে মুম্বই উড়ে গেল খুদে
ডায়পার পরে তাক লাগানো ব্যাটিং, জিতেছিল তেন্ডুলকরের মন! বাংলা থেকে মুম্বই উড়ে গেল খুদে

বেহালার মুচি পাড়ার ছেলে শেখ শাহিদ। বয়স মাত্র পাঁচ। এই বয়সেই সে ক্রিকেট অন্ত প্রাণ। সেই ডায়পার পরার বয়স থেকেই ব্যাট হাতে সারাদিন কেটে যায় এই খুদের। শচীন তেন্ডুলকরের বড় ভক্ত সে। তার ছোট্ট দু চোখের একটাই স্বপ্ন, তেন্ডুলকরের মতো বড় ক্রিকেটার হয়ে ওঠার। আর সেই যাত্রাপথে একবার হলেও ক্রিকেট ঈশ্বরের সঙ্গে মোলাকাত করার। অবশেষে খুদের সেই স্বপ্নই এবার পূরণ হল। শাহিদকে নিজের খরচে বাংলা থেকে মুম্বই উড়িয়ে নিয়ে গেলেন স্বয়ং তেন্ডুলকর।

এবার প্রশ্ন হল, কীভাবেই পা এই খুদের খোঁজ পেলেন মাস্টার ব্লাস্টার? কেনই বা শাহিদকে তিনি উড়িয়ে নিয়ে গেলেন মুম্বইতে? এর নেপথ্য কাহিনী জানতে আড়াই বছর আগে ফিরে তাকাতে হবে। সে সময় সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়েছিল শাহিদের ব্যাটিং করার একটি ভিডিও। মাত্র আড়াই বছর বয়সে ডায়পার পরে ব্যাট হাতে ছাদে ব্যাটিং করছিল সে। আর ওইটুকু বয়সে খুদেটির এমন সাবলীল ব্যাটিং মুগ্ধ করেছিল শচীন তেন্ডুলকর থেকে শুরু করে বিরাট কোহলি, কেভিন পিটারসেনের মতো ক্রিকেট ব্যক্তিত্বকে। এমনকি খুদেকে দেখতে স্বয়ং এসে পৌঁছন অস্ট্রেলিয়ার কিংবদন্তি স্টিভ ওয়া-ও।

তবে তাতেও মন ভরেনি ছোট্ট শাহিদের। তাঁর যে স্বপ্ন ছিল নিজের সবচেয়ে পছন্দের তারকা শচীনের সঙ্গে দেখা করার। আর সে কথা জানতে পেরেই এবার শাহিদকে নিজস্ব খরচে মুম্বই উড়িয়ে নিয়ে গেলেন মাস্টার ব্লাস্টার। সঙ্গে ছিলেন শাহিদের মা-বাবাও৷ মুম্বইতে পৌঁছে নবি মুম্বইয়ের ডি ওয়াই পাটিল স্টেডিয়ামে মিডলসেক্স গ্লোবাল অ্যাকাডেমির নেটে শাহিদকে অনুশীলনও করান শচীন। মন দিয়ে দেখেন শাহিদের ব্যাটিং। হাতে ধরে দেখিয়ে দেন ব্যাটিং করার স্টাইল, বল মারার পদ্ধতি। আর নেটে এই বিস্ময় প্রতিভার অনুশীলন দেখে ফের মুগ্ধ হন তেন্ডুলকর।

অন্যদিকে, নিজের স্বপ্ন পূরণ হওয়ায় যাহাপরনাই উচ্ছ্বসিত শাহিদ। ক্রিকেট ঈশ্বরের সঙ্গে সরাসরি দেখা করে এবং তার থেকে ব্যাটিং-এর টিপস পেয়ে মারাত্মক খুশি এই খুদে৷ ছেলের এভাবে স্বপ্ন সত্যি হওয়ায় খুশি শাহিদের বাবা শেখ সামসেরও। এবার ছেলেকে ক্রিকেটার হিসাবে প্রতিষ্ঠিত করার লক্ষ্যেই যেন চেয়ে রয়েছেন তিনি।