ক্রিকেটের ময়দানে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ এবং কঠিন কাজগুলির মধ্যে অন্যতম হচ্ছে অধিনায়কত্ব (Captaincy)। দলকে সঠিকভাবে নেতৃত্ব দেওয়া মুখের কথা নয়। তেমনই সহজ নয় নিজে অধিনায়কত্ব করেও ক্রিকেটের প্রতিটি ফর্ম্যাটে সেঞ্চুরি হাঁকানো। ক্রিকেটের ইতিহাসে এমন অধিনায়কের সংখ্যাও খুব কম যাঁরা দলকে নেতৃত্ব দিয়ে সেঞ্চুরি করে ম্যাচ জিতিয়েছেন। তাও আবার তিন ফর্ম্যাটেই। এই তালিকায় রয়েছে মাত্র তিন নাম। দেখে নেওয়া যাক সেই তালিকা।
তিলকরত্নে দিলশান (Thilakarathne Dilshan)
শ্রীলঙ্কার প্রাক্তন ক্রিকেটার দিলশান, ব্যাট, বল এবং উইকেটকিপিং তিন ক্যাটাগরিতেই দক্ষ খেলোয়াড় হিসেবে পরিচিত ছিলেন। মূলত স্কুপ শট খেলতেন তিনি। যা পরবর্তীতে তাঁর নামের সঙ্গে মিলিয়ে `দিলস্কুপ` নাম রাখা হয়। একদিনের আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে দিলশান ৩৩০টি ম্যাচে রান করেছেন ১০,২৯০। সেঞ্চুরির সংখ্যা ২২। ৮৭টি টেস্টে তাঁর রান ৫,৪৯২। যার মধ্যে সেঞ্চুরি ১৬টি। অন্যদিকে, কেরিয়ারের একমাত্র আন্তর্জাতিক টি-২০ সেঞ্চুরিটি তিনি করেন ২০১১ সালে, পাল্লেকেলেতে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে।
ফাফ ডু প্লেসিস (Faf Du Plessis)
তিন ফরম্যাটেই সেঞ্চুরি পাওয়া একমাত্র দক্ষিণ আফ্রিকান খেলোয়াড় ফাফ ডু প্লেসিস। দক্ষিণ আফ্রিকা অধিনায়ক থাকাকালীনই এই নজির গড়েন তিনি। নিজের অধিনায়কত্বে প্রথম ২০১৬ সালে নিউজিল্যান্ডের বিরুদ্ধে টেস্টে সেঞ্চুরি করেন ডু প্লেসিস। খেলেছিলেন ১১২ রানের দুর্দান্ত ইনিংস। ওই সালেই অধিনায়ক হিসেবে ওয়ানডে-তে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে ১১১ রানের দুরন্ত ইনিংস খেলেন তিনি। আবার ২০১৫ সালে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে হাঁকান কেরিয়ারের প্রথম টি-২০ সেঞ্চুরি। তিন ফরম্যাটেই তাঁর সেঞ্চুরি এসেছে প্রোটিয়াদের অধিনায়ক থাকাকালীন।
বাবর আজম (Babar Azam)
পাকিস্থানের বর্তমান অধিনায়ক বাবর আজমেরও তিন ফর্ম্যাটে সেঞ্চুরি রয়েছে। অধিনায়ক থাকা অবস্থায় অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে টেস্টে ১৯৬ রানের দুর্দান্ত এক ইনিংস খেলেন তিনি৷ অধিনায়ক থাকাকালীনই ওয়ানডে-তে প্রথম সেঞ্চুরি আসে ২০১৯ সালে জিম্বাবোয়ের বিরুদ্ধে। সেই ম্যাচে ১২৫ রান করেন তিনি। টি-২০ ফর্ম্যাটে দক্ষিণ আফ্রিকার বিরুদ্ধে দুরন্ত শতরানের ইনিংস হাঁকান তিনি। মাত্র ৫৯ বলে ১২২ রানের ইনিংস খেলেন বর্তমান পাক অধিনায়ক।
আপনার মতামত লিখুন :