শুক্রবার, ০৩ মে, ২০২৪

‍‍`কিছু লোক আছে যারা আমার পতন চাইত‍‍`, এবার কি শাস্ত্রীর নিশানায় এই কিংবদন্তি?

মৌসুমী মোদক

প্রকাশিত: এপ্রিল ২৬, ২০২২, ০৮:৩১ পিএম | আপডেট: এপ্রিল ২৭, ২০২২, ০২:৩১ এএম

‍‍`কিছু লোক আছে যারা আমার পতন চাইত‍‍`, এবার কি শাস্ত্রীর নিশানায় এই কিংবদন্তি?
‍‍`কিছু লোক আছে যারা আমার পতন চাইত‍‍`, এবার কি শাস্ত্রীর নিশানায় এই কিংবদন্তি?

ফের একবার বিস্ফোরক টিম ইন্ডিয়ার প্রাক্তন কোচ রবি শাস্ত্রী (Ravi Shastri)। এবার তাঁর নিশানায়  ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ডের (BCCI) অন্দরমহলের বেশ কিছু ব্যক্তি। সম্পতি ব্রিটেনের একটি সংবাদমাধ্যমে দেওয়া সাক্ষাৎকারে শাস্ত্রী সাফ জানান, তিনি কোচ থাকাকালীন কিছু লোক সবসময়ই তাঁর ব্যর্থতা চাইতেন। তাঁকে দেখে হিংসা করতেন। চাইতেন তাঁর পতন হোক। এরপরই প্রশ্ন উঠছে, তবে কি পরোক্ষভাবে বিসিসিআই সভাপতি সৌরভ গাঙ্গুলিকে (Sourav Ganguly) উদ্দেশ্য করেই এমন মন্তব্য রবি শাস্ত্রীর!

সম্প্রতি ব্রিটেনের সংবাদপত্রকে ‍‍`দ্য গার্ডিয়ান‍‍`কে দেওয়া সাক্ষাৎকারে নিজের কোচিং জীবন নিয়ে মুখ খোলেন রবি শাস্ত্রী। জানান, কোচিং ডিগ্রি ছাড়া টিমের ডিরেক্টর তারপর প্রধান কোচ হওয়ার রাস্তাটা তাঁর কাছে ঠিক কতটা কঠিন ছিল৷ শাস্ত্রীর কথায়, "আমার কোনও কোচিং ব্যাজ ছিল না। লেভেল ওয়ান, লেভেল দুটো? ধুর, বাদ দাও। ভারতের মত দেশে, কিছু লোক আছে যারা তোমার সাফল্যে জ্বলে, তোমাকে হিংসা করে, তোমার পতন চায়। আমার চামড়া মোটা, এতটাই যে তা ডিউক বলের থেকেও মোটা। তোমাকে তাই সেগুলো এড়িয়ে চলতে হবে। কারণ প্রতিদিন তোমার পরীক্ষা নেওয়া হবে।" যদিও তিনি এখানে নির্দিষ্ট কারোর নাম উল্লেখ করেননি।

প্রসঙ্গত, ভারতীয় ক্রিকেটের ইতিহাসে অন্যতম চর্চিত নাম রবি শাস্ত্রী। জাতীয় দল থেকে অবসরের পর প্রথমে ধারাভাষ্য সেখান থেকে ভারতীয় ক্রিকেট দলের ডিরেক্টর, তারপর প্রধান কোচের দায়িত্ব। এতগুলো ধাপ পেরোনো মোটেই সহজ ছিল না। এমনকি তিনি যখন ধারাভাষ্যকার হিসেবে কাজ করছেন তখনও তিনি জানতেন না যে আগামীতে তাঁকে ভারতীয় দলের ডিরেক্টর হিসেবে ভাবা হচ্ছে।

শাস্ত্রী জানান, "আমার কোনও আগাম সতর্কতা ছিল না। আমি ভারতের সেবার (২০১৪ সালে) ইংল্যান্ড সফরের সময় ওভালে ধারাভাষ্য দিচ্ছিলাম। তখন দেখি আমার ফোনে বিসিসিআই-এর ৬-৭টা মিসড কল। আমি যখন জানতে চাই কী ব্যাপার তখন ওরা বলে, ‘আমরা চাই আগামীকাল থেকে যে কোনো মূল্যে আপনি দায়িত্ব নিন।’ আমি বলেছিলাম আমার পরিবার এবং বাণিজ্যিক অংশীদারদের সঙ্গে আগে কথা বলতে হবে। তারা তখন বলে ওরাই সবটা দেখে নেবে। হঠাৎ করেই যেন আমার দায়িত্ব বদলে গিয়েছিল।"

২০১৪-২০১৬ সাল অবধি জাতীয় দলের ডিরেক্টর হিসেবে কাটানোর পর ২০১৬ সালে অনিল কুম্বলে দলের দায়িত্ব নেন। যদিও তিনি ২০১৭ সালেই সেই দায়িত্ব ছেড়ে দেন। ফের কোচিংয়ের দায়িত্বে আসেন শাস্ত্রী। সেই মেয়াদ শেষ হয় ২০২১ সালে টি-২০ বিশ্বকাপের পর। তিনি কোচ থাকাকালীন টিম ইন্ডিয়া কোনও ICC ট্রফি না জিতলেও, শাস্ত্রীর কোচিংয়ে ভারতের লড়াই প্রশংসনীয়। বিশেষ করে শাস্ত্রীর আমলে টেস্ট ফর্ম্যাটে টিম ইন্ডিয়া নিজেদের শিখরে পৌঁছেছিল৷ ভারতীয় ক্রিকেটের ইতিহাসে শাস্ত্রীর কোচিং যে এক বিশেষ স্থান অর্জন করেছিল, তা বলাই বাহুল্য।