শুক্রবার, ০৩ মে, ২০২৪

BCCI-এর দায়িত্বে কি আদৌ থাকছে সৌরভ-জয় শাহ জুটি? যুগান্তকারী রায় সুপ্রিম কোর্টের

মৌসুমী মোদক

প্রকাশিত: সেপ্টেম্বর ১৪, ২০২২, ০৫:৩৮ পিএম | আপডেট: সেপ্টেম্বর ১৪, ২০২২, ১১:৩৮ পিএম

BCCI-এর দায়িত্বে কি আদৌ থাকছে সৌরভ-জয় শাহ জুটি? যুগান্তকারী রায় সুপ্রিম কোর্টের
BCCI-এর দায়িত্বে কি আদৌ থাকছে সৌরভ-জয় শাহ জুটি? যুগান্তকারী রায় সুপ্রিম কোর্টের

সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায় (Sourav Ganguly) ও জয় শাহ (Jay Shah) কি আদৌ ভবিষ্যতে বিসিসিআই-কে (BCCI) পরিচালনা করতে পারবেন? দিন কয়েক ধরে এমন জল্পনাই ভেসে বেড়াচ্ছিল। অবশেষে সব জল্পনার অবসান। বিসিসিআই-এর (BCCI) সভাপতির পদে আপাতত থাকছেন সৌরভি। একইসঙ্গে সচিব পদে থাকছেন জয় শাহ। ২০২৫ সাল পর্যন্ত মেয়াদ বাড়ল দু’জনের। অর্থাৎ  ২০২৫ সাল পর্যন্ত ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ডের মসনদে থাকতে পারবেন সৌরভ-জয় শাহ জুটি।

আজ, বুধবার, সুপ্রিম কোর্টের (Supreme Court) বিচারপতি ধনঞ্জয় চন্দ্রচূড় এবং বিচারপতি হিমা কোহলির ডিভিশন বেঞ্চ এই রায় দেয়। ফলে ৩ বছরের বদলে ৬ বছর পর্যন্ত থাকতে পারবেন সৌরভ-শাহ জুটি। দুই টার্মে বোর্ডের দায়িত্বে থাকবে এই জুটি। বুধবার দুপুর দু‍‍`টো থেকে বিচারপতি ধনঞ্জয় চন্দ্রচূড় এবং বিচারপতি হিমা কোহলির বেঞ্চে শুনানি হয়। সেখানেই জানিয়ে দেওয়া হয়, রাজ্য সংস্থায় ছ’বছর এবং বোর্ডে ছ’বছর দায়িত্বে থাকতে পারবেন এক জন আধিকারিক। অর্থাৎ সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ অনুযায়ী ১২ বছর দায়িত্ব সামলানোর পর ‍‍`কুলিং অফ‍‍`-এ যেতে হবে।   

লোধা কমিশনের নিয়ম ছিল, রাজ্য সংস্থা বা বিসিসিআইয়ে কেউ টানা ছ’বছর কোনও পদে থাকলে তাঁকে ৩ বছরের জন্য বাধ্যতামূলক ‍‍`কুলিং অফ‍‍` পিরিয়ডে যেতে হবে। সেই নিয়ম অনুযায়ী বছর দুই আগেই শেষ হয়েছে বোর্ড সচিব জয় শাহ এবং সভাপতি সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়ের কার্যকাল। ২০১৯ সাল থেকে বোর্ডের ক্ষমতায় আসেন সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায় ও জয় শাহ। এরআগে দুজনেই রাজ্য সংস্থার দায়িত্বে ছিলেন। লোধা কমিশনের আইন মানতে হলে সৌরভ-শাহদের এতদিনে পদ ছেড়ে দিতে হত। কিন্তু বোর্ডের তরফে আগেভাগেই সুপ্রিম কোর্টে আবেদন করে রাখা হয়, যাতে ‍‍`কুলিং অফ পিরিয়ড‍‍` বাতিল করে দেওয়া হয়। 

গত কয়েক মাস ধরেই সৌরভ ও জয়ের কুলিং-অফ পিরিয়ড নিয়ে কম চাপানউতোড় ছিল না। বিসিসিআই-এর যুক্তি ছিল, সৌরভ-জয় শাহ জুটির কার্যকালের বেশিরভাগটাই করোনা মহামারীর আবহে কেটে গিয়েছে। এই পরিস্থিতিতে যদি তাঁরা দায়িত্ব ছেড়েও দেন তাহলে সমস্যার পড়বে বোর্ড। যে কারণে কুলিং-অফের মেয়াদ বাড়ানোর জন্য আবেদন করা হয়েছিল সুপ্রিম কোর্টে।

অবশেষে বিসিসিআই-এর এই আবেদনে সাড়া দিল দেশের সর্বোচ্চ আদালত। আজ সুপ্রিম কোর্ট যুগান্তকারী রায় ঘোষণা করল। দীর্ঘ শুনানির পর বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচুড়ের বেঞ্চ জানিয়ে দিল, কোনও একটি সংস্থার টানা ছ’বছর পদে থাকলে কুলিং অফে যাওয়া বাধ্যতামূলক। রাজ্য সংস্থার কোনও পদে টানা ৬ বছর বহাল থাকা যাবে। তারপরও কোনও কর্তা টানা ৬ বছরই বিসিসিআইয়ের পদে বহাল থাকতে পারবেন। দুটো টার্মে তাঁরা বোর্ডের দায়িত্বে থাকতে পারবে। এদিকে, সৌরভ-শাহ জুটি ২০১৯ সালে ক্ষমতায় আসার পর ২০২২ সালে তাদের তিন বছরের মেয়াদ পূর্ণ হয়েছে। এবার আরও একটা টার্ম তাঁরা বোর্ডের ক্ষমতায় থাকতে পারবেন। ফলে ২০২৫ সাল পর্যন্ত বিসিসিআই-এর দায়িত্বে থাকতে আর কোনও বাধা রইল না সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায় ও জয় শাহ-র জুটির।