২০০৮ অর্থাৎ প্রথম মরশুম থেকেই রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স ব্যাঙ্গালোরের হয়ে আইপিএল যাত্রা শুরু বিরাট কোহলির (Virat Kohli)। ২০১৩ থেকে ২০২১-এই দীর্ঘ সময়কালে ফ্র্যাঞ্চাইজিকে নেতৃত্বও দিয়েছেন। যদিও দলকে একবারও চ্যাম্পিয়নের স্বাদ দিতে পারেননি, জিততে পারেননি একটিও আইপিএল ট্রফি; তবে আরসিবি-র জার্সিতে বিরাট গড়েছেন একাধিক রেকর্ড। খেলেছেন বহু ম্যাচ জেতানো ইনিংসও।
এবার নিজের শ্রেষ্ঠ আইপিএল স্মৃতি বেছে নিতে হলে বিরাট যে দু`টি ইনিংসকে সেরা বলে বেছে নিলেন, সেগুলি হল একটি নিজের ও অপরটি এবি ডিভিলিয়ার্সের (AB de Villiers) দু`টি ম্যাচ জেতানো পারফর্ম্যান্স। সেই দু`টি ইনিংসই এসেছিল ২০১৬ সালে। সেবার নিজে দুরন্ত ছন্দে ছিলেন কোহলি। ৮১.০৮ গড়ে আইপিএলে করেছিলেন মোট ৯৭৩ রান। সঙ্গে ছিল চারটি শতরান এবং সাতটি অর্ধশতরান। যদিও সেবার ফাইনালে গিয়েও চ্যাম্পিয়ন হওয়া হয়নি, হেরে ছাড়তে হয়েছিল মাঠ; তবুও নিজের সেরা আইপিএল স্মৃতি হিসেবে ২০১৬ সালে নিজের ও এবিডির দু`টি ইনিংসকেই বেছে নিয়েছেন বিরাট।
বিরাটের আইপিএল কেরিয়ারের শ্রেষ্ঠ পারফর্ম্যান্সের তালিকায় সবার প্রথমে রয়েছে ২০২৬ সালে রায়পুরে দিল্লির (তৎকালীন দিল্লি ডেয়ারডেভিলস) বিরুদ্ধে নিজের করা ৪৫ বলে ৫৪ রানের ইনিংসটি। সেবার বিরাটের ওই অসাধারণ ইনিংসের জেরেই ১৩৯ রান তাড়া করে ১১ বল বাকি থাকতেই ম্যাচ জিতে নিয়েছিল আরসিবি।
বিরাটের অন্য আরেকটি সেরা মুহূর্ত হল, ওই মরশুমেই আইপিএল কোয়ালিফায়ার-১ `এ গুজরাত লায়ন্সের বিরুদ্ধে খেলা এবি ডিভিলিয়ার্সের ইনিংসটি। সেই ম্যাচে ৪৭ বলে ৭৯ রানের এক দুর্দান্ত ইনিংস খেলেছিলেন এবিডি। ৮ নম্বরে নামা ইকবাল আবদুল্লার (২৫ বলে ৩৩ রান) সঙ্গে জুটি বেঁধে আরসিবিকে জিতিয়ে মাঠ ছেড়েছিলেন তিনি। সেই অনবদ্য পারফরম্যান্সই বিরাটের চোখে অন্যতম সেরা।
বিরাট জানিয়েছেন, "এবি ডিভিলিয়ার্স `গান নক` খেলেছিলেন। ওই ম্যাচের পরে যেরকম সেলিব্রেশন হয়েছিল তা আমার দেখা সেরা সেলিব্রেশন।" তবে, ২০১৬ সালে আইপিএল ফাইনালে উঠেও সেই খালি হাতেই ফিরতে হয়েছিল বিরাটকে। ফাইনালে আরসিবিকে হারিয়ে ট্রফি জিতে নিয়েছিল সানরাইজার্স হায়দ্রাবাদ। এর আগে ২০০৯ সালেও ফাইনাল খেলেছিল ব্যাঙ্গালোর। সেবারও হেরে মাঠ ছেড়েছিল বিরাট কোহলির দল।
আপনার মতামত লিখুন :