ঘরোয়া মিষ্টির মধ্যে বাঙালির অত্যন্ত প্রিয় মিষ্টি হলো নারকেল নাড়ু। সে চিনির হোক বা গুড়ের! একই সঙ্গে আবার বাঙালির পুজো থেকে শুরু করে বিভিন্ন কিছুতে নারকেলের অনেক অবদান।
একইসঙ্গে আবার ভারতবর্ষের দক্ষিণে নারকোল খাবারের অন্যতম মূল উপকরণ! আর সেই কারণেই ভারত-সহ এশিয়া ও প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলের বেশ কয়েকটি দেশে প্রত্যেক বছর ২রা সেপ্টেম্বর বিশ্ব নারকেল দিবস হিসেবে পালন করা হয়। বিশ্বের প্রতিটি নারকেল উত্পাদনকারী দেশের জন্য এই দিনটির বিশেষ মর্যাদা রয়েছে।
প্রসঙ্গত, ইন্দোনেশিয়ার রাজধানী জাকার্তায় এশিয়ান প্যাসিফিক কোকোনাট কমিউনিটির সংগঠকরা ২রা সেপ্টেম্বর দিনটিকে নারকেল দিবস হিসেবে পালন করার সিদ্ধান্ত নেয়। সেই কমিটির মধ্যে রয়েছে ভারতও। তাই এই বিশেষ দিনটির সঙ্গে অঙ্গাঙ্গিভাবে থাকে ভারতবর্ষ। নারকেলের তেল, জল, দুধ সমস্ত কিছুই বিশ্বজুড়ে বহুলভাবে ব্যবহৃত হয়। এমনকি নারকেল গাছের পাতা পর্যন্ত বিভিন্ন সৌখিন জিনিস তৈরির ক্ষেত্রে কাজে লাগে।
চলুন এহেন একটি গাছ সম্পর্কে কিছু অজানা তথ্য জেনে নেওয়া যাক-
১. নারকেলের ইংরেজি নাম কোকনাট হলেও এটি কিন্তু বাদাম বিভাগের মধ্যে পড়েনা। বলা চলে আসলে এটি একটি ফল।
২. কোকোনাট এই নামকরণটি করেছিল কারা জানেন? পর্তুগিজ শব্দ কোকো থেকে এই ফলের নামকরণ করা হয় কোকোনাট। যার অর্থ হল, মাথা বা খুলি। বলা হয়, নারকেলের উত্পত্তিস্থল আসলে ইন্দো-মালায়া এলাকায়।
৩. বলা হয় একটি নারকেল গাছ বার্ষিক ৬০ থেকে ১৮০ নারকেল দিতে সক্ষম। প্রতিটি ফল সম্পূর্ণভাবে পরিপক্ক হতে একবছরের মতো সময় লাগে। একটি প্রাপ্তবয়স্ক গাছ বছরের ১৩ বার নারকেল উত্পাদনে সক্ষম।
৪.ভারত, ইন্দোনেশিয়া ও ফিলিপাইন বিশ্বের সবচেয়ে বড় নারকেল উত্পাদনকারী দেশ।
৫. জানা যায়, দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় বড় ভূমিকা নিয়েছিল নারকেল। সেই সময় যখন চিকিত্সার সামগ্রী প্রায় তলানিতে গিয়ে ঠেকেছিল, সেইসময় সেনাদের ডিহাইড্রেশন দূর করতে চিকিত্সকরা নারকেল জল ব্যবহার করেছিলেন। তবে এই তথ্য কতদূর সত্য তা নিয়ে যথেষ্ট সন্দেহ আছে।
৬. সংস্কৃতে নারকেল গাছকে কল্পবৃক্ষ বা স্বর্গের বৃক্ষ বলা হয়। কারণ বলা হয়, দৈনন্দিন জীবন ধারণের জন্য প্রয়োজনীয় সব উপাদানই এতে রয়েছে।
আপনার মতামত লিখুন :