রবিবার, ১৯ মে, ২০২৪

মহালয়ার সঙ্গেই জুড়ে দেবী দুর্গার চক্ষুদানের রীতি! তারপরই সূচনা দেবীপক্ষের

মৌসুমী মোদক

প্রকাশিত: সেপ্টেম্বর ১০, ২০২২, ০৫:৪৪ পিএম | আপডেট: সেপ্টেম্বর ১০, ২০২২, ১১:৪৪ পিএম

মহালয়ার সঙ্গেই জুড়ে দেবী দুর্গার চক্ষুদানের রীতি! তারপরই সূচনা দেবীপক্ষের
মহালয়ার সঙ্গেই জুড়ে দেবী দুর্গার চক্ষুদানের রীতি! তারপরই সূচনা দেবীপক্ষের / প্রতীকী ছবি

"আশ্বিনের শারদপ্রাতে জেগে ওঠে আলোকমঞ্জীর"- মহালয়ার দিনে বীরেন্দ্র কৃষ্ণ ভদ্রের এই কণ্ঠ শুনেই ঘুম ভাঙে বাঙালির৷ মহালয়া মানেই পুজোর বাদ্যি শুরু। কারণ এই দিন থেকেই পিতৃপক্ষের অবসান হয়ে সূচনা দেবীপক্ষের। মহালয়ার দিন পিতৃপুরুষদের উদ্দেশ্যে তর্পণ করার রীতিও রয়েছে।

মহালয়া শব্দটির অর্থ, মহান আলয় বা আশ্রম। আর দেবী দুর্গাই হলেন সেই মহান আলয়। মহালয়া থেকেই দেবীপক্ষের সূচনা। এদিন সব অশুভ শক্তির বিনাশ হয়। দুর্গাপুজো বয়ে আনে আনন্দ, আশা, শুভ চিন্তা। খুশিতে ভরে ওঠে মানুষের মন। মহালয়ার দিনেই পিতৃপুরুষদের স্মরণ করা হয় যা জগৎব্যাপী এক মহামিলনের ইঙ্গিত।

পাশাপাশি মহালয়ার দিনে আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ রীতিও সারা হয়ে থাকে। এদিন দেবীর চক্ষুদানও সম্পন্ন হয়। একই সঙ্গে করা হয় ঘট পুজো। তাই মহালয়ার গুরুত্ব কিছুটা বেশি বাঙালিদের কাছে। যেহেতু মহালয়ার দিন পিতৃ পক্ষের অবসান এবং দেবীপক্ষের সূচনা, তাই এই দিনেই দেবীর প্রতিমায় চক্ষু আঁকার রীতি প্রচলিত রয়েছে। আর দেবীর চক্ষুদানের মাধ্যমেই দেবীপক্ষ শুরু হয়।

একই রকম ভাবে অনেক জায়গাতেই রথের দিনে দেবীর কাঠামোয় পুজো করে মাটি দেওয়ার কাজ শুরু হয়। চক্ষুদানের কাজ শেষ হয় মহালয়ার দিনেই। এরপর দেবীর মূর্তিতে প্রাণ প্রতিষ্ঠা করা হয় মহা সপ্তমীতে।

মহাসপ্তমীর সকালে শুদ্ধাচারে ডান হাতে কুশের অগ্রভাগ নিয়ে দেবী দুর্গাকে কাজল পরানো হয়। যদিও বর্তমানে বিভিন্ন বারোয়ারী পূজায় এই রীতি সর্বক্ষেত্রে মানা হয় না। কিন্তু পঞ্জিকা মতে পূজার ক্ষেত্রে এখনও বেশিরভাগ পুজোয় এই রীতি অনুসরণ করা হয়। প্রথমে ত্রিনয়ন, তারপর বাম চক্ষু ও শেষে ডান চক্ষু আঁকা হয়। এরপরে হয় প্রাণ প্রতিষ্ঠা। মৃন্ময়ী থেকে চিন্ময়ীতে রূপে স্থিত হন দেবী।