শনিবার, ১৮ মে, ২০২৪

মহালয়া ঘিরে প্রচলিত নানা জানা-অজানা কাহিনী! কী বর্ণিত রয়েছে রামায়ণ-মহাভারতে?

মৌসুমী মোদক

প্রকাশিত: সেপ্টেম্বর ১০, ২০২২, ০২:০০ পিএম | আপডেট: সেপ্টেম্বর ১০, ২০২২, ০৮:০০ পিএম

মহালয়া ঘিরে প্রচলিত নানা জানা-অজানা কাহিনী! কী বর্ণিত রয়েছে রামায়ণ-মহাভারতে?
মহালয়া ঘিরে প্রচলিত নানা জানা-অজানা কাহিনী! কী বর্ণিত রয়েছে রামায়ণ-মহাভারতে? / প্রতীকী ছবি

মহালয়ার দিনে পিতৃপক্ষের অবসান ঘটিয়ে সূচনা হয় মাতৃপক্ষের। এই দিনের অন্যতম তাৎপর্যপূর্ণ হল তর্পণ। কথিত আছে, মহালয়ার দিনেই দেবতা ও অসুরের যুদ্ধ হয়। যেখানে মহিষাসুরকে পরাজিত করেছিলেন মহামায়া। তবে এই দিনটির উৎপত্তি এবং তর্পণ ঘিরে নানা কাহিনী বর্ণিত রয়েছে।

পুরাণ মতে, ব্রহ্মার বরে অমরত্ব লাভ করে অসুর। একমাত্র নারীশক্তির কাছেই পরাজিত হবে। এরপর অসুরদের অত্যাচারে রীতিমত অতিষ্ঠ হয়ে ওঠে দেবতারা। সকলে বিষ্ণু-ব্রহ্মা-মহেশ্বর শরণাপন্ন হন। অসুরদের পরাস্ত করতে ত্রিদেব দশভূজা মহামায়াকে সৃষ্টি করেন। দেবতাদের আশীর্বাদী অস্ত্র দিয়েই মহিষাসুরকে বধ করেন দেবী। এইদিনটিকেই মহালয়া হিসেবে গণ্য করা হয়।

রামায়ণ অনুসারে, 
লঙ্কার রাজা রাবণের হাত থেকে উদ্ধারের আগে দুর্গার অকালবোধন করেছিলেন রামচন্দ্র। পুজোর আগে তর্পণ করেছিলেন তিনি। রামায়ণেই কথিত আছে, অকালে কোনও দেবতার পুজো করার আগে ইষ্ট দেবতা এবং প্রয়াত মাতা-পিতাকে স্মরণ করে শ্রদ্ধা জানাতে হবে। তাই নিয়ম মেনেই দেবী দুর্গার অকাল বোধনের আগে মহালয়ার দিন তর্পণ করেছিলেন দশরথপুত্র।

মহাভারত অনুসারে, 
কুন্তী পুত্র কর্ণ প্রতিদিন ভোরে স্নান সেরে অলংকার, সোনা-রত্ন দান করতেন। তিনি কখনওই নিজের পিতৃপুরুষকে জল অর্পণ করেননি। কথিত আছে, কর্ণ যখন স্বর্গে যান সেইসময়ে তাঁকে খাবার- পানীয়ের বদলে কেবল সোনা এবং বিভিন্ন রত্ন দেওয়া হত। নিজের পিতৃপরিচয় জানার পর স্বর্গে থাকাকালীন তাঁকে তর্পণের পরামর্শ দেওয়া হয় বলেও উল্লেখ রয়েছে।

দেবরাজ ইন্দ্রকে ঘিরে বর্ণিত কাহিনী অনুসারে,
যমরাজ ১৬ দিনের জন্য দেবরাজ ইন্দ্রকে মর্তে পাঠিয়েছিলেন। এই ১৬ দিনই তাঁকে মর্তে তর্পণ করতে বলা হয়। এখান থেকেই শুরু হয় মহালয়ার দিন এবং তার আগের ১৫ দিন পূর্বপুরুষদের উদ্দেশ্যে তর্পণ করা হয়।