শুক্রবার, ১৭ মে, ২০২৪

পুজো করার সময় এই সকল নিয়মগুলি মেনে চলুন, মিলবে ঈশ্বরের আশীর্বাদ

সৌভিক বেজ

প্রকাশিত: এপ্রিল ১৮, ২০২২, ০৪:২২ পিএম | আপডেট: এপ্রিল ১৮, ২০২২, ১০:২২ পিএম

পুজো করার সময় এই সকল নিয়মগুলি মেনে চলুন, মিলবে ঈশ্বরের আশীর্বাদ
পুজো করার সময় এই সকল নিয়মগুলি মেনে চলুন, মিলবে ঈশ্বরের আশীর্বাদ

হিন্দু শাস্ত্রে দেব-দেবীর পূজার্চনার ক্ষেত্রে নানান ধরনের নিয়ম লক্ষ্য করা যায়। এবং নির্দিষ্ট পুজোর জন্য ব্যবহৃত নির্দিষ্ট সামগ্রীর উল্লেখও পাওযা যায়। যে কোনও পুজায় শুদ্ধ ও উপযুক্ত সামগ্রী নিয়ে পুজো করলে অবশ্যই সুফল পাবেন।

মন্দির যাওয়ার নিয়মঃ শাস্ত্র মতে প্রতিদিন মন্দির যাওয়াই শুভ বলে বিবেচিত। তবে বার মেনে কোন দিন কোন মন্দির যাবেন জেনে নিন- সোমবার শিব মন্দির, মঙ্গলবার বজরংবলীর মন্দির, বুধবার দুর্গা মন্দির, শুক্রবার লক্ষ্মী ও কালী মন্দির, শনিবার শনি মন্দির এবং রবিবার বিষ্ণু মন্দির যাওয়া সব থেকে সঠিক, তবে চাইলে আপনি অন্য মন্দিরেও যেতে পারেন।

শুদ্ধিকরনঃ মন্দিরে বা বাড়িতে জেখানেই হোক যে ব্যক্তি পুজো করবেন, তাঁকে শুদ্ধির নিয়মগুলি অবশ্যই গুরুত্ব দিয়ে মেনে চলতে হবে। সব সময় স্নান করে ও স্বচ্ছ বস্ত্র পরিধান করেই পুজো করা উচিত।

সামগ্রীর ব্যাবহারঃ পুজো করতে গেলে কিছু সামগ্রী খুবই প্রয়োজনীয়। এগুলি হল, ধূপকাঠি, প্রদীপ, চন্দন, কুমকুম, অষ্টগন্ধ, জল, ধুনো, কর্পূর, ঘি, ফুল, ফল, পঞ্চামৃত, পঞ্চগব্য, নৈবেদ্য, শঙ্খ, ঘণ্টা, আলপনা, তুলসী, তিলক, মৌলী, স্বস্তিক, ওম, অশ্বত্থ, আম ও কলা পাতা। এই সমস্ত সামগ্রী যদি আপনি পুজোয় ব্যবহার করেন তাহলে তা অত্যন্ত শুভ বলে বিবেচিত। তবে নিত্যদিনের পুজোয় সমস্ত সামগ্রী না ব্যবহার করলেও চলবে।

ধুনো কখন ব্যবহার করবেনঃ সাধারনত পুজো করতে আমরা দু ধরনের ধুনো ব্যবহার করে থাকি। প্রথমত গুগ্গল ও কর্পূরের ধুনো ও দ্বিতীয়ত গুড়-ঘি মিশিয়ে ঘুটে জ্বেলে তার ওপর এই মিশ্রণ রেখে ধুনো দেওয়া হয়। তবে বাড়িতে বা মন্দিরে প্রতিদিন ধুনো দেওয়া সম্ভব না-হলেও ত্রয়োদশী, চতুর্দশী, অমাবস্যা ও পূর্ণিমার দিনী সকাল ও সন্ধ্যায় অবশ্যই ধুনো দিন মঙ্গল হবে।

হনুমান চালিসাঃ সন্ধ্যায় আরতি হয়ে গেলে হনুমান চালিসা পাঠ করতে পারেন। এর ফলে বজরংবলীর আশীর্বাদ লাভ করতে পারবেন। এছাড়াও জ্ঞানত-অজ্ঞানত কোনও ভুল কাজ করা থেকেও রক্ষা করবে।

কর্পূর ব্যবহারের নিয়মঃ পুজো-অর্চনার ক্ষেত্রে কর্পূর জ্বালানো অত্যন্ত শুভ কাজ। রোজ সকাল-সন্ধ্যায় পুজোর পর বাড়িতে একটা করে কর্পূর জ্বালাতে পারেন। এবং পুজোর সময় আরতি করতে কর্পূরের আরতি দেওয়ার প্রথা লক্ষ্য করা যায় অনেক দেব দেবীর পুজায়। পুজোর ক্ষেত্রে এই কর্পূরের বিশেষ মাহাত্ম্য আছে। রাতে ঘুমানোর আগে ঘরের মধ্যে কর্পূর জ্বালিয়ে ঘুমানোও শুভ। আবার বাড়ির বাস্তু দোষ দূর করতেও কর্পূর ব্যবহার করা হয়। বাড়ির সিঁড়ি, শৌচালয় ও প্রবেশদ্বার বাস্তু মতে ভুল দিকে থাকলে এই সমস্ত স্থানে রোজ একটি করে কর্পূর জ্বালিয়ে দিন, এর ফলে বাস্তু দোষ দূর হবে।