শুক্রবার, ০৩ মে, ২০২৪

মাঝপথে ট্রেন দাঁড়ানোয়, কী সমস্যা দেখতে নেমে বিপত্তি! আচমকাই ট্রেনের ধাক্কা, মৃত ৫

আত্রেয়ী সেন

প্রকাশিত: এপ্রিল ১২, ২০২২, ১০:০২ এএম | আপডেট: এপ্রিল ১২, ২০২২, ০৪:০২ পিএম

মাঝপথে ট্রেন দাঁড়ানোয়, কী সমস্যা দেখতে নেমে বিপত্তি! আচমকাই ট্রেনের ধাক্কা, মৃত ৫
মাঝপথে ট্রেন দাঁড়ানোয়, কী সমস্যা দেখতে নেমে বিপত্তি! আচমকাই ট্রেনের ধাক্কা, মৃত ৫

বংনিউজ২৪x৭ ডিজিটাল ডেস্কঃ মাঝপথে আচমকাই ট্রেন দাঁড়িয়ে গিয়েছিল। তাই কী হয়েছে দেখতে নেমেছিলেন কয়েকজন যাত্রী। আশেপাশে ঘুরে দেখছিলেন। এদিকে, উল্টোদিক থেকে যে ট্রেন আসছে দ্রুত গতিতে, সেটা লাইনে থাকা ওই যাত্রীদের কেউই খেয়াল করেননি। যার মাশুল দিতে হল তাঁদের। যখন বুঝতে পারলেন কিছু করার ছিল না। কানে হর্ন পৌঁছানোর আগেই ট্রেন একদম সামনে চলে আসে। কাজেই মুহূর্তের মধ্যে ট্রেনের ধাক্কায় মৃত্যু হয় ৫ যাত্রীর। সোমবার এই দুর্ঘটনা ঘটে অন্ধ্রপ্রদেশের শ্রীকাকুলামে। জানা গিয়েছে, কলকাতাগামী কোনার্ক এক্সপ্রেসের ধাক্কায় ৫ জনের মৃত্যু হয়েছে। আহত বেশ কয়েকজন।  

রেল সূত্রে জানা গিয়েছে, সোমবার বিকেল নাগাদ সেকেন্দ্রাবাদ-গুয়াহাটি সুপারফাস্ট এক্সপ্রেসে আচমকাই যান্ত্রিক গোলযোগ দেখা দেয়। এর জেরে শ্রিকা কুলামের কাছে বাটুভা গ্রামে দাঁড়িয়ে পড়ে ট্রেনটি। এদিকে, আশেপাশে কোনও স্টেশন না থাকায়, কেন ট্রেন দাঁড়িয়ে পড়ে, তা দেখতে কয়েকজন যাত্রী ট্রেন থেকে নেমে ইঞ্জিনের কাছে গিয়ে খোঁজখবর নিতে যান।

এরপরে পাশের লাইন ধরে নিজেদের কামরার দিকে আসছিলেন, সেই সময়ই কোনার্ক এক্সপ্রেস এসে ওই যাত্রীদের পিছন থেকে ধাক্কা মারে। যে লাইনে সেকেন্দ্রাবাদা-গুয়াহাটি এক্সপ্রেসটি দাঁড়িয়েছিল, ঠিক তার পাশের লাইনেই উল্টোদিক থেকে কোনার্ক এক্সপ্রেস আসছিল। জানা গিয়েছে, কলকাতাগামী ওই ট্রেন মোট ৭ জনকে চাপা দিয়েছে। এর মধ্যে ৫ জনের ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয়েছে। আর বাকি দু’জন গুরুতর আহত অবস্থায় হাসপাতালে ভর্তি। 

এদিকে, শ্রীকাকুলাম জেলার পুলিশ সুপার বলেন, ‘প্রাথমিকভাবে মনে করা হচ্ছে গুয়াহাটি এক্সপ্রেসেরই কিছু যাত্রী চেন টেনে ট্রেনটিকে থামায়। ট্রেন ট্রেন থামতেই কিছু লোক রেললাইন পার করার চেষ্টা করছিলেন। তখনই উল্টো দিক থেকে আসা কোনার্ক এক্সপ্রেসের ধাক্কায় ৫ জনের মৃত্যু হয়েছে।’ পুলিশ মৃতদের পরিচয় জানার চেষ্টা করছে। পুলিশের পক্ষ থেকে আরও জানানো হয়েছে যে, কাছাকাছি কোনো স্টেশন না থাকায় কলকাতাগামী কোনার্ক এক্সপ্রেস দ্রুত গতিতে ছুটে আসছিল। তবে, লাইনে থাকা যাত্রীদের চালক দেখতে পেয়েছিলেন কিনা, তা নিয়ে সংশয় তৈরি হয়েছে। যদি হর্ন বাজানোই হয়, তাহলে লাইনে থাকা যাত্রীরাই বা কেন লাইন থেকে সরেননি? সে প্রশ্নও উঠছে। 

অন্যদিকে, এই দুর্ঘটনার খবর পেয়েই অন্ধ্রপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী জগন্মোহন রেড্ডি দুঃখপ্রকাশ করেছেন। তিনি আহতদের দ্রুত উন্নত চিকিৎসা এবং সবরকমের সহযোগিতার নির্দেশ দিয়েছেন।