শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল, ২০২৪

ভয়ঙ্কর দুর্ঘটনা ঝাড়খণ্ডে! সেতুর রেলিং ভেঙে নদীতে পড়ল যাত্রীবাহী বাস, মৃত অন্তত ৭

আত্রেয়ী সেন

প্রকাশিত: সেপ্টেম্বর ১৭, ২০২২, ১০:৫৩ পিএম | আপডেট: সেপ্টেম্বর ১৮, ২০২২, ০৫:০২ এএম

ভয়ঙ্কর দুর্ঘটনা ঝাড়খণ্ডে! সেতুর রেলিং ভেঙে নদীতে পড়ল যাত্রীবাহী বাস, মৃত অন্তত ৭
ভয়ঙ্কর দুর্ঘটনা ঝাড়খণ্ডে! সেতুর রেলিং ভেঙে নদীতে পড়ল যাত্রীবাহী বাস, মৃত অন্তত ৭

বংনিউজ২৪x৭ ডিজিটাল ডেস্কঃ ভয়াবহ দুর্ঘটনা ঘটল ঝাড়খণ্ডে। সেতুর রেলিং ভেঙে নদীতে পড়ে গেল যাত্রীবাহী বাস। এর জেরে কমপক্ষে ৭ জনের মৃত্যু হয়েছে। পাশাপাশি আহত হয়েছেন ৪৬ জন। এই ভয়াবহ দুর্ঘটনা ঘটেছে ঝাড়খণ্ডের হাজারিবাগে। দুর্ঘটনার খবর পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে উদ্ধারকাজ শুরু করে প্রশাসন। ইতিমধ্যেই আহত যাত্রীদের হাসপাতালে ভরতি করা হয়েছে। এই দুর্ঘটনার পর, মৃতদের পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানিয়ে, শোকপ্রকাশ করে টুইট করেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী।

পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, গিরিডি থেকে রাঁচি যাচ্ছিল যাত্রীবোঝাই ওই বাসটি। হাজারিবাগের তাতিঝরিয়ার সিয়ানে নদীর সেতু থেকে বাসটি পড়ে যায়। সেতুতেই কোনভাবে নিয়ন্ত্রণ হারান বাসচালক। তার জেরেই এই দুর্ঘটনা বলেই মনে করা হচ্ছে। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন, এরপর বাসটি সেতু থেকে নিচে পড়ে যায়। দুর্ঘটনার সময় বাসে ৬০ জন যাত্রী ছিলেন বলেই জানা গিয়েছে। শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত, তাঁদের মধ্যে ৭ জনের মৃত্যু হয়েছে। মৃতদের মধ্যে ২ জন মহিলা রয়েছেন বলেই জানা গিয়েছে। এউ দুর্ঘটনায় ৪৬ জন আহত হয়েছেন।

জানা গিয়েছে, বাস দুর্ঘটনার খবর পাওয়া মাত্র উদ্ধারকাজে নামে প্রশাসন। সাততাড়াতাড়ি ঘটনাস্থলে পৌঁছায় পুলিশ ও উদ্ধারকারী দল। গ্যাস কাটারের সাহায্যে আহত যাত্রীদের বাস থেকে বের করা হয়। আহতদের দ্রুত হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার ব্যবস্থা করে পুলিশ। এই দুর্ঘটনার খবর পেয়ে, টুইট করে শোকবার্তা দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। তিনি টুইট করে লেখেন, ‘ঝাড়খণ্ডের হাজারিবাগ জেলায় বাস দুর্ঘটনায় প্রাণহানিতে শোকাহত। দুঃসময়ে শোকসন্তপ্ত পরিবারের প্রতি আমার সমবেদনা। প্রার্থনা করছি আহতরা যেন দ্রুত সুস্থ হয়ে ওঠে।’

প্রসঙ্গত, একের পর এক দুর্ঘটনা ঘটেই চলেছে। এর আগে সম্প্রতি পরপর দু’দিন ভয়াবহ বাস দুর্ঘটনা ঘটে জম্মু ও কাশ্মীরে। জম্মু ও কাশ্মীরের পুঞ্চে বাস দুর্ঘটনায় ১১ জনের মৃত্যু হয়েছিল। এর ২৪ ঘণ্টার মধ্যে গত বৃহস্পতিবার রাজৌরি জেলায় বাস খাদে পড়ে ৫ জনের মৃত্যু হয়েছিল।