শনিবার, ১১ মে, ২০২৪

মহিলাকে খুন করে শিশুকে চুরি! নিঃসন্তান মেয়ের কোলে সন্তান দিতে ভয়ঙ্কর কাণ্ড বাবা-মার

আত্রেয়ী সেন

প্রকাশিত: ডিসেম্বর ২৪, ২০২২, ০৭:৫৭ পিএম | আপডেট: ডিসেম্বর ২৫, ২০২২, ০২:০৬ এএম

মহিলাকে খুন করে শিশুকে চুরি! নিঃসন্তান মেয়ের কোলে সন্তান দিতে ভয়ঙ্কর কাণ্ড বাবা-মার
মহিলাকে খুন করে শিশুকে চুরি! নিঃসন্তান মেয়ের কোলে সন্তান দিতে ভয়ঙ্কর কাণ্ড বাবা-মার / প্রতীকী ছবি

বংনিউজ২৪x৭ ডিজিটাল ডেস্কঃ মেয়ে নিঃসন্তান। সন্তান না হওয়ার যন্ত্রণা থেকে মেয়েকে মুক্তি দিতে এবং তাঁকে মাতৃত্বের স্বাদ দিতে ভয়ঙ্কর কাণ্ড ঘটালেন বাবা-মা। এক মহিলাকে খুন করে তাঁর মাত্র ১০ মাসের সন্তানকে চুরি করেলেন ওই দম্পতি। তাঁদের উদ্দেশ্য ছিল মেয়ের হাতে ওই দুধের শিশুকে তুলে দিয়ে মেয়ের মা না হওয়ার খামতি দূর করা।

তবে, শেষরক্ষা হল না, মেয়ের কোলে ওই শিশুকে তুলে দেওয়ার আগেই প্রকাশ্যে চলে এল ভয়ঙ্কর অপরাধের কথা। অসমের এই ঘটনায় পুলিশ ইতিমধ্যেই ওই অভিযুক্ত দম্পতিকে গ্রেফতার করেছে। এছাড়াও এই ঘটনায় অভিযুক্ত দম্পতির ছেলে এবং খুন হওয়া শিশুর মায়ের মা। তাঁদেরও গ্রেফতার করা হয়েছে। ঘটনার তদন্তও শুরু করেছে পুলিশ।

পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, ঘটনাটি ঘটেছে গুয়াহাটি শহরে। মৃত মহিলা কেন্দুগুড়ি বাইলুং গ্রামের বাসিন্দা নীতুমণি লুখুরাখন। মঙ্গলবার চরাইদেও জেলার রাজাবাটি টি এস্টেটের কাছে একটি নালা থেকে ওই মহিলার দেহ উদ্ধার করে পুলিশ। খুনের কারণ সম্পর্কে পুলিশ জানিয়েছে, ওই মহিলাকে খুনে অভিযুক্ত দম্পতির নাম প্রণালী গগৈ ও বসন্ত গগৈ। এই দম্পতি মেয়ে সন্তান হচ্ছিল না। তাই মেয়েকে সন্তানের স্বাদ দিতেই ওই মহিলা নীতুমণিকে হত্যা করে তাঁর সন্তানকে অপহরণ করে পালানোর চেষ্টা করে অভিযুক্ত দম্পতি প্রণালী ও বসন্ত। এদিকে, দম্পতির মেয়ে থাকেন হিমাচল প্রদেশে। ছেলেকে দিয়ে সেখানেই নীতুমণির সন্তানকে পাঠানোর ব্যবস্থা করেছিল অভিযুক্তরা।

কিন্তু শেষপর্যন্ত তাঁদের সেই কাজে তাঁরা সফল হয়নি। শিশুটিকে অপহরণ করে নিয়ে যাওয়ার সময় জোরহাটের একটি বাস টার্মিনাস থেকে শিশুটিকে উদ্ধার করতে সক্ষম হয় পুলিশ। এরপরই সিমালগুড়ি স্টেশন থেকে গ্রেফতার করা হয় মূল অভিযুক্ত প্রণালী গগৈ ও বসন্তকে।

পাশাপাশি এই খুন এবং শিশু চুরি ষড়যন্ত্রে ওই দম্পতিকে সাহায্য করার অপরাধে বুধবার অভিযুক্ত দম্পতির ছেলে প্রশান্ত গগৈ এবং খুন হওয়া নীতুমণির মা ববি লুখুরাখনকেও গ্রেফতার করা হয়। এই ঘটনা প্রসঙ্গে শিবসাগরের পুলিশ আধিকারিক শুভ্রজ্যোতি বোরহা জানিয়েছেন যে, কাজের অজুহাতে নীতুমণিকে ফাঁসানোর চেষ্টা হয়েছিল। কিন্তু পরে তাঁর থেকে শিশুটিকে ছিনিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করা হলে সে বাধা দেয়। এরপরেই তাঁর মাথায় ভারী কিছু দিয়ে আঘাত করে খুন করা হয় নীতুমণিকে। এদিকে, সোমবার থেকেই নিখোঁজ ছিলেন নীতুমনি, মঙ্গলবার তাঁর দেহ উদ্ধার হয়। এরপর তদন্ত শুরু হলে পুরো ঘটনা প্রকাশ্যে আসে।