সোমবার, ২৯ এপ্রিল, ২০২৪

‘মহিলারা ইচ্ছে মতো পোশাক পরতে পারেন, এটা তাঁদের সংবিধান প্রদত্ত অধিকার’! বললেন প্রিয়াঙ্কা

আত্রেয়ী সেন

প্রকাশিত: ফেব্রুয়ারি ৯, ২০২২, ০১:০৭ পিএম | আপডেট: ফেব্রুয়ারি ৯, ২০২২, ০১:৩৭ পিএম

‘মহিলারা ইচ্ছে মতো পোশাক পরতে পারেন, এটা তাঁদের সংবিধান প্রদত্ত অধিকার’! বললেন প্রিয়াঙ্কা
‘মহিলারা ইচ্ছে মতো পোশাক পরতে পারেন, এটা তাঁদের সংবিধান প্রদত্ত অধিকার’! বললেন প্রিয়াঙ্কা

বংনিউজ ২৪x৭ ডিজিটাল ডেস্কঃ সম্প্রতি হিজাব বিতর্কে উত্তাল কর্ণাটক। এই বিতর্কের আঁচ পড়েছে গোটা দেশে। কর্ণাটকে হিজাব নিয়ে বিতর্ক যেন থামতেই চাইছে না। এরই মধ্যেই এই বিতর্ককে কেন্দ্র করে অশান্তি ঠেকাতে আগামী ৩ দিন কর্ণাটকের সব শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধের নির্দেশ দিয়েছেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী বাসবরাজ বোম্মাই। তিনি মঙ্গলবার বিকেলে একটি টুইট করেন। সেই টুইটের মাধ্যমে তিনি এমনটাই নির্দেশ দেন।  এদিকে, কংগ্রেস- সহ অন্যান্য রাজনৈতিক বিরোধীদের বক্তব্য এই হিজাব নিষিদ্ধ করার পিছনে বিজেপির মদত রয়েছে।

এবার এই ইস্যুকে কেন্দ্র করে মুখ খুললেন কংগ্রেস নেত্রী প্রিয়াঙ্কা গান্ধী। তিনি টুইট করে জানিয়েছেন, ‘মহিলারা নিজেদের ইচ্ছে মতো পোশাক পরতে পারেন। এটা তাঁদের সংবিধান প্রদত্ত অধিকারের মধ্যেই পড়ে। ইচ্ছে হলে, তাঁরা বিকিনি, জিনস, ওড়না, হিজাব যা খুশি পরতে পারেন।’ এদিকে, প্রিয়াঙ্কার এই মন্তব্যকে কেন্দ্র করে শোরগোল পড়ে গিয়েছে। কংগ্রেস নেত্রীর এই বক্তব্যকে রাজনৈতিক দিক থেকে যথেষ্ট তাৎপর্যপূর্ণ বলেই মনে করা হচ্ছে। কারণ সামনেই রয়েছে উত্তরপ্রদেশে বিধানসভা নির্বাচন।সেই নির্বাচনে মহিলাদের বাড়তি গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে। উত্তরপ্রদেশে বিধানসভা নির্বাচনকে সামনে রেখে প্রিয়াঙ্কা গান্ধীর স্লোগান, ‘লড়কি হুঁ, লড় সকতি হুঁ’।

হিজাব কাণ্ড নিয়ে শুধু কর্ণাটকই নয়, গোটা দেশে হইচই পড়ে গিয়েছে। এই বিতর্ক এখন দেশের রাজনীতির একটা গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গ হয়ে উঠেছে। এই বিতর্ককে সামনে রেখে শুরু হয়েছে বিক্ষোভ। বিভিন্ন জায়গায় পাথর ছোঁড়ার মতো ঘটনার কথাও প্রকাশ্যে এসেছে। স্কুল বা কলেজে মুসলিম ছাত্রীদের হিজাব পড়ে আসার বিরোধিতা করে গলায় উত্তরীয় ঝুলিয়ে বিক্ষোভ দেখাতেও দেখা গিয়ছে একদল পড়ুয়াকে। 

উল্লেখ্য, এই হিজাব বিতর্কের সূত্রপাত হয় এক মাস আগে। উদুপির একটি গভর্নমেন্ট গার্লস পিইউ কলেজে কয়েকজন হিজাব পরিহিত শিক্ষার্থীকে ক্লাসরুমে ঢুকতে বাধা দেওয়া হয়। এরপর থেকে সেই জেলার পরপর চারটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে হিজাব পরার উপর নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়। এনিয়ে শোরগোল পড়ে যায় চারদিকে। এদিকে কিছু পড়ুয়া আবার গেরুয়া পোশাক পরে কলেজে আসে। এরপরই বিষয়টি আদালত পর্যন্ত গড়ায়। তার পরেও এই বিষয়কে কেন্দ্র করে উত্তেজনা কমেনি।

মুসলিম ছাত্রীদের পক্ষ থেকে সংবিধানের ১৫ ও ২৪ নম্বর ধারার উল্লেখ করে বলা হয়েছে, হিজাবে নিষেধাজ্ঞা জারি করা আসলে মৌলিক অধিকারের প্রতি হস্তক্ষেপ। অন্যদিকে, কর্ণাটকের হিজাব বিতর্কের আঁচ পড়েছে আন্তর্জাতিক মহলেও। এই নিয়ে জোর চর্চা শুরু হয়েছে আন্তর্জাতিক মহলে। হিজাব বিতর্ক নিয়ে সরব হয়েছেন নোবেল শান্তি পুরস্কার বিজয়ী মালালা ইউসুফজাই। মঙ্গলবারই তিনি টুইট করে হিজাব বিতর্ক নিয়ে তাঁর মতামত প্রকাশ করেন।  তিনি টুইটে জানিয়েছেন যে, ‘মেয়েদের তাঁদের হিজাব পরে স্কুলে যেতে দিতে অস্বীকার করা ভয়ঙ্কর।’