রবিবার, ১৯ মে, ২০২৪

রাস্তায় প্রবল যানজট, গাড়ি ফেলে রেখে ৩ কিমি দৌড়েই অপারেশন থিয়েটারে পৌঁছলেন ডাক্তার

মৌসুমী মোদক

প্রকাশিত: সেপ্টেম্বর ১২, ২০২২, ১০:৩০ পিএম | আপডেট: সেপ্টেম্বর ১৩, ২০২২, ০৪:৩০ এএম

রাস্তায় প্রবল যানজট, গাড়ি ফেলে রেখে ৩ কিমি দৌড়েই অপারেশন থিয়েটারে পৌঁছলেন ডাক্তার
রাস্তায় প্রবল যানজট, গাড়ি ফেলে রেখে ৩ কিমি দৌড়েই অপারেশন থিয়েটারে পৌঁছলেন ডাক্তার

রাস্তায় তীব্র যানজট। কিন্তু গাড়িতে অপেক্ষা করার জো নেই। কারণ হাসপাতালে পৌঁছেই তাঁকে অস্ত্রোপচার করতে হবে। তাঁর জন্য সকাল থেকে অপেক্ষায় রয়েছেন রোগীরা। এই ভেবে দেরি না করে মাঝপথে গাড়ি থেকে নেমে প্রায় ৪৫ মিনিট দৌড়ে তিন কিলোমিটার রাস্তা পেরিয়ে হাসপাতালে পৌঁছলেন বেঙ্গালুরুর এক চিকিৎসক। একেই বলে কর্তব্যবোধ!

ঘটনাটি ঘটেছে বেঙ্গালুরুতে। তাঁর নাম গোবিন্দ নন্দকুমার। তিনি সার্জাপুরের মণিপাল হসপিটালের গ্যাস্ট্রোএন্টেরেলজির সার্জন। ৩০ অগস্ট সকাল ১০টা নাগাদ এক রোগীর গলব্লাডারের জরুরি অস্ত্রোপচার হওয়ার কথা ছিল। যেটি করবেন নন্দকুমারই। কিন্তু সেদিন হাসপাতালে আসার পথে তিনি যানজটে আটকে পড়েন। কিন্তু তাঁকে যে ভাবেই হোক অপারেশন থিয়েটারে পৌঁছতে হবে এই ভাবনা সেদিন তিনি দুবার ভাবেননি। নিজের গাড়ি জ্যামে ফেলে রেখে, নিজের ড্রাইভারের উপর গাড়ির দায়িত্ব দিয়ে তিনি ৩ কিলোমিটার দৌড়লেন। 

বেঙ্গালুরুর মণিপাল হাসপাতালে কর্মরত ওই চিকিৎসক গোবিন্দ নন্দকুমারের এই কাণ্ডে মজেছেন সকলেই। গত ৩০ অগস্ট হাসপাতালের উদ্দেশে রওনা দিয়েছিলেন তিনি। কিন্তু প্রবল বৃষ্টির জেরে রাস্তায় জল জমে যানজট তৈরি হয়। সরজাপুর-মারাঠাহাল্লি রাস্তায় যানজটে আটকে পড়ে তাঁর গাড়ি। হাসপাতালে গিয়েই রোগীদের গলব্লাডার অস্ত্রোপচার করার কথা ওই চিকিৎসকের। তাই রোগীদের কথা ভেবেই শেষমেশ গাড়ি থেকে নেমে দৌড় শুরু করেন নন্দকুমার। সেদিন তিনি ভালো ভাবেই অপারেশনটি করতে পেরেছিলেন এবং রোগীও যথাসময়ে ডিসচার্জ নিয়ে বাড়ি ফেরেন।

ওই চিকিৎসক বলেছেন, ‘‘আমাকে মণিপাল হাসপাতালে পৌঁছতেই হত। প্রবল বৃষ্টি ও জমা জলের জেরে কয়েক কিমি রাস্তায় যানজট ছিল। আমি তাই সময় নষ্ট করতে চাইনি। অস্ত্রোপচারের জন্য রোগীরা না খেয়ে রয়েছেন। ফলে ওঁরা অনন্তকাল ধরে অপেক্ষা করুন, তা চাইনি। সে কারণেই দৌড়ে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিই।’’

সংবাদ সংস্থা সূত্রে খবর, গত ১৮ বছর ধরে একাধিক জটিল অস্ত্রোপচার করেছেন নন্দকুমার। চিকিৎসক হিসাবে তাঁর সুখ্যাতিও রয়েছে। রোগীদের কথা ভেবে যে ভাবে দৌড়ে হাসপাতালে গেলেন ওই চিকিৎসক, তাতে মোহিত সকলেই।