রবিবার, ১৯ মে, ২০২৪

১০০ কোটিতে রাজ্যসভার সাংসদ থেকে রাজ্যপাল হওয়ার সুযোগ! প্রতারণা চক্রের পর্দা ফাঁস CBI-এর

আত্রেয়ী সেন

প্রকাশিত: জুলাই ২৫, ২০২২, ১০:৫৯ পিএম | আপডেট: জুলাই ২৬, ২০২২, ০৫:০০ এএম

১০০ কোটিতে রাজ্যসভার সাংসদ থেকে রাজ্যপাল হওয়ার সুযোগ! প্রতারণা চক্রের পর্দা ফাঁস CBI-এর
১০০ কোটিতে রাজ্যসভার সাংসদ থেকে রাজ্যপাল হওয়ার সুযোগ! প্রতারণা চক্রের পর্দা ফাঁস CBI-এর / প্রতীকী ছবি

বংনিউজ২৪x৭ ডিজিটাল ডেস্কঃ রাজ্যসভার সাংসদ হতে চাইলে, পদের মূল্য ১০০ কোটি টাকা। আরও আছে, রাজ্যপাল হওয়াও সম্ভব টাকার বিনিময়ে। পাশাপাশি অর্থের বিনিময়ে সরকারি সংস্থার চেয়ারম্যানের পদও উপলব্ধ। এভাবেই দেশের সাংবিধানিক পদ থেকে শুরু করে সরকারি সংস্থার উচ্চ পদ বিক্রি হচ্ছে। সিবিআই-এর আধিকারিক সেজে এমন সব টোপ দিয়ে মহারাষ্ট্রের এক ব্যক্তি বড় প্রতারণা চক্র চালাচ্ছিল। কিন্তু ধরা পড়তেই হল শেষপর্যন্ত। এই চক্রের পর্দা ফাঁস করল সেই কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা সিবিআই-ই। ইতিমধ্যেই অভিযুক্ত ব্যক্তিকে গ্রেফতার করেছে সিবিআই। 

সিবিআই সূত্রে খবর, চার অভিযুক্তের হদিশ মিলেছে সিবিআই-এর তদন্তকারী আধিকারিকদের। এদের নাম হল- মহারাষ্ট্রের কমলাকর প্রেমকুমার বন্দগর,কর্ণাটকের বাসিন্দা রবীন্দ্র বিঠাল নায়েক, দিল্লিবাসী বাসিন্দা মহেন্দ্র পাল অরোরা এবং অভিষেক বোরা। সিবিআই সূত্রে জানা গিয়েছে, এদের মধ্যে কমলাকর প্রেমকুমার বন্দগর এবং অভিষেক বোরা এই প্রতারণা চক্রের মাথা। নিজেদের যোগাযোগ কাজে লাগিয়ে এরা মানুষদের প্রভাবিত করত বলেই অভিযোগ। জানা গিয়েছে, মহারাষ্ট্রের কমলাকর প্রেমকুমার কেন্দ্রীয় সরকারের উচ্চপদস্থ আধিকারিকদের চিনতেন। তাঁদের সঙ্গে প্রেমকুমারের ভালোই যোগাযোগ ছিল। আর সেই যোগাযোগকে কাজে লাগাত প্রেমকুমার। এমনটাই অভিযোগ। 

ইতিমধ্যেই এফআইআর দায়ের করেছে সিবিআই। সিবিআই-এর দায়ের করা এফআইআর- এ বলা হয়েছে, প্রেমকুমার নিজেকে সিবিআই আধিকারিক বলে পরিচয় দিত। এদিকে, চক্রের বাকি অভিযুক্তদের কাজ ছিল ক্লায়েন্ট খুঁজে আনা। মোটা অর্থের বিনিময়ে তাঁদের বিভিন্ন কাজ করে দেওয়ার কথা দিত অভিযুক্তরা। রাজ্যপাল থেকে শুরু করে রাজ্যসভার সাংসদ, সরকারি সংস্থায় চেয়ারম্যান পদের লোভ দেখিয়ে কোটি কোটি টাকা ক্লায়েন্টের থেকে হাতাত তারা। শুধু তাই নয়, রাজনৈতিক প্রভাব খাটিয়ে স্থানীয় থানার পুলিশ কর্মচারীদেরও হাতে রাখার চেষ্টা করত এই প্রতারণা চক্র। পাশাপাশি তদন্ত প্রক্রিয়াকেও প্রভাবিত করত। 

এদিকে, এই চক্রের সম্পর্কে আগেই খবর ছিল সিবিআইয়ের কাছে। গত কয়েক সপ্তাহ ধরেই এই চক্রের সদস্যদের ফোনে আঁড়ি পাতছিলেন সিবিআই-এর আধিকারিকরা। অবশেষে টাকা লেনদেনের আগেই এই প্রতারণা চক্রের মূল সদস্যকে হাতেনাতে গ্রেফতার করে সিবিআই। ধৃতকে জিজ্ঞাসাবাদ করে এই চক্রের সঙ্গে আর কারা কারা যুক্ত আছে, তা জানার চেষ্টা করছেন সিবিআই-এর আধিকারিকরা। এমনকি কোনও সরকারি কর্তা বা রাজনৈতিক ব্যক্তি জড়িত কিনা, তাও জানার চেষ্টা চলছে।