শুক্রবার, ১৭ মে, ২০২৪

পদ খোয়াতে পারেন হেমন্ত সোরেন! কে হবেন ঝাড়খণ্ডের পরবর্তী মুখ্যমন্ত্রী?

আত্রেয়ী সেন

প্রকাশিত: আগস্ট ২৯, ২০২২, ১১:০৫ এএম | আপডেট: আগস্ট ২৯, ২০২২, ০৫:৩৩ পিএম

পদ খোয়াতে পারেন হেমন্ত সোরেন! কে হবেন ঝাড়খণ্ডের পরবর্তী মুখ্যমন্ত্রী?
পদ খোয়াতে পারেন হেমন্ত সোরেন! কে হবেন ঝাড়খণ্ডের পরবর্তী মুখ্যমন্ত্রী?

বংনিউজ২৪x৭ ডিজিটাল ডেস্কঃ ফের নতুন করে সমস্যায় পড়লেন ঝাড়খণ্ডের মুখ্যমন্ত্রী হেমন সোরেন। সোমবারই নির্বাচন কমিশন বিধায়ক হিসেবে হেমন্ত সোরেনের অযোগ্যতার বিষয়ে একটি বিজ্ঞপ্তি জারি করতে পারে বলেই জানা গিয়েছে। সূত্রের খবর, শীর্ষ নির্বাচন সংস্থার তরফে ঝাড়খণ্ডের রাজ্যপালের জমা দেওয়া রিপোর্টের ভিত্তিতে হেমন্ত সোরেনের বিধায়ক পদ খারিজের প্রক্রিয়া শুরু করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। তাই এখন প্রশ্ন উঠছে, কে হবেন ঝাড়খণ্ডের নয়া মুখ্যমন্ত্রী? যার উত্তর এখনও স্পষ্ট নয়।

ঝাড়খণ্ডের মুখ্যমন্ত্রী হেমন সোরেনের একটি খনির লিজ নেওয়াকে কেন্দ্র করে সমস্যার শুরু। এর ফলে নির্বাচনী বিধি লঙ্খনের অভিযোগ উঠেছে তাঁর বিরুদ্ধে। এই কারণেই তাঁর বিধায়ক পদ থাকা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। তাঁকে বিধায়ক পদে অযোগ্য ঘোষণা করা হতে পারে। এই মামলায় অভিযোগকারী বিজেপি জনপ্রতিনিধিত্ব আইন, ১৯৫১-র ৯(এ) ধারা লঙ্ঘনের অভিযোগ করেছেন। এর পরেই হেমন্ত সোরেনের বিধায়ক পদ খারিজের দাবি করা হয়েছে।

অন্যদিকে, কংগ্রেস নেতৃত্বাধীন ইউপিএ রাজ্যপালের বিরুদ্ধে অভিযোগ করেছে। তাঁদের মূল দাবি, বিধানসভায় মুখ্যমন্ত্রীর সদস্যপদ নিয়ে সিদ্ধান্ত ঘোষণা করতে ইচ্ছাকৃতভাবে করছেন রাজ্যপাল। আর এর ফলেই ঘোড়া কেনা-বেচার সুযোগ তৈরি হচ্ছে। এদিকে, একাধিক বৈঠকের পর, জোটের অংশীদার জেএমএম, কংগ্রেস এবং আরজেডি একটি যৌথ সাংবাদিক সম্মেলন করে ঝাড়খণ্ডের রাজ্যপাল রমেশ বাইসকে গত চারদিন ধরে ঝাড়খণ্ডে চলতে থাকা বিভ্রান্তি দূর করার আহ্বান জানিয়েছে।

এ প্রসঙ্গে জেএমএমের সিনিয়র বিধায়ক এবং মন্ত্রী চম্পাই সোরেন সাংবাদিক সম্মেলনে বলেন, ‘যদি ইসি থেকে কোনও রিপোর্ট আসে, রাজ্যপালের উচিত তা প্রকাশ করা এবং তার সিদ্ধান্ত ঘোষণা করা। এই বিভ্রান্তির কারণে উন্নয়নমূলক কাজগুলি ব্যাহত হচ্ছে’।

এদিকে, রাজভবন সূত্রে জানা গিয়েছে যে, সোমবার এই বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিতে পারেন রাজ্যপাল। মুখ্যমন্ত্রীর দল ঝাড়খণ্ড মুক্তি মোর্চা সন্দেহ করছে যে, বিজেপি মহারাষ্ট্রের মতো এখানেও সরকারের পতনের জন্য জেএমএম এবং কংগ্রেসের বিধায়কদের নিজেদের দলে টানার চেষ্টা চালাতে পারে।

বিধানসভা থেকে মুখ্যমন্ত্রীকে অযোগ্য ঘোষণা করার জন্য বিজেপির আবেদনের ভিত্তিতে, নির্বাচন কমিশন ২৫ অগস্ট রাজ্যের রাজ্যপালের কাছে তাদের সিদ্ধান্ত পাঠায়। যদিও সেই সিদ্ধান্ত এখনও আনুষ্ঠানিকভাবে ঘোষণা করা হয়নি। গুঁজব যে, প্যানেল হেমন্ত সোরেনের বিধায়ক পদ খারিজের সুপারিশ করেছে।