মঙ্গলবার, ০৭ মে, ২০২৪

যৌন উত্তেজনাবর্ধক ওষুধ খেয়ে, জোর করে কলেজ ছাত্রীকে ধর্ষণ! অতিরিক্ত রক্তক্ষরণে মৃত্যু যুবতীর

আত্রেয়ী সেন

প্রকাশিত: নভেম্বর ১৪, ২০২২, ১২:১৮ পিএম | আপডেট: নভেম্বর ১৪, ২০২২, ০৬:২১ পিএম

যৌন উত্তেজনাবর্ধক ওষুধ খেয়ে, জোর করে কলেজ ছাত্রীকে ধর্ষণ! অতিরিক্ত রক্তক্ষরণে মৃত্যু যুবতীর
যৌন উত্তেজনাবর্ধক ওষুধ খেয়ে, জোর করে কলেজ ছাত্রীকে ধর্ষণ! অতিরিক্ত রক্তক্ষরণে মৃত্যু যুবতীর / প্রতীকী ছবি

বংনিউজ২৪x৭ ডিজিটাল ডেস্কঃ আবারও খবরের শিরোনামে যোগীরাজ্য। আবারও সেই ধর্ষণের মতো ঘৃণ্য অপরাধ। ফাঁকা বাড়িতে জোর করে এক কলেজ পড়ুয়া ছাত্রীর উপর পাশবিক নির্যাতন চালানোর অভিযোগ উঠল বছর ২৫-এর এক যুবকের বিরুদ্ধে। ধর্ষণের পরেই ঘটনাস্থল ছেড়ে পালিয়ে যায় অভিযুক্ত। এদিকে, অতিরিক্ত রক্তক্ষরণের জেরে মৃত্যু হয়েছে ওই যুবতীর।

যদিও ইতিমধ্যেই ওই অভিযুক্ত যুবককে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। ঘটনাটি ঘটেছে উত্তরপ্রদেশে উন্নাওয়ে। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, রবিবার উত্তরপ্রদেশের উন্নাওয়ের এক দ্বিতীয় বর্ষের কলেজ পড়ুয়া যুবতীকে ধর্ষণ করে তাঁরই পরিচিত এক যুবক। রবিবার ওই যুবতী বাড়িতে একাই ছিলেন। অভিযুক্ত সে কথা জানতে পেরেই তাঁর বাড়িতে হাজির হয় এবং জোর করেই বাড়িতে ঢুকে পড়ে। ওই কলেজ পড়ুয়া ছাত্রী বাধা দিলেও যুবক তাঁকে জোর করে ঘরে নিয়ে যায় এবং সেখানে তাঁর উপরে পাশবিক অত্যাচার চালায়।

তদন্তে জানা গিয়েছে, নির্যাতিতা বারবার ওই যুবককে বাধা দেওয়ার চেষ্টা করলেও, ঘণ্টার পর ঘণ্টা ধরে তাঁর উপরে শারীরিক অত্যাচার চালায় অভিযুক্ত যুবক। এর জেরে একসময় নির্যাতিতা সংজ্ঞাহীন হয়ে পড়েন, যুবতীর যৌনাঙ্গ থেকে রক্তপাত হতে শুরু করলে, ভয় পেয়ে সেখান থেকে পালিয়ে যায় অভিযুক্ত।

এর বেশ কিছু সময় পরে বাড়িতে আসেন ওই নির্যাতিতা যুবতীর বোন এবং তাঁকে রক্তাক্ত অবস্থায় পড়ে থাকতে দেখেন। এরপর সঙ্গে সঙ্গেই যুবতীকে জেলা হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলেও, শেষরক্ষা করা যায়নি। সেখানে চিকিৎসকরা তাঁকে পরীক্ষা করে মৃত বলে ঘোষণা করেন। পরে ময়নাতদন্ত করে জানা যায় যে, যুবতী শারীরিক নির্যাতনের শিকার হয়েছিলেন। গোপনাঙ্গে আঘাত ও অতিরিক্ত রক্তক্ষরণের জেরেই মৃত্যু হয়েছে তাঁর। যুবতীর মৃত্যুর পরেই পুলিশে অভিযোগ দায়ের করা হয়।

অভিযোগ পাওয়ার কয়েক ঘণ্টার মধ্যে অভিযুক্ত যুবককে গ্রেফতার করে পুলিশ। পুলিশি জেরায় অভিযুক্ত ধর্ষণের কথা স্বীকার করে নেয় বলেই জানা গিয়েছে। ধর্ষণের আগে অভিযুক্ত যৌন উত্তেজনাবর্ধক ওষুধ খেয়েছিল বলেও জানিয়েছে পুলিশকে। এদিকে, নির্যাতিতার বাবা অভিযোগ করেছেন যে, শুধু অভিযুক্ত যুবকই নয়, পাশের বাড়ির ২৮ বছরের এক যুবক এবং ৬৫ বছরের এক মহিলাও এই গোটা ঘটনায় জড়িত রয়েছে। তবে, পুলিশের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, অভিযুক্তের মোবাইল থেকে এখনও পর্যন্ত যে সব তথ্য পাওয়া গিয়েছে, তাতে জানা গিয়েছে, নির্যাতিতা অভিযুক্তকে আগে থেকেই চিনতেন। কিন্তু নির্যাতিতার বাবা অন্য যে দুজনের বিরুদ্ধে অভিযোগ এনেছেন এই ঘটনায় জড়িত থাকার, তাদের বিরুদ্ধে কোনও প্রমাণ মেলেনি।