বৃহস্পতিবার, ০৯ মে, ২০২৪

দিল্লি বিমানবন্দরে চলল গুলি! নিজের সার্ভিস রিভলবার থেকে গুলি চালিয়ে আত্মঘাতী জওয়ান

আত্রেয়ী সেন

প্রকাশিত: জানুয়ারি ১০, ২০২৩, ১১:১২ পিএম | আপডেট: জানুয়ারি ১১, ২০২৩, ০৫:১২ এএম

দিল্লি বিমানবন্দরে চলল গুলি! নিজের সার্ভিস রিভলবার থেকে গুলি চালিয়ে আত্মঘাতী জওয়ান
দিল্লি বিমানবন্দরে চলল গুলি! নিজের সার্ভিস রিভলবার থেকে গুলি চালিয়ে আত্মঘাতী জওয়ান

বংনিউজ২৪x৭ ডিজিটাল ডেস্কঃ দিল্লির ইন্দিরা গান্ধী বিমানবন্দরে চলল গুলি। কর্মরত অবস্থায় নিজের সার্ভিস রিভলবার থেকে গুলি চালিয়ে আত্মঘাতী হয়েছেন এক জওয়ান। বিমানবন্দরের শৌচালয় থেকে ওই সিআইএসএফ জওয়ানের দেহ উদ্ধার করা হয়। ঠিক কী কারণে তিনি আত্মহত্যার মতো চরম সিদ্ধান্ত নিলেন তা এখনও স্পষ্ট নয়। আত্মহত্যার কারণ খতিয়ে দেখতে ইতিমধ্যেই শুরু হয়েছে তদন্ত।

পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে আত্মঘাতী ওই সিআইএসএফ জওয়ানের নাম জিতেন্দ্র কুমার। অন্যান্য দিনের মতো এদিনও তিনি বিমানবন্দরের টার্মিনাল-৩-এ কর্মরত ছিলেন। দুপুর প্রায় সাড়ে তিনটে নাগাদ টার্মিনাল সংলগ্ন একটি শৌচালয়ে যান তিনি। এরপর আচমকাই সেখান থেকে গুলির শব্দে বিমানবন্দর চত্বরে আতঙ্ক তৈরি হয়।

এরপরে ওই শৌচালয়ের ভিতরে জওয়ানের মৃতদেহ পড়ে থাকতে দেখেন বিমানবন্দরের কর্মীরা। পুলিশের তরফে আরও জানানো হয়েছে যে, নিজের সার্ভিস রিভলবার থেকে গুলি চালিয়েই আত্মঘাতী হয়েছেন জিতেন্দ্র কুমার নামে ওই জওয়ান। যদিও ঘটনাস্থল থেকে কোনও সুইসাইড নোট উদ্ধার হয়নি। আত্মহত্যার কারণ নিয়ে তৈরি হয়েছে ধোঁয়াশা। তবে, পারিবারিক অশান্তির কারণেই এই আত্মহত্যার সিদ্ধান্ত কিনা তা খতিয়ে দেখছে পুলিশ। পাশাপাশি অন্যান্য সম্ভাব্য সবদিকই খতিয়ে দেখা হচ্ছে। যেমন-মানসিক অবসাদ বা হত্যাশা এই আত্মহত্যার কারণ কিনা, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে বলেই জানা গিয়েছে।

প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, কর্মরত অবস্থায় বিমানবন্দরে জওয়ানের আত্মহত্যার ঘটনা নতুন কিছু নয়। এর আগে গত জুলাইয়ে কলকাতা বিমানবন্দরেও একই ধরনের ঘটনা ঘটেছিল। সেই ঘটনাকে কেন্দ্র করেও তীব্র চাঞ্চল্য ছড়িয়েছিল বিমানবন্দর চত্বরে। সেই ঘটনায় মৃত সিআইএসএফ জওয়ানের নাম ছিল পঙ্কজ কুমার দে। বাড়ি থেকে ফিরেই কাজে যোগ দিয়েছিলেন ওই জওয়ান। ঘটনার দিন কর্মরত থাকাকালীন অনেকক্ষণ তাঁর দেখা না পাওয়া যাওয়ায়, খোঁজ করতে শুরু করেছিলেন অন্য সহকর্মীরা। পরে বিমানবন্দরের বেসমেন্টের শৌচালয় থেকে রক্তাক্ত অবস্থায় পঙ্কজ কুমারের দেহ উদ্ধার হয়। পারিবারিক কারণে ওই জওয়ানের মৃত্যু হয়েছিল বলেই পুলিশ জানিয়েছিল। এরকম আরও উদাহরণ আছে অতীতে।