বৃহস্পতিবার, ০৯ মে, ২০২৪

নৃশংস ঘটনা ফের এই রাজ্যে! জানালা দিয়ে সদ্যোজাত পুত্রসন্তানকে ছুঁড়ে ফেলে দিলেন মা

আত্রেয়ী সেন

প্রকাশিত: জানুয়ারি ১০, ২০২৩, ০১:২৭ পিএম | আপডেট: জানুয়ারি ১০, ২০২৩, ০৭:২৭ পিএম

নৃশংস ঘটনা ফের এই রাজ্যে! জানালা দিয়ে সদ্যোজাত পুত্রসন্তানকে ছুঁড়ে ফেলে দিলেন মা
নৃশংস ঘটনা ফের এই রাজ্যে! জানালা দিয়ে সদ্যোজাত পুত্রসন্তানকে ছুঁড়ে ফেলে দিলেন মা / প্রতীকী ছবি

বংনিউজ২৪x৭ ডিজিটাল ডেস্কঃ কবি অনেক আগেই বলে গিয়েছিলেন ‘বন্যেরা বনে সুন্দর, আর শিশুরা মাতৃক্রোড়ে।’ অর্থাৎ শিশুদের যোগ্যস্থান হল মায়ের কোল। শিশুরা মায়ের কোলেই সবথেকে বেশি নিরাপদ অনুভব করে। তবে, সেই মায়ের কোলে স্থান হল না এক সদ্যোজাতের। জন্মের সঙ্গে সঙ্গেই চলে গেল তার প্রাণ। বাথরুমের জানলা দিয়ে এক সদ্যোজাতকে ছুঁড়ে ফেলে দিলেন বছর কুড়ির এক যুবতী। এই নৃশংস এবং অমানবিক ঘটনাটি ঘটেছে পূর্ব দিল্লির অশোক বিহারের ঘটনা।

ইতিমধ্যেই ওই যুবতীর বিরুদ্ধে খুনের অভিযোগ দায়ের করেছে পুলিশ। জানা গিয়েছে, ওই যুবতী অবিবাহিতা। নয়ডার একটি প্রাইভেট সেক্টরে কাজ করেন। কিন্তু তিনি অন্তঃসত্ত্বা হয়ে পড়েন। সোমবার তিনি পুত্রসন্তান প্রসব করেন। এদিকে, অবিবাহিত অবস্থায় প্রসবের কারণেই সমাজের দৃষ্টি থেকে নিজেকে বাঁচাতে সদ্যোজাতকে ছুঁড়ে ফেলে দিয়েছেন ওই যুবতী। এমনটাই জানিয়েছে পুলিশ।

জানা গিয়েছে, পূর্ব দিল্লির জয় আম্বে অ্যাপার্টমেন্টে বসবাস করেন তিনি। সেই ফ্ল্যাটের বাথরুম থেকেই সদ্যোজাতকে ছুঁড়ে ফেলা হয়। রাস্তায় ওই সদ্যোজাতকে পড়ে থাকতে দেখে স্থানীয় বাসিন্দারা এগিয়ে আসেন। তাকে উদ্ধার করে সাততাড়াতাড়ি নয়ডার মেট্রো হাসপাতালে নিয়ে যান তাঁরা। এরপর সেখান থেকে ওই সদ্যোজাতকে এলবিএস হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হয়। সেখানে ওই সদ্যোজাতকে মৃত বলে ঘোষণা করা হয়।

এদিকে, সদ্যোজাতকে উদ্ধারের সময় স্থানীয় বাসিন্দাদের কেউ জানতেন না ওই শিশুটি কার? বা কোথা থেকে এল? এরপর পুলিশ তদন্ত শুরু করে আশেপাশের সব বাড়ি খুঁজে দেখে। সেখানকার বাসিন্দাদেরও জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। এরপর এক বাড়ির সামনে রক্তের দাগ দেখায়, পুলিশের সন্দেহ হয়। এরপর সেই বাড়ির এক বাসিন্দাকে জিজ্ঞাসাবাদ করতেই তিনি ভেঙে পড়েন। জেরায় স্বীকার করে নেন যে, তিনি একটি পুত্রসন্তানের জন্ম দিয়েছিলেন এবং তাকে বাথরুমের জানালা দিয়ে ফেলে দেন জন্মের পর।

পুলিশের ডেপুটি কমিশনার (পূর্ব) অমরুথা গুগুলোথ বলেছেন, ‘তিনি অবিবাহিতা এবং চক্ষু লজ্জার ভয়ে তিনি এই সন্তান থেকে পিছু ছাড়াতে চেয়েছিলেন।’ জানা গিয়েছে, ভারতীয় দণ্ডবিধির ৩০২ ও ২০১ নম্বর ধারায় অভিযুক্ত যুবতীর বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেছে পুলিশ। তাঁর কিছু মেডিক্যাল পরীক্ষার জন্য হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছে।