শনিবার, ২৭ এপ্রিল, ২০২৪

ধর্ষণের অভিযোগে বিপদে বিজেপি নেতা শাহানওয়াজ! মামলা দায়েরের অনুমতি দিল্লি হাইকোর্টের

প্রকাশিত: আগস্ট ১৯, ২০২২, ০৩:১৯ পিএম | আপডেট: আগস্ট ১৯, ২০২২, ০৯:১৯ পিএম

ধর্ষণের অভিযোগে বিপদে বিজেপি নেতা শাহানওয়াজ! মামলা দায়েরের অনুমতি দিল্লি হাইকোর্টের
ধর্ষণের অভিযোগে বিপদে বিজেপি নেতা শাহানওয়াজ! মামলা দায়েরের অনুমতি দিল্লি হাইকোর্টের

বংনিউজ২৪x৭ ডিজিটাল ডেস্কঃ আরও বিপদে বিজেপির সংখ্যালঘু নেতা তথা প্রাক্তন মন্ত্রী শাহানওয়াজ হুসেন। বিহারের এই প্রাক্তন মন্ত্রীর বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করার অনুমতি দিল দিল্লি হাইকোর্ট। মামলাটি খারিজ করার দাবিতে দিল্লি হাইকোর্টে আবেদন করেছিলন বিজেপি নেতা শাহানওয়াজ হুসেন। কিন্তু তাঁর সেই আবেদন খারিজ করে দিল দিল্লি হাইকোর্ট।

বিজেপির সংখ্যালঘু নেতা তথা প্রাক্তন মন্ত্রী শাহানওয়াজ হুসেনের বিরুদ্ধে এই ধর্ষণের মামলাটি অত্যন্ত পুরনো। বছর চারেক আগে, ২০১৮ সালে এই নেতার বিরুদ্ধে ধর্ষণের অভিযোগ করেন এক মহিলা। বিজেপি নেতার বিরুদ্ধে অভিযোগ ছিল যে, তিনি ছাত্তারপুরের একটি খামারবাড়িতে ডেকে নিয়ে গিয়ে নেশার জিনিস খায়িয়ে ওই মহিলাকে ধর্ষণ করেন। ওই মহিলার আরও অভিযোগ ছিল, তিনি স্থানীয় থানায় অভিযোগ জানাতে গেলে, পুলিশ সেই অভিযোগ নিতে অস্বীকার করে। এরপর ওই নির্যাতিতা মহিলা বাধ্য হয়েই দিল্লির সাকেত আদালতে মামলা দায়ের করেন। মহিলার আরজি ছিল, আদালত পুলিশকে এফআইআর দায়েরের নির্দেশ দিক।

এদিকে, আদালতে পুলিশ জানিয়েছে যে, ওই মহিলার অভিযোগে কোনও সত্যতা পাওয়া যায়নি। এরপরই প্রশ্ন ওঠে, এফআইআর দায়ের না করে, মামলার তদন্ত না শুরু করে, পুলিশ কীভাবে এই সিদ্ধান্তে এল যে, মহিলার অভিযোগের কোনও সত্যতা নেই। মামলা যায় দিল্লি হাইকোর্ট পর্যন্ত। এরপর বৃহস্পতিবার দিল্লি হাইকোর্ট বিজেপি নেতা শাহানওয়াজ হুসেনের আরজি খারিজ করে দিয়ে পুলিশকে মামলা দায়েরের নির্দেশ দেয়। এর পাশাপাশি অবশ্য সুপ্রিম কোর্টেও গিয়েছিলেন অভিযুক্ত বিজেপি নেতা। কিন্তু সেখানেও মেলেনি স্বস্তি। শীর্ষ আদালতেও তাঁর আরজি খারিজ হয়ে যায়।

এদিকে, শাহানওয়াজ হুসেনের বিরুদ্ধে ওঠা এই অভিযোগের পর স্বাভাবিকভাবেই অস্বস্তিতে বিজেপি। উল্লেখ্য, শাহানওয়াজ হুসেন বিজেপির প্রথম সারির সংখ্যালঘু নেতা। কয়েকদিন আগে অবধি তিনি বিজেপির কেন্দ্রীয় নির্বাচন কমিটির সদস্য ছিলেন। পাশাপাশি বিহারের জেডিইউ-বিজেপি জোট সরকারের মন্ত্রীও। এবার সেই নেতাকেই নিজের বিরুদ্ধে ওঠা ধর্ষণের মতো গুরুতর অভিযোগকে মিথ্যে বলে প্রমাণিত করতে হবে।