রবিবার, ১২ মে, ২০২৪

‘ডবল ইঞ্জিন সরকার এই অঞ্চলকে সম্পূর্ণ বদলে দিয়েছে’! অসম থেকে বার্তা প্রধানমন্ত্রীর

আত্রেয়ী সেন

প্রকাশিত: এপ্রিল ২৮, ২০২২, ০৫:৩৫ পিএম | আপডেট: এপ্রিল ২৮, ২০২২, ১১:৪৯ পিএম

‘ডবল ইঞ্জিন সরকার এই অঞ্চলকে সম্পূর্ণ বদলে দিয়েছে’! অসম থেকে বার্তা প্রধানমন্ত্রীর
‘ডবল ইঞ্জিন সরকার এই অঞ্চলকে সম্পূর্ণ বদলে দিয়েছে’! অসম থেকে বার্তা প্রধানমন্ত্রীর

বংনিউজ২৪x৭ ডিজিটাল ডেস্কঃ একাধিক প্রকল্প নিয়ে উত্তর-পূর্ব ভারতে সফরে গিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। এদিন সকালেই তিনি অসমে পৌঁছান। অসমের শিক্ষাক্ষেত্রকে আরও মজবুত করতে একাধিক প্রকল্পের ভিত্তি প্রস্থর স্থাপন করেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। 

উল্লেখ্য, প্রধানমন্ত্রীর দফতর থেকে আগেই জানানো হয়েছিল যে, এই সফরে তিনি ৫০০ কোটির বেশি অর্থ ব্যয়ে একাধিক শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ভিত্তি প্রস্থর স্থাপন করবেন। এদিন প্রথমেই প্রধানমন্ত্রী কারবি অ্যাঙ্গল জেলায় দিপুতে ‘শান্তি একতা ও উন্নয়ন মিছিল’-এর জনসভায় বক্তব্য রাখেন। এই সভায় অসমের মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্ব শর্মাও উপস্থিত ছিলেন। এই সভায় বক্তব্য রাখার পাশাপাশি প্রধানমন্ত্রী অসমের ডিব্রুগড়ে ক্যানসার হাসপাতালেরও উদ্বোধন করেন। 

২০২০ সালের বোডো অ্যাকর্ড এই অঞ্চলে শান্তি এবং স্থিতাবস্থা বজায় রাখতে নতুন দরজা খুলে দিয়েছে বলেই জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। এদিনের জনসভায় কিছু গুরুত্বপূর্ণ বিষয় তুলে ধরেন প্রধানমন্ত্রী। উল্লেখ্য, দীর্ঘদিন ধরেই উত্তর-পূর্বের রাজ্যগুলি থেকে আফস্পা তুলে নেওয়ার দাবি উঠছিল। সম্প্রতি উত্তর-পূর্বের রাজ্যগুলির বিশেষ অংশ থেকে তা তুলেও নেওয়া হয়েছে।

এদিন প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘বোডো অ্যাকর্ড এবং কার্বি আংলং অসমের পিছিয়ে পড়া এলাকাগুলিকে উন্নতির দিকে এগিয়ে নিয়ে গিয়েছে। ত্রিপুরায় রেয়াং আদিবাসী জনজাতির সমস্যাও সমাধান করা হয়েছে।’ ‘ডবল ইঞ্জিন’ সরকারের প্রসঙ্গ তুলে প্রধানমন্ত্রী বলেন, “যে রাজ্যগুলিতে ‘ডবল ইঞ্জিন’ সরকার রয়েছে, সেখানে উন্নয়নের কাজে গতি এসেছে।” তিনি আরও বলেন যে, ‘সবকা সাথ, সবকা বিকাশ, সবকা বিশ্বাস এবং সবকা প্রয়াস-এর কথা মাথায় রেখেই উন্নয়নের যাবতীয় কাজ এগিয়েছে। 

প্রধানমন্ত্রীর দাবি, ‘সবকা সাথ, সবকা বিকাশ-এর কথা মাথায় রেখে কাজ করেই সীমান্ত সংক্রান্ত সমস্যার সমাধান হয়েছে। অসম ও মেঘালয়ের মধ্যে হওয়া সাম্প্রতিক চুক্তি অন্যান্যদেরও অনুপ্রাণিত করবে।’ এর পাশাপাশি প্রধানমন্ত্রী আরও বলেন যে, ‘ এখন কেউ উত্তর-পূর্ব ভারতে এলে দেখতে পাবে কী দ্রুততার সঙ্গে এখানে উন্নয়নের কাজ হচ্ছে এবং এই অঞ্চল সম্পূর্ণ বদলে গিয়েছে। আমরা উত্তর- পূর্বের সমস্যাগুলিকে বুঝতে পেরেছিলাম বলেই এই অঞ্চলের উন্নয়ন সম্ভব হয়েছে।’