সোমবার, ২৯ এপ্রিল, ২০২৪

‘আমি দু’জনকেই ভালবাসি’, এক ছাদনাতলায় দুই প্রেমিকার সঙ্গে গাঁটছড়া বাঁধলেন যুবক!

চৈত্রী আদক

প্রকাশিত: জুন ২১, ২০২২, ১০:৫১ এএম | আপডেট: জুন ২১, ২০২২, ০৪:৫১ পিএম

‘আমি দু’জনকেই ভালবাসি’, এক ছাদনাতলায় দুই প্রেমিকার সঙ্গে গাঁটছড়া বাঁধলেন যুবক!
‘আমি দু’জনকেই ভালবাসি’, এক ছাদনাতলায় দুই প্রেমিকার সঙ্গে গাঁটছড়া বাঁধলেন যুবক!

বংনিউজ২৪×৭ ডিজিটাল ডেস্কঃ কথায় বলে ‘এভরিথিং ইজ ফেয়ার ইন লাভ অ্যান্ড ওয়ার’। অর্থাৎ ভালবাসার জন্য সবকিছুই করা যায়। ভালোবাসা যেমন কোনও বাধা বা অজুহাত মানে না তেমনই কখন কাকে ভালোলাগবে তা আগে থেকে বোঝাও যায় না। এমনকি কখনও কখনও একইসঙ্গে ভালোবাসা যায় দু‍‍`জনকেও। দু’জনের মাথাতেই দেওয়া যায় সিঁদুর। কী ভাবছেন এটা কোনও সিনেমার গল্প? আজ্ঞে না। বাস্তবেই ঘটেছে এমন কাণ্ড।

একইসঙ্গে দু’জনকে ভালোবাসেন যুবক। যেখানে ভাগ করে নিলে ভালোবাসা কমে না সেখানে একসঙ্গে ঘর বাঁধতে ক্ষতি কী? অগত্যা দুই প্রেমিকার সঙ্গেই গাঁটছড়া বাঁধলেন যুবক। একই ছাদনাতলায় দুই প্রেমিকার সিঁথিতে তুলে দিলেন সিঁদুর। এমন বিরল বিয়ের সাক্ষী রইল ঝাড়খণ্ডের লোহারদাগা।

জানা গিয়েছে, ওই যুবকের নাম সন্দীপ ওরাঁও। ঘটনাচক্রে একইসঙ্গে ভালোবেসে ফেলেন কুসুম লাকরা এবং স্বাতী কুমারী নামের দুই তরুণীকে। দুজনের সঙ্গেই ঘর বাঁধার স্বপ্ন দেখেতেন তিনি। অবশেষে তাঁর স্বপ্নপূরণে এগিয়ে আসেন দুই প্রেমিকাও। বান্দা গ্রামে পরিবার-পরিজন, পাড়া-প্রতিবেশীর উপস্থিতিতেই সাত পাকে বাঁধা পড়েন সন্দীপ, কুসুম এবং স্বাতী। এক্ষেত্রে তিনজনের সম্মতিতেই বিবাহ সুসম্পন্ন হয়। তিনজনে একসঙ্গেই শুরু করেন নতুন জীবনের পথ চলা।

বিগত তিন বছর ধরে লিভ-ইন সম্পর্কে ছিলেন সন্দীপ ও কুসুম। জানা গিয়েছে, তাঁদের একটি সন্তানও আছে। বছর খানেক আগে সন্দীপ ঝাড়খন্ড থেকে বাংলায় আসেন ইটভাটার শ্রমিক হিসেবে কাজ করতে। এরপরই সন্দীপ ও কুসুমের মধ্যে বাড়তে থাকে দূরত্ব। তাঁদের সম্পর্কের মাঝে প্রবেশ করেন স্বাতী কুমারী। শুরু হয় নতুন প্রেম কাহিনী।

ইটভাটায় একইসঙ্গে কাজ করতেন সন্দীপ এবং স্বাতী। পরিচয়ের পর ধীরে ধীরে বাড়তে থাকে ঘনিষ্ঠতা। প্রথমে বন্ধুত্ব এবং সেখান থেকে প্রেম। সম্পর্কের জল গড়ায় অনেক দূর। কিছুদিনের মধ্যেই বিষয়টি জানাজানি হয়ে যায় দুই পরিবারের মধ্যে। প্রথম অবস্থায় দুই পরিবারের কেউই মেনে নিতে পারেননি সন্দীপ ও স্বাতীর সম্পর্ক। কিন্তু একে অপরকে ছেড়ে থাকা যে একেবারেই সম্ভব ছিল না তাঁদের পক্ষে। কিন্তু উপায়?

এই সমস্যার সমাধান পেতে ডাকা হয় পঞ্চায়েত। এর মধ্যস্থতায় স্থির হয়, যে কোনও একজন না, দুজনকেই বিয়ে করতে পারবেন সন্দীপ। এতে বচসাও মিটবে এবং একে অপরকে ছেড়ে থাকতেও হবে না। পঞ্চায়েতের সিদ্ধান্ত মেনে নেন সকলেই। এমনকি এতে আপত্তি জানাননি কুসুম এবং স্বাতীও। সকলের সম্মতি ও আশীর্বাদে অবশেষে পরিণতি পায় সন্দীপ, কুসুম এবং স্বাতীর ত্রিকোণ প্রেম।