রবিবার, ০৫ মে, ২০২৪

UPSC পরীক্ষায় উত্তীর্ণই হননি, অথচ মিলেছে সংবর্ধনা! প্রকাশ্যে এল আসল সত্য

চৈত্রী আদক

প্রকাশিত: জুন ৪, ২০২২, ০৭:৫০ পিএম | আপডেট: জুন ৫, ২০২২, ০১:৫০ এএম

UPSC পরীক্ষায় উত্তীর্ণই হননি, অথচ মিলেছে সংবর্ধনা! প্রকাশ্যে এল আসল সত্য
UPSC পরীক্ষায় উত্তীর্ণই হননি, অথচ মিলেছে সংবর্ধনা! প্রকাশ্যে এল আসল সত্য

বংনিউজ২৪×৭ ডিজিটাল ডেস্কঃ প্রথম চেষ্টাতেই সর্বভারতীয় সিভিল সার্ভিস পরীক্ষায় (UPSC) উত্তীর্ণ হয়েছেন, এমনটাই দাবি করেছিলেন। প্রথম চেষ্টায় এত বড় পরীক্ষায় পাস করা নেহাত মুখের কথা নয়। তাই তাঁর সাফল্যকে কুর্নিশ জানিয়ে স্থানীয় প্রশাসন সংবর্ধনা জানিয়েছিল ওই পরীক্ষার্থীকে। এমনকি সেন্ট্রাল কোলফিল্ড লিমিটেড (Central Coalfields Ltd)-এর পক্ষ থেকেও তাঁকে সংবর্ধিত করা হয়। কিন্তু দু’দিনের মাথায় প্রকাশ্যে এল আসল সত্য।  ইউপিএসসি-তে পাশই করেননি তিনি। প্রকৃত সত্য সামনে আসতেই থ স্থানীয়রা। যদিও ওই পরীক্ষার্থী এবং তাঁর পরিবারের দাবি, যান্ত্রিক গোলযোগই এই বিভ্রান্তির একমাত্র কারণ।

ওই পরীক্ষার্থীর নাম দিব্যা পান্ডে। ২৪ বছর বয়সী দিব্যা ঝাড়খণ্ডের রামগড় জেলার রাজপাড়া কলোনির বাসিন্দা। চলতি বছর ইউপিএসসি-র ফল প্রকাশের পর দিব্যা ও তাঁর পরিবার দাবি করেন, সম্পূর্ণভাবে নিজের চেষ্টায় প্রথমবারই পরীক্ষায় সাফল্য মেলে। ৩২৩ র‌্যাঙ্ক নিয়ে পাশ করেন তিনি। দিব্যার বাবা কোলফিল্ডে নিযুক্ত ছিলেন। তাই দিব্যার এই অভাবনীয় সাফল্যের খবর পেয়ে সেন্ট্রাল কোলফিল্ড লিমিটেডের পক্ষ থেকে তাঁকে সংবর্ধনা দেওয়া হয়। অন্যদিকে রামগড়ের ডেপুটি কমিশনার মাধবী মিশ্র নিজের অফিসে ডেকে এনে দিব্যাকে সংবর্ধনা দেন।

ফল প্রকাশের পর দিব্যা জানান, কোনওরকম কোচিং ছাড়া কেবলমাত্র ইন্টারনেট এবং ইউটিউবের সাহায্যেই পড়াশোনা করেছিলেন তিনি। তবে দু’দিন যেতে না যেতেই আসল সত্য প্রকাশ্যে এসেছে। জানা গিয়েছে, পরীক্ষায় পাসই করেননি তিনি। অন্যদিকে আরও একটি তথ্য সামনে আসে। আসলে ৩২৩ র‌্যাঙ্ক করেছেন দক্ষিণ ভারতের দিব্যা পি। নামের মিল থাকায় সকলে মনে করেন ঝাড়খণ্ডের দিব্যা পান্ডেই ৩২৩ র‌্যাঙ্ক করেছেন। কিন্তু আসল সত্যিটা একেবারেই আলাদা।

এই প্রসঙ্গে দিব্যার দিদি প্রিয়দর্শিনী পান্ডে বলেছেন, একটা অনিচ্ছাকৃত ভুল বোঝাবুঝি হয়েছে। ফল প্রকাশের দিন দিব্যার উত্তরপ্রদেশের এক বান্ধবী ফোন করে জানিয়েছিলেন, দিব্যা ৩২৩ র‌্যাঙ্ক করেছেন। এরপর পরিবারের তরফ থেকে বারবার ইউপিএসসি‍‍`র অফিশিয়াল সাইটে রেজাল্ট দেখার চেষ্টা করা হলেও সার্ভারের সমস্যা থাকার কারণে ফল দেখতে অসমর্থ হন। এই ভুলের জন্য তিনি ক্ষমাও চেয়েছেন।

অন্যদিকে ঘটনাটি প্রকাশ্যে আসতেই তৎপর হয়েছে প্রশাসন। পুরো বিষয়টি অনিচ্ছাকৃত ভুল হতেই পারে না, দাবি জেলা প্রশাসনের। একমাত্র ‘মানুষের ভুল’-এর কারণেই পুরো বিষয়টি ঘটেছে। যদিও প্রশাসনের তরফ থেকে দিব্যা বা তাঁর পরিবারের বিরুদ্ধে কোনও পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়নি। দিব্যার পরিবার জানিয়েছেন, তাঁরা উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে এই ভ্রান্ত খবর প্রচার করেননি। পুরোটাই হয়েছে ভুল বোঝাবুঝির কারণে।