রবিবার, ১৯ মে, ২০২৪

আজ হিজাব মামলার রায়দান! অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে কর্ণাটকের একাধিক জায়গায় জারি ১৪৪ ধারা

আত্রেয়ী সেন

প্রকাশিত: মার্চ ১৫, ২০২২, ১০:৩৯ এএম | আপডেট: মার্চ ১৫, ২০২২, ০৪:৩৯ পিএম

আজ হিজাব মামলার রায়দান! অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে কর্ণাটকের একাধিক জায়গায় জারি ১৪৪ ধারা
আজ হিজাব মামলার রায়দান! অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে কর্ণাটকের একাধিক জায়গায় জারি ১৪৪ ধারা / প্রতীকী ছবি

বংনিউজ২৪x৭ ডিজিটাল ডেস্কঃ অবশেষে অপেক্ষার অবসান। আজ রায়দান হতে চলেছে হিজাব মামলার। কর্ণাটক হাইকোর্টে আর কিছুক্ষণের মধ্যেই হবে এই মামলার রায় ঘোষণা। কিন্তু তার আগে গোটা রাজ্যের একাধিক জায়গায় কোনরকম অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে জারি করা হয়েছে ১৪৪ ধারা। পাশাপাশি রাজধানী বেঙ্গালুরুও ব্যাপক পুলিশি নিরাপত্তা বলয়ে মুড়ে দেওয়া হয়েছে।

জানা গিয়েছে, বেঙ্গালুরুতে পুলিশ কমিশনার কমল পন্থ সমস্ত রকম জমায়েত, প্রতিবাদ কর্মসূচি বা উৎসব-অনুষ্ঠান বাতিল করেছেন ২১ মার্চ পর্যন্ত। সোমবার সন্ধের সময় কর্ণাটক হাইকোর্টের আধিকারিকদের সঙ্গে পুলিশের শীর্ষকর্তাদের সঙ্গে বৈঠকের পরই এই নির্দেশিকা জারি করা হয়েছে বলেই জানা গিয়েছে। হিজাব কাণ্ডের মূল কেন্দ্র উদুপি এবং দক্ষিণ কন্নড়ে জেলা প্রশাসন সমস্ত স্কুল-কলেজে আজ ছুটি ঘোষণা করেছে।  

উল্লেখ্য, ২৫ ফেব্রুয়ারি প্রধান বিচারপতি ঋতুরাজ অবস্থি, বিচারপতি কৃষ্ণ এ দীক্ষিত এবং জাইবুন্নিসা মহিদিন খাজির বেঞ্চ রায়দান স্থগিত রাখেন। উদুপি জেলায় কলেজ পড়ুয়া মুসলিম ছাত্রীদের পিটিশনের ভিত্তিতে এই মামলা চলছে। চলতি বছরের ফেব্রুয়ারি ১০ তারিখ মামলার শুনানির শুরুতেই এই মামলার আবেদনকারীরা দাবি করেন, ক্লাসরুমে হিজাব পড়ার অধিকার ধর্মীয় স্বাধীনতা এবং বাক-স্বাধীনতারই অঙ্গ। ফেব্রুয়ারিরই ৫ তারিখ কর্ণাটক সরকারের শিক্ষা বিভাগের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের হিজাব নিষিদ্ধের নির্দেশিকাকে চ্যালেঞ্জ করেই তাঁরা এই মামলা করেন। 

এদিকে, মনে করা হচ্ছে যে, এদিন হাইকোর্টের রায়দানের উপর ভিত্তি করেই আবেদনকারীরা সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হতে পারেন। পাশপাশি এদিন যদি হাইকোর্টর রায় কর্ণাটক সরকারের পক্ষে না যায়, তাহলে সরকার পক্ষও শীর্ষ আদালতের দ্বারস্থ হতে পারে বলেই মনে করা হচ্ছে। তবে, রাজ্য প্রশাসন এবং পুলিশের পক্ষ থেকে আশা করে হচ্ছে যে, অতি দ্রুত বিষয়টির নিষ্পত্তি হবে। কারণ রাজ্যে দশম শ্রেণির বোর্ডের পরীক্ষা শুরু হতে চলেছে চলতি মাসের ২৮ তারিখ থেকে। পাশাপাশি একাদশ এবং দ্বাদশ শ্রেণির পরীক্ষাও হয়েছে এপ্রিলে। কাজেই এই বিষয়কে কেন্দ্র করে অশান্তির সৃষ্টি হলে, তার প্রভাব পড়বে পরীক্ষার উপরে। তেমন হলে পরীক্ষা পিছিয়েও যেতে পারে।