সোমবার, ২৯ এপ্রিল, ২০২৪

‘ধর্মীয় প্রচারে দিনে ৫ বার লাউড স্পিকার বাজানো বন্ধ হওয়া উচিত’! বললেন রূপা গঙ্গোপাধ্যায়

আত্রেয়ী সেন

প্রকাশিত: এপ্রিল ৫, ২০২২, ০১:৩৮ পিএম | আপডেট: এপ্রিল ৫, ২০২২, ০৭:৩৮ পিএম

‘ধর্মীয় প্রচারে দিনে ৫ বার লাউড স্পিকার বাজানো বন্ধ হওয়া উচিত’! বললেন রূপা গঙ্গোপাধ্যায়
‘ধর্মীয় প্রচারে দিনে ৫ বার লাউড স্পিকার বাজানো বন্ধ হওয়া উচিত’! বললেন রূপা গঙ্গোপাধ্যায়

বংনিউজ২৪x৭ ডিজিটাল ডেস্কঃ ইসলাম ধর্মের রীতি অনুসারে, পবিত্র রমজান মাস শুরু হয়েছে। এদিকে, রমজান মাস শুরু হতেই মসজিদে মাইক বাজানো নিয়ে কড়া হুঁশিয়ারি দেন সম্প্রতি এমএনএস সুপ্রিমো তথা প্রয়াত বাল ঠাকরের ভাইপো রাজ ঠাকরে। মহারাষ্ট্রে সম্প্রতি মসজিদে লাউড স্পিকার বাজানো নিয়ে সরব হয়েছিলেন মহারাষ্ট্রের নব নির্মাণ সেনার নেতা রাজ ঠাকরে। তিনি হুঁশিয়ারির সুরে বলেছিলেন যে, ‘কারও প্রার্থনায় আমার আপত্তি নেই। কিন্তু মাইক বাজিয়ে নমাজ পড়া বরদাস্ত করা হবে না।’ তিনি এও বলেন যে, লাউড স্পিকার বন্ধ না হলে, হনুমান চল্লিশা বাজানো হবে।

এবার এ প্রসঙ্গে মুখ খুললেন, বিজেপি সাংসদ রূপা গঙ্গোপাধ্যায়। সোমবার এই বিষয়ে মন্তব্য করেন রূপা। তিনি বলেন যে, ‘আমি বুঝতে পারছি না, ধর্মের ধর্মের সূচনাকালে আমাদের কি লাউড স্পিকারের ধারণা ছিল? এটার যৌক্তিকতা ঠিক কী? একটি ধর্ম প্রচার অন্যদের সমস্যা করা উচিত নয়। দিনে ৫-১০ বার লাউডস্পিকার বাজানোর এই প্রক্রিয়াটি চালিয়ে যাওয়া উচিত নয়।’

প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, মহারাষ্ট্র নবনির্মাণ সেনার প্রধান রাজ ঠাকরে শনিবার মহারাষ্ট্রের সরকারকে মসজিদে লাউড স্পিকার বাজানো নিয়ে সতর্কতা জারি করেছেন। শনিবার মারাঠি নববর্ষ উপলক্ষ্যে শিবাজি পার্কের এক অনুষ্ঠানে বলেন, ‘মসজিদে কেউ প্রার্থনা করতেই পারেন। আমি কারও প্রার্থনার বিরোধী নই। কিন্তু মহারাষ্ট্র সরকারকে মসজিদে মাইক বন্ধ করা নিয়ে সিদ্ধান্ত নিতে হবে। মসজিদে আপনারা কেন মাইক বাজান? ইসলাম ধর্ম যখন প্রতিষ্ঠা হয় তখন তো মাইক ছিল না।’ এরপরই হুঁশিয়ারির সুরে তিনি বলেন যে, ‘সরকার যদি মসজিদে মাইক ব্যবহার বন্ধ না করে, তাহলে এমএনএস কর্মীরাও সব মসজিদের সামনে মাইক লাগিয়ে একইভাবে হনুমান চালিশা বাজাবে।’

এখানেই শেষ নয়, রাজ ঠাকরে মাদ্রাসার শিক্ষা ব্যবস্থা নিয়েও প্রশ্ন তোলেন। মাদ্রাসার শিক্ষা ব্যবস্থা নিয়েও বিস্ফোরক অভিযোগ করেছেন তিনি। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর কাছে তিনি অনুরোধ জানিয়েছেন, মহারাষ্ট্রের মাদ্রাসা এবং মাজারগুলিতে তল্লাশি চালানোর জন্য। তাঁর দাবি, এসব জায়গায় পাকিস্তানি সমর্থক ক্রমশ বাড়ছে। তিনি আরও দাবি করেছেন যে, ‘মুম্বই পুলিশ সব জানে যে, মাদ্রাসায় ঠিক কী হয়। কিন্তু আমাদের বিধায়করা এঁদের ভোটব্যাঙ্ক হিসাবে ব্যবহার করছে। এঁদের আধার কার্ডও থাকে না। বিধায়করা তৈরি করে দেয়।’