বৃহস্পতিবার, ০২ মে, ২০২৪

ফোনে আড়ি পাতছে ‘বিগ ব্রাদার’! মারাত্মক অভিযোগ মার্গারেট আলভার, কী বলছে কেন্দ্র?

আত্রেয়ী সেন

প্রকাশিত: জুলাই ২৬, ২০২২, ০৮:০২ পিএম | আপডেট: জুলাই ২৭, ২০২২, ০২:২৬ এএম

ফোনে আড়ি পাতছে ‘বিগ ব্রাদার’! মারাত্মক অভিযোগ মার্গারেট আলভার, কী বলছে কেন্দ্র?
ফোনে আড়ি পাতছে ‘বিগ ব্রাদার’! মারাত্মক অভিযোগ মার্গারেট আলভার, কী বলছে কেন্দ্র?

বংনিউজ২৪x৭ ডিজিটাল ডেস্কঃ মার্গারেট আলভা বিরোধী শিবিরের উপরাষ্ট্রপতি পদপ্রার্থী। বর্ষীয়ান কংগ্রেস এই নেত্রী মার্গারেট আলভাই গুরুতর অভিযোগ করলেন। এদিন তিনি অভিযোগ করেছেন, তাঁর ফোনে আড়ি পাতছে ‘বিগ ব্রাদার’। ‘বিগ ব্রাদার’ বলতে কেন্দ্রীয় সরকারের কথাই বলতে চেয়েছেন তিনি। তিনি অভিযোগ করেছেন, ‘বিজেপিতে তাঁর কয়েকজন বন্ধুর’ সঙ্গে এবং অন্যান্য রাজনৈতিক দলের নেতাদের সঙ্গে কথা বলার পর থেকেই তিনি আর কারোর ফোন ধরতে পারছেন না, এমনকি কাউকে ফোন করতেও পারছেন না। তিনি এও দাবি করেছেন যে, দেশের সব রাজনৈতিক নেতাদের ফোনেই নাকি আড়ি পাতছে বিগ ব্রাদার। 

এখানেই শেষ নয়, তিনি আরও জানিয়েছেন যে, কিছু কিছু ক্ষেত্রে তাঁর কল অন্য নম্বরে চলে যাচ্ছে। অর্থাৎ তাঁর কল ডাইভার্ট হচ্ছে। আর এর পেছনে তিনি কেন্দ্রের ষড়যন্ত্র রয়েছে বলেই মনে করছেন বলে জানিয়েছেন। যদি স্বাভাবিকভাবেই উপরাষ্ট্রপতি পদপ্রার্থী মার্গারেট আলভার এই অভিযোগ সম্পূর্ণ উড়িয়ে দিয়েছে কেন্দ্রের মোদী সরকার। আলভার এই অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের রাষ্ট্রমন্ত্রী অজয় মিশ্র টেনি মন্তব্য করেছেন, মার্গারেট আলভা উপরাষ্ট্রপতি নির্বাচনে তাঁর পরাজয় নিশ্চিত জেনেই এমন হতাশাজনক মন্তব্য করছেন। 

মার্গারেট আলভার অভিযোগ অস্বীকার করে অজয় মিশ্র টেনি প্রশ্ন তুলেছেন যে, আলভার ফোনে আড়ি পেতে কী লাভ? তিনি এও বলেছেন, এইসব আদতে হতাশার বহিঃপ্রকাশ। এক সর্বভারতীয় সংবাদ সংস্থাকে তিনি এই বিষয়ে বলেছেন যে, ‘হতাশাগ্রস্ত ব্যক্তিরাই এমন কথা বলেন। তাঁর ফোন ট্যাপ করে কী লাভ? তাঁর জয়ের কোনও সম্ভাবনা নেই। হতাশা থেকেই মানুষ এই জাতীয় বিবৃতি দেয়।’

মঙ্গলবার সকালে বিরোধীদের যৌথ উপরাষ্ট্রপতি পদপ্রার্থী আলভা একটি টুইট করে বলেন, “নতুন ভারতে সমস্ত দলের রাজনীতিবিদদের সব কথোপকথন ‘বিগ ব্রাদার’ সবসময় দেখছেন ও শুনছেন। এই ভয় থেকে সব দলের সাংসদ এবং নেতারা একাধিক ফোন ব্যবহার করেন, বার বার নম্বর পরিবর্তন করেন এবং যখন তাঁরা মিলিত হন তখন ফিসফিস করে কথা বলেন। এই ভয় গণতন্ত্রকে হত্যা করছে।”

উল্লেখ্য, সোমবার রাতে আরও একটি টুইট করেন মার্গারেট। সেই টুইট তিনি করেছিলেন কেন্দ্র সরকারের টেলিকম সংস্থা বিএসএনএল এবং এমটিএনএল-কে। টুইটে তিনি তীব্র কটাক্ষ করেন। এই দুই সংস্থার উদ্দেশে তিনি টুইটে লেখেন, “যদি আপনারা আমার ফোন সারিয়ে দেন, তাহলে আমি কথা দিচ্ছি আজ রাতে কোনও বিজেপি, টিএমসি বা বিজেডি সাংসদের ফোন করব না।” 

এদিকে, ওই টুইটে তিনি এমটিএনএল সংস্থার পাঠানো একটি নোটিসও পোস্ট করেছেন। সেই নোটিসে দেখা যাচ্ছে, মার্গারেট আলভাকে অবিলম্বে ‘কেওয়াইসি’-র তথ্য জানাতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। তা না করা হলে ২৪ ঘণ্টার মধ্যে তাঁর সিমকার্ড ব্লক করে দেওয়া হবে বলেও ওই সরকারি টেলিকম সংস্থার তরফে জানানো হয়েছে। যার উত্তরে আলভা লিখেছেন, ‘আপনাদের এখন আমার কেওয়াইসি-র দরকার হল?’

প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, উপরাষ্ট্রপতি নির্বাচনে ভোট দেওয়া থেকে বিরত থাকবে বলে আগেই জানিয়ে দিয়েছে তৃণমূল কংগ্রেস। তাঁদের সঙ্গে কোনও আলোচনা ছাড়াই কোনোরকম আলোচনা না করেই উপরাষ্ট্রপতির নাম ঘোষণা করা হয়েছে। এরপরই টুইট করে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের রাগ ভাঙানোর চেষ্টা করেন মার্গারেট আলভা। ফোনও করেছিলেন আলভা বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে। তাঁকে ভোট দেওয়ার অনুরোধ জানিয়েছেন। এমনকি মার্গারেট আলভা কয়েকজন ঘনিষ্ঠ বিজেপি নেতাকেও ভোট দেওয়ার অনুরোধ করেছেন। আগামী ৬ আগস্ট রয়েছে উপরাষ্ট্রপতি নির্বাচন। এই নির্বাচনে মার্গারেট আলভার বিপরীতে এনডিএ প্রার্থী তথা বাংলার সদ্য প্রাক্তন রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড়।