মঙ্গলবার, ০৭ মে, ২০২৪

মা ও বড় মেয়েকে খুন করে ছোট মেয়ের সঙ্গে আত্মঘাতী ঘাতক প্রেমিক ড্রাইভার

আত্রেয়ী সেন

প্রকাশিত: জুলাই ১, ২০২২, ০৩:৩৪ পিএম | আপডেট: জুলাই ১, ২০২২, ০৯:৩৪ পিএম

মা ও বড় মেয়েকে খুন করে ছোট মেয়ের সঙ্গে আত্মঘাতী ঘাতক প্রেমিক ড্রাইভার
মা ও বড় মেয়েকে খুন করে ছোট মেয়ের সঙ্গে আত্মঘাতী ঘাতক প্রেমিক ড্রাইভার / প্রতীকী ছবি

বংনিউজ২৪x৭ ডিজিটাল ডেস্কঃ একই পরিবারের তিন সদস্য এবং তাঁদের সঙ্গে এক ড্রাইভারের দেহ উদ্ধারের ঘটনায় ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে মুম্বই‍য়ে। বুধবার মুম্বইয়ের কান্দিবালি ওয়েস্টে এই ঘটনা ঘটে। জানা গিয়েছে বুধবার রাত ১১ টা থেকে সাড়ে ১১ টার মধ্যেই ঘটে এই ঘটনাটি। 

জানা গিয়েছে, কান্দিভালি এলাকায় একটি পরিত্যক্ত হাসপাতাল ভবনের ভেতরে চারজনকে মৃত অবস্থায় পাওয়া গেছে, পুলিশ জানিয়েছে। এলাকার বাসিন্দারা প্রথমে বিকট আওয়াজ শুনতে পেয়ে সন্দেহ হওয়ায় পুলিশকে খবর দেয়। এরপর পুলিশ এসে একই পরিবারের তিন মহিলা সদস্য এবং এক ড্রাইভারের মৃতদেহ উদ্ধার করে। পুলিশের এক কর্মকর্তা জানিয়েছেন, দরজা ভেঙে চারজনকেই মৃত অবস্থায় উদ্ধার করা হয়। পুলিশ সন্দেহ করছে যে, ওই ড্রাইভার বছর ৪২ এর মহিলা ওই তাঁর বড় মেয়েকে খুন করে আত্মঘাতী হয়েছেন মহিলার ছোট মেয়ের সঙ্গে। মৃতদের নাম কিরণ ডালভি, মুসকান ডালভি, ভূমি ডালভি এবং শিবদয়াল সেন। 

পুলিশের পক্ষ থেকে জানান হয়েছে, ওই ডালভি পরিবার পরিত্যক্ত ওই হাসপাতালের ভবনে বিগত বেশ কয়েক বছর ধরেই থাকেন। ১৫ বছর আগে হাসপাতালটি বন্ধ হয়ে গেছে। ওই হাসপাতালের একটি ঘর থেকেই ওই মৃত মহিলা কিরণ ডালভি এবং তাঁর বড় মেয়ের রক্তাক্ত দেহ উদ্ধার করে পুলিশ। আর ওই ভবনেরই একতলা থেকে ড্রাইভার শিবদয়াল এবং মৃত মহিলা কিরণ ডালভির ছোট মেয়ের ঝুলন্তদেহ উদ্ধার হয়।

এদিকে, পুলিশ শিবদয়াল সেনের কাছ থেকে একটি সুইসাইড নোট উদ্ধার করেছে। সেখানে শিবদয়াল এবং ভূমি দুজনেই দাবি করেছেন যে, কিরণ এবং মুসকানকে নিয়ে কিছু সমস্যার কারণে তাঁদের হত্যা করে নিজেরা আত্মঘাতী হয়েছেন। সুইসাইড নোটের থেকে পুলিশের অনুমান, কিরণের ছোট মেয়ের সঙ্গে শিবদয়ালের সম্পর্ক ছিল। যা নিয়ে মালকিনের সঙ্গে অশান্তি চলছিল শিবদয়ালের। সেই অশান্তির জেরেই এই হত্যা এবং আত্মহত্যার ঘটনা ঘটে। 

এদিকে, এও জানা গিয়েছে, ঘটনার সময় কিরণের স্বামী সেখানে ছিলেন না। কিরণের স্বামী বেশ কয়েকবছর আগেই অন্য জায়গায় স্থানান্তরিত হয়েছেন। প্রতিবেশীদের বয়ান অনুযায়ী, ডালভি পরিবার কান্দিভালিতে বেশ প্রভাবশালী। এমনকি তাদের বাড়ির সামনের রাস্তাটির নাম কিরণের বাবার নামানুসারে রাখা, নাম ‘ডক্টর ডালভি মার্গ’।

অন্যদিকে, সিনিয়র পুলিস ইন্সপেকটর জানিয়েছেন, শিবদয়াল সেনের পকেটে যে সুইসাইড নোট পাওয়া গিয়েছে, তাতে লেখা ছিল, তিনি তিন মহিলাকে খুন করেছেন এবং তারপর আত্মহত্যা করেছেন। কারণ হিসাবে ভূমির প্রেমে পড়ার কথা সুইসাইড নোটে স্বীকার করেছে শিবদয়াল।