শনিবার, ০৪ মে, ২০২৪

‘ভারতের ডেয়ারি খাতে মহিলারাই অগ্রণী’, মোদীর কণ্ঠে মহিলাদের জয় জয়কার

আত্রেয়ী সেন

প্রকাশিত: সেপ্টেম্বর ১২, ২০২২, ০৭:৫৭ পিএম | আপডেট: সেপ্টেম্বর ১৩, ২০২২, ০২:১৫ এএম

‘ভারতের ডেয়ারি খাতে মহিলারাই অগ্রণী’, মোদীর কণ্ঠে মহিলাদের জয় জয়কার
‘ভারতের ডেয়ারি খাতে মহিলারাই অগ্রণী’, মোদীর কণ্ঠে মহিলাদের জয় জয়কার

বংনিউজ২৪x৭ ডিজিটাল ডেস্কঃ আজ দেশের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর কণ্ঠে শোনা গেল নারীদের জয় জয়কার। তিনি এদিন ভারতের ডেয়ারি খাতে মহিলাদের অবদানের কথা তুলে ধরলেন। সোমবার একটি অনুষ্ঠানে উপস্থিত হয়ে মোদী বলেন, দেশের মহিলারাই ডেয়ারি সেক্টরে অগ্রণী ভূমিকা পালন করেন। এদিন ইন্টারন্যাশনাল ডেয়ারি ফেডারেশন ওয়ার্ল্ড ডেয়ারি সামিট ২০২২- এর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে যোগ দেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী।

এদিন বৃহত্তর নয়ডায় ইন্ডিয়া এক্সপো সেন্টার ও মার্টে ইন্টারন্যাশনাল ডেয়ারি ফেডারেশন ওয়াল্ড ডেয়ারি সামিট ২০২২ এর আয়োজন করা হয়। সেখানেই উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। আজ উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে ভাষণ দেওয়ার সময় ডেয়ারি খাতে দেশের মহিলাদের অবদানের কথা তুলে ধরেন মোদী।

এদিন তিনি বলেন, ‘ভারতের ডেয়ারি খাতে মহিলারাই অগ্রণী… ২০১৪ সালে ভারত ১৪৬ মিলিয়ন দুধ উৎপাদন করেছে। বর্তমানে এই পরিমাণ বেড়ে হয়েছে ২১০ মিলিয়ন টন। অর্থাৎ, ৪৪ শতাংশ বেড়েছে উৎপাদন।’ এখানেই শেষ নয়, তিনি আরও বলেন, ভারতের ডেয়ারি সেক্টরে ৭০ শতাংশ মহিলারাই কাজ করেন। উল্লেখ্য, ডেয়ারি কো-অপারেটিভের এক তৃতীয়াংশ মহিলা।

দেশে যে ডিজিটাল বিপ্লব দেখা দিয়েছে, তা ডেয়ারি সেক্টরেও প্রতিফলিত হয়েছে। এদিন মোদী বলেন, ভারতের ডেয়ারি সেক্টরের জন্য তৈরি ডিজিটাল পেমেন্ট সিস্টেম সারা বিশ্বের কৃষকদের সাহায্য় করতে পারে।

প্রধানমন্ত্রী আরও বলেন, ‘ভারতের ডেয়ারি সেক্টর ব্যাপক উৎপাদনের চেয়ে জনগণের দ্বারা উৎপাদনের জন্য স্বীকৃত। আজ ৮ কোটি পরিবার ডেয়ারি সেক্টরে কর্মসংস্থান পাচ্ছে। ক্ষুদ্র আকারের দুগ্ধ চাষীদের সম্মিলিত প্রচেষ্টার কারণে ভারত বিশ্বের বৃহত্তম দুগ্ধজাত পণ্যের উৎপাদক হয়ে উঠেছে।’

অন্যদিকে, এদিন তিনি বিভিন্ন রাজ্যে গবাদি পশুর চর্মরোগের কারণে মৃত্য়ু হচ্ছে বলেও জানান। তিনি বলেন, রাজ্য সরকারের সঙ্গে মিলে কেন্দ্র সরকার গবাদি পশুদের এই রোগ নিয়ন্ত্রণে আনার চেষ্টা চালাচ্ছে। মোদী বলেন, ‘আমরা গবাদি পশুদের সর্বজনীন টিকা দেওয়ার উপরও জোর দিচ্ছি। আমরা সিদ্ধান্ত নিয়েছি যে ২০২৫ সালের মধ্যে আমরা ১০০ শতাংশ প্রাণীদের ফুট অ্যান্ড মাউথ ডিজিজ (এফএমডি) এবং ব্রুসেলোসিসের বিরুদ্ধে টিকা দেব।’

প্রসঙ্গত, বৃহত্তর নয়ডায় চারদিন ব্যাপী এই সামিটের আয়োজন করা হয়েছে। এই সামিটে শিল্পপতি, বিশেষজ্ঞ, কৃষক এবং নীতি নির্ধারক-সহ বিশ্ব ও দেশের বিভিন্ন স্টেকহোল্ডাররা অংশগ্রহণ করেছেন। এই সামিটের থিম ‘পুষ্টি ও জীবিকার জন্য ডেয়ারি’। আশা করা হচ্ছে যে, এই সামিটে ৫০ টি দেশের প্রায় ১ হাজার ৫০০ জন অংশ নেবেন। এর আগে ১৯৭৪ সালে ভারতে শেষ এরকম সম্মেলনের আয়োজন করা হয়েছিল।