শনিবার, ০৪ মে, ২০২৪

মায়ের সামনেই জন্মের পরেই নার্সের হাত থেকে পড়ে গেল সদ্যোজাত! ভয়ঙ্কর ঘটনার সাক্ষী রইল লখনউ

আত্রেয়ী সেন

প্রকাশিত: এপ্রিল ২৭, ২০২২, ১১:০২ পিএম | আপডেট: এপ্রিল ২৮, ২০২২, ০৫:০২ এএম

মায়ের সামনেই জন্মের পরেই নার্সের হাত থেকে পড়ে গেল সদ্যোজাত! ভয়ঙ্কর ঘটনার সাক্ষী রইল লখনউ
মায়ের সামনেই জন্মের পরেই নার্সের হাত থেকে পড়ে গেল সদ্যোজাত! ভয়ঙ্কর ঘটনার সাক্ষী রইল লখনউ / প্রতীকী ছবি

বংনিউজ২৪x৭ ডিজিটাল ডেস্কঃ সদ্য সদ্য জন্ম দিয়েছিলেন সন্তানের। তারপরেই তাকে হাতে নেন নার্স। কিন্তু নার্সের হাতে কোনও তোয়ালে বা কাপড় ছিল না। ওই অবস্থায়ই কর্তব্যরত নার্স সদ্যোজাতকে হাতে নেন। ব্যস তারপরেই ঘটে বিপত্তি। ছিটকে পড়ে যায় শিশুটি। তাও আবার মায়ের চোখের সামনেই। যে মা কিছুক্ষণ আগেই সন্তানের জন্ম দিয়েছিলেন সেই সন্তানের পরিণতি দেখে মুহূর্তের মধ্যেই আঁতকে ওঠেন তিনি। 

রক্ষা পায়নি ওই একরত্তি। কিন্তু এতো বড় দুর্ঘটনার পরেও, নিজের দোষ মানলেন না নার্স বা হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের কেউই। তাঁদের দাবি, মৃত সন্তানের জন্ম দিয়েছেন ওই মহিলা। এদিকে, এই ঘটনার পর, হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে অভিযোগ জানিয়েছেন শিশুটির বাবা। সম্প্রতি এই ঘটনাটি ঘটেছে উত্তরপ্রদেশের লখনউয়ের চিনহাট এলাকায়। 

এদিকে, শিশুটির দেহের ময়নাতদন্ত করা হয়েছে। তাতে দেখা গিয়েছে, শিশুটির মাথায় আঘাত লাগার কারণে মৃত্যু হয়েছে। ময়নাতদন্তের রিপোর্টের ভিত্তিতে নার্স এবং হাসপাতালের কর্মীদের বিরুদ্ধে এফআইআর করেছে পুলিশ। তদন্তকারী অফিসার অভিষেক পাণ্ডে জানান, চলতি মাসের ২০ তারিখ ময়নাতদন্তের রিপোর্ট এসেছে। রিপোর্টে মাথায় আঘাতের কথা বলা হয়েছে। 

ঘটনাটি ঘটে চলতি মাসের ১৯ তারিখ। মৃত শিশুটির বাবা জীবন রাজপুত অভিযোগ জানিয়ে, গোটা ঘটনার বর্ণনা দিয়েছেন। তিনি জানিয়েছেন, ওই দিন তাঁর স্ত্রী পুনমের প্রসব যন্ত্রণা শুরু হয়। লখনউয়ের ওই বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি করা হয় তাঁকে। সেই রাতেই সন্তান প্রসব করেন তাঁর স্ত্রী পুনম। 

জীবন রাজপুতের কথায়, ‘আমায় হাসপাতাল থেকে বলা হয় স্ত্রী মৃত সন্তান প্রসব করেছে। পরে পুনমের সঙ্গে কথা বলে জানতে পারি, স্বাভাবিকভাবেই প্রসব হয়েছিল তাঁর। শিশুটিকে জন্মের পর জীবিত দেখেছেন তিনি। এক নার্স তোয়ালে ছাড়াই শিশুটিকে কোলে তুলে নেন। তখনই হাত থেকে পড়ে মৃত্যু হয় শিশুর। আমার স্ত্রী আতঙ্কে চিৎকার করতে থাকেন। তখন নার্স এবং অন্য চিকিৎসা কর্মীরা তাঁর মুখ চেপে ধরেন। ভয় দেখিয়ে মুখ বন্ধ রাখতে বলেন।’