শনিবার, ১৮ মে, ২০২৪

‘আমি সিইও বলছি’! হোয়াটসঅ্যাপে সেরাম কর্তার নাম দেখে, টাকা পাঠাতেই বিপত্তি, কী ঘটল তারপর?

আত্রেয়ী সেন

প্রকাশিত: সেপ্টেম্বর ১১, ২০২২, ০৯:২৮ এএম | আপডেট: সেপ্টেম্বর ১১, ২০২২, ০৪:২০ পিএম

‘আমি সিইও বলছি’! হোয়াটসঅ্যাপে সেরাম কর্তার নাম দেখে, টাকা পাঠাতেই বিপত্তি, কী ঘটল তারপর?
‘আমি সিইও বলছি’! হোয়াটসঅ্যাপে সেরাম কর্তার নাম দেখে, টাকা পাঠাতেই বিপত্তি, কী ঘটল তারপর?

বংনিউজ২৪x৭ ডিজিটাল ডেস্কঃ একটা হোয়াটসঅ্যাপ মেসেজ এসেছিল, যেখানে বলা হয়েছিল, ‘আমি সিইও বলছি, এটা আমার নতুন নম্বর।’ মেসেজ এসেছিল সেরাম ইন্সটিটিউট অব ইন্ডিয়া সংস্থার ডিরেক্টরের কাছে। এরপর মেসেজের নির্দেশ মেনে, ডিরেক্টর দ্রুত একটি ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে ১ কোটির বেশি টাকা পাঠালেন।

শুধু পাঠানোই নয়, মেসেজ পাঠিয়ে টাকা ট্রান্সফারের কথা জানাতেই বন্ধ নম্বর! কিন্তু এই বিপুল অঙ্কের টাকা পাঠানোর ক্ষেত্রে কোনও কোনও তথ্য আর যাচাই করাই হয়নি। শুধু সংস্থার সিইও-র নাম দেখেই নির্দেশ মানা হয়।

ব্যস এতেই ঘটল বিপত্তি। মেসেজ পাঠিয়ে টাকা ট্রান্সফারের কথা জানাতেই বন্ধ নম্বর! পরে খোঁজ খবর করতেই জানতে পারেন আদৌই কোনও মেসেজই পাঠাননি সিইও। তাঁর নাম নিয়ে এত বিপুল অঙ্কের টাকা হাতানো হয়েছে। এবার সেরাম সংস্থার সিইও আদার পুনাওয়ালার নাম করেই তাঁর সংস্থার সঙ্গে প্রতারণার অভিযোগ উঠল। এই ঘটনার পর ইতিমধ্যেই পুলিশে অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে।

জানা গিয়েছে, সম্প্রতি অনলাইনে এক প্রতারকের পাতা ফাঁদে দেন সেরাম সংস্থার ডিরেক্টর সতীশ দেশপাণ্ডে। তাঁর হোয়াটসঅ্যাপে একটি মেসেজ আসে, সেই মেসেজে বলা হয় যে, তিনি সংস্থার সিইও আদার পুনাওয়ালা। মেসেজে একটি অ্যাকাউন্টের নম্বর দেন। পাশাপাশি ওই অ্যাকাউন্ট নম্বরে দ্রুত ১.১ কোটি টাকা পাঠিয়ে দেওয়ার নির্দেশও দেওয়া হয়।

সংস্থার সিইও-র থাকে পাওয়া মেসেজ পাঠিয়েছেন ভেবেই কোনও সত্যতা যাচাই না করেই শুধু মেসেজের নির্দেশ মানেন। এর কিছুক্ষণ বাদেই বুঝতে পারেন কতো বড় বিপদ ঘটে গেছে। পরে ওই নম্বরে যোগাযোগ করলেও কোনও জবাব মেলেনি। অনলাইন প্রতারণার শিকার হয়েছেন বুঝেই পুলিশে অভিযোগ দায়ের করেন এরপরই সংস্থার ডিরেক্টর।

অন্যদিকে, পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, গত ৭ ও ৮ সেপ্টেম্বরে ঘটনাটি ঘটেছে। সেরাম ইন্সটিটিউট অব ইন্ডিয়ার ডিরেক্টর সতীশ দেশপাণ্ডের কাছে একটি মেসেজ আসে। তাতে বলা হয় যে, সংস্থার সিইও আদার পুনাওয়ালা কথা বলছেন। তাঁর এখনই টাকার দরকার। কয়েকটি ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট নম্বর দিচ্ছেন তিনি, সেখানে যেন ১ কোটি ১ লক্ষ ১ হাজার ৫৫৪ টাকা পাঠিয়ে দেন। সংস্থার সিইও মেসেজ করেছেন, সেই ভেবেই ডিরেক্টর আর কোনও প্রশ্ন করেননি। নির্দেশ অনুযায়ী ব্য়াঙ্ক অ্য়াকাউন্টে টাকা পাঠিয়ে দেন।