শনিবার, ১৮ মে, ২০২৪

তাপমাত্রা বাড়ার কারণ শুনলেন, বর্ষা নিয়ে রাজ্যগুলিকে বিশেষ পদক্ষেপ গ্রহণের নির্দেশ প্রধানমন্ত্রীর

আত্রেয়ী সেন

প্রকাশিত: মে ৬, ২০২২, ১০:০১ এএম | আপডেট: মে ৬, ২০২২, ০৪:০১ পিএম

তাপমাত্রা বাড়ার কারণ শুনলেন, বর্ষা নিয়ে রাজ্যগুলিকে বিশেষ পদক্ষেপ গ্রহণের নির্দেশ প্রধানমন্ত্রীর
তাপমাত্রা বাড়ার কারণ শুনলেন, বর্ষা নিয়ে রাজ্যগুলিকে বিশেষ পদক্ষেপ গ্রহণের নির্দেশ প্রধানমন্ত্রীর

বংনিউজ২৪x৭ ডিজিটাল ডেস্কঃ বিগত এক মাস ধরে দেশের যেকোনো প্রান্তেই তীব্র গরমে নাজেহাল মানুষ। ক্রমশ বেড়েই চলেছিল তাপমাত্রা। বেশ কিছু রাজ্যে তাপপ্রবাহের সতর্কতাও জারি করা হয়েছিল। যদিও গত সপ্তাহ থেকেই বৃষ্টি ও ঝড়ের কারণে কিছুটা হলেও স্বস্তি মিলেছে। কিন্তু এখনও তাপমাত্রা নিয়ে উদ্বেগ পুরোপুরি কাটছে না। জানা গিয়েছে, আগামী সপ্তাহ থেকে ফের দেশের বেশ কিছু রাজ্যে তাপপ্রবাহের সম্ভবনা রয়েছে। 

আবহাওয়ার এই পরিবর্তন এবং এর জেরে হওয়া সমস্যা নিয়েই প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী বৃহস্পতিবার জরুরি বৈঠকে বসেছিলেন। সরকারি সূত্রে খবর, তাপপ্রবাহ বা অত্যাধিক গরমের কারণে যাতে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা না ঘটে এবং তাতে যাতে কারও প্রাণহানি না হয়, তার জন্য যথাযথ পদক্ষেপ গ্রহণের নির্দেশ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। এর পাশাপাশি আসন্ন বর্ষা নিয়েও কেন্দ্রকে সবরকমভাবে তৈরি থাকার নির্দেশ দিয়েছেন। 

বুধবারই তিনদিনের ইউরোপ সফর শেষ করে দেশে ফিরেছেন প্রধানমন্ত্রী। এরপরই বৃহস্পতিবারই তিনি একাধিক বিষয়ে দফায় দফায় বৈঠক করেন। গতকালের এই বৈঠকে প্রধানমন্ত্রী ছাড়াও উপস্থিত ছিলেন কেন্দ্রীয় প্রতিনিধিরা, কেন্দ্রীয় আবহাওয়া দফতরের ও জাতীয় বিপর্যয় মোকাবিলা দফতরের আধিকারিকরা।

প্রধানমন্ত্রীর দফতর সূত্রে জানানো হয়েছে যে, চলতি বছরের মার্চ থেকে মে পর্যন্ত দেশের সর্বাধিক তাপমাত্রা নিয়ে প্রধানমন্ত্রীকে জানিয়েছেন তাঁরা। দফতরের বিবৃতি অনুযায়ী, প্রধানমন্ত্রী সব শুনে তাপপ্রবাহ বা অগ্নিকাণ্ডের কারণে যাতে প্রাণহানির ঘটনা না ঘটে, তার নির্দেশ দিয়েছেন। সে ব্যাপারে যথাযথ পদক্ষেপ গ্রহণের নির্দেশও দিয়েছেন মোদী। পাশাপাশি এই ধরনের কোনও ঘটনা ঘটলে, যাতে নুন্যতম সময় ব্যয় করা হয়, তা নিশ্চিত করতেও বলেন তিনি। হাসপাতালগুলিতে নিয়মিত অগ্নিসুরক্ষা ব্যবস্থা খতিয়ে দেখার নির্দেশও দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী।  

অন্যদিকে, হিমাচলপ্রদেশের দাবানলের খবর পেয়েই প্রধানমন্ত্রী জঙ্গল রক্ষার বিষয়ে গুরুত্ব আরোপ করেছেন। শুষ্ক পাতা ঝরার এই মরশুমে যাতে দাবানল ছড়িয়ে না যায় এবং পরিস্থিতি ভয়াবহ আকার গ্রহণ না করে, তার জন্য বন দফতরের আধিকারিকদের সংখ্যা আরও বাড়ানোর পাশাপাশি অগ্নিনির্বাপণের প্রশিক্ষণ ও মিয়মিত অনুশীলনের মতো একাধিক পদক্ষেপ নেওয়ার পরামর্শও দিয়েছেন তিনি। 

এদিকে, বর্ষাকাল আসন্ন। কেরলে বর্ষা ঢুকলেই, বাকি রাজ্যেও ধীরে ধীরে প্রবেশ করবে বর্ষা। অতিরিক্ত বর্ষার কারণে নিকাশি ব্যবস্থায় সমস্যা দেখা দেওয়ায় একাধিক রাজ্যেই বন্যা পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়। উল্লেখ্য, গতবছরও কেরল, তামিলনাড়ু, অন্ধ্র প্রদেশ-এর মতো রাজ্যে বন্যা হয়েছিল। সেই উদাহরণ সামনে তুলে ধরে প্রধানমন্ত্রী বন্যা পরিস্থিতি মোকাবিলার জন্য জথাজথা ব্যবস্থা গ্রহণের নির্দেশও দিয়েছেন। এছাড়াও এই সময় জলবাহিত রোগ থেকে সাধারণ মানুষকে সুরক্ষিত রাখতে, আগে থেকেই পরিষ্কার পানীয় জলের ব্যবস্থা করে রাখার কথাও বলেছেন মোদী বৈঠকে।

সবশেষে বৃহস্পতিবারের ওই বৈঠকে বন্যা পরিস্থিতিই হোক বা তাপপ্রবাহ, যেকোনো পরিস্থিতিতেই কেন্দ্র ও রাজ্যের মধ্যে সমন্বয়ের উপর জোর দিয়েছেন। রাজ্য ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলগুলিতে ‘হিট অ্যাকশন প্ল্যান’ বানানোর নির্দেশ দেওয়া হয়েছে জেলা, শহর ও রাজ্যের বিন্যাসের উপর ভিত্তি করে। এছাড়াও বন্যা পরিস্থিতি মোকাবিলার জন্যও আগে থেকে সঠিক পরিকল্পনা ও পদক্ষেপ গ্রহণের নির্দেশও দেওয়া হয়েছে।