শনিবার, ১৮ মে, ২০২৪

চূড়ান্ত অমানবিকতা! দুর্ঘটনায় মৃত ব্যক্তির দেহ নোংরা ফেলার গাড়িতে করে হাসপাতালে পাঠালো পুলিশ

আত্রেয়ী সেন

প্রকাশিত: জুন ২, ২০২২, ১১:০১ পিএম | আপডেট: জুন ৩, ২০২২, ০৫:০১ এএম

চূড়ান্ত অমানবিকতা! দুর্ঘটনায় মৃত ব্যক্তির দেহ নোংরা ফেলার গাড়িতে করে হাসপাতালে পাঠালো পুলিশ
চূড়ান্ত অমানবিকতা! দুর্ঘটনায় মৃত ব্যক্তির দেহ নোংরা ফেলার গাড়িতে করে হাসপাতালে পাঠালো পুলিশ

বংনিউজ২৪x৭ ডিজিটাল ডেস্কঃ চূড়ান্ত অমানবিকতার সাক্ষী হল রাজস্থান। পথ দুর্ঘটনায় মৃত্যু হয়েছে এক ব্যক্তির, দেহ পড়ে রয়েছে রাস্তায়। এই খবর পথচারীদের কাছে পেয়েই ঘটনাস্থলে আসে পুলিশ। মৃত ব্যক্তির দেহ ময়নাতদন্তের জন্য হাসপাতালে পৌঁছানোর প্রয়োজন ছিল। এর জন্য দরকার ছিল অ্যাম্বুলেন্সের।

কিন্তু পুলিশ অ্যাম্বুলেন্সের পরিবর্তে ওই মৃত ব্যক্তিকে নোংরা ফেলার গাড়িতে করে হাসপাতালে নিয়ে যায়। রাজস্থানের যোধপুরে এই ঘটনা ঘটেছে বুধবার। সেই ঘটনার ভিডিও ধরা পড়েছে সিসিটিভি ক্যামেরায়। ভিডিওটি প্রকাশ্যে আসতেই শোরগোল পড়ে যায়। বিষয়টি নিয়ে তদন্তের নির্দেশ দিয়েছে রাজস্থানের মানবাধিকার কমিশন। 

পুলিশ জানিয়েছে, পথ দুর্ঘটনায় মৃত ব্যক্তির নাম দেবেন্দ্র প্রজাপত। তাঁর বাড়ি বিলারায়। ওই ব্যক্তি দিনমজুরের কাজের জন্য যোধপুরেই থাকতেন। মঙ্গলবার রাতে বারকাতুল্লা স্টেডিয়ামের কাছে বাসের কাছে ঘুমিয়ে পড়েন তিনি। এদিকে, বুধবার সকালে দেবেন্দ্রকে খেয়াল করেননি বাসের চালক। তাঁর উপর দিয়েই ভুল করেই বাস চালিয়ে দেন। এর জেরেই ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয় ওই দিনমজুরের। 

এরপরই দিনমজুরের নিথর দেহ পড়ে থাকতে দেখেই পুলিশে খবর দেন পথচারীরা। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে আসে পুলিশ। এরপর দেহ সেখান থেকে ময়নাতদন্তের জন্য হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার জন্য অ্যাম্বুলেন্সে খবর দেয়নি পুলিশ। উল্টে যে ভ্যানে করে রোজ নোংরা সংগ্রহ করা হয়, সেই ভ্যানে করেই দেহ ঘটনাস্থল থেকে হাসপাতালের মর্গে নিয়ে যাওয়া হয়। এদিকে, এভাবে এক মৃত ব্যক্তির দেহ নিয়ে যাওয়ার ভিডিও ছড়িয়ে পড়ে সোশ্যাল মিডিয়ায়। এরপর থেকেই বিষয়টি নিয়ে জোর সমালোচনা শুরু হয়ে যায়। 

রাজস্থানের মুখ্যমন্ত্রী অশোক গেহলটের শহরে কীভাবে এমন অমানবিক ঘটনা ঘটল, তা নিয়েই অনেকেই প্রশ্ন তুলেছেন। পুলিশ প্রথমে এভাবে দেহ নিয়ে যাওয়ার বিষয়টি সম্পূর্ণ অস্বীকার করেছিল। কিন্তু ভিডিও ভাইরাল হতেই পুলিশের বক্তব্যও পাল্টে যায়। 

জানা গিয়েছে, বিষয়টি নিয়ে তদন্তের জন্য একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। সেই তদন্ত কমিটির নেতৃত্বে রয়েছেন প্রতাপনগরের অ্যাসিস্ট্যান্ট পুলিশ কমিশনার প্রেম ধানে। অন্যদিকে, এই বিষয়টিতে যোধপুর পুলিশ কমিশনারকে নোটিস দিয়েছেন রাজস্থানের মানবাধিকার কমিশন। ১৫ দিনের মধ্যে ঘটনার রিপোর্ট তলব করা হয়েছে।