শুক্রবার, ১৭ মে, ২০২৪

‘রাজনৈতিক স্বার্থকে দেশের স্বার্থের থেকে বেশি গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে’! বিরোধীদের আক্রমণ মোদীর

আত্রেয়ী সেন

প্রকাশিত: জুলাই ২৬, ২০২২, ১২:২০ পিএম | আপডেট: জুলাই ২৬, ২০২২, ০৬:২০ পিএম

‘রাজনৈতিক স্বার্থকে দেশের স্বার্থের থেকে বেশি গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে’! বিরোধীদের আক্রমণ মোদীর
‘রাজনৈতিক স্বার্থকে দেশের স্বার্থের থেকে বেশি গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে’! বিরোধীদের আক্রমণ মোদীর

বংনিউজ২৪x৭ ডিজিটাল ডেস্কঃ বিরোধীরা দেশের স্বার্থের থেকে রাজনৈতিক স্বার্থকে বেশি গুরত্ব দিচ্ছে। সোমবার এই ভাষাতেই বিরোধীদের আক্রমণ করলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। প্রধানমন্ত্রী অভিযোগ করেন যে, বিরোধীরা সরকারি কাজে বাধা দেওয়ার চেষ্টা করছে। এদিকে, গত সপ্তাহেই বাদল অধিবেশন শুরুর সময় থেকেই দেশে মূল্যবৃদ্ধিকে কেন্দ্র করে বিরোধীদের শোরগোলের জেরে সংসদের উভয় কক্ষের অধিবেশন মুলতবি করা হয়। 

অন্যদিকে, সমাজবাদী পার্টির রাজ্যসভার প্রাক্তন সাংসদ হরমোহন সিংয়ের দশম মৃত্যু বার্ষিকীতে এক ভার্চুয়াল অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। তিনি তাঁর বক্তব্যে বিরোধীদের আক্রমণ করে বলেন যে, ‘বিভিন্ন সময়ে বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলি সরকারের কাজে বাধা তৈরি করছে, কারণ তারা যখন ক্ষমতা ছিল, কাজগুলির বাস্তবায়ন করতে পারেনি।’

প্রধানমন্ত্রী জানিয়েছেন, সরকার কোনও সিদ্ধান্ত নিলেই বিরোধীরা টা নিয়ে প্রশ্ন তোলেন। প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘যদি সরকারি সিদ্ধান্তগুলি বাস্তবে রূপ দেওয়ার চেষ্টা করা হয়, তবে বিরোধীরা তার বিরোধিতা করে। দেশের মানুষ এই আচরণ মোটেও পছন্দ করেন না।’ নরেন্দ্র মোদী জানিয়েছেন যে, সাম্প্রতিক সময়ে মতাদর্শ বা রাজনৈতিক স্বার্থকে সমাজ ও দেশের স্বার্থের থেকে বেশি গুরুত্ব দেওয়ার প্রবণতা লক্ষ করা যাচ্ছে। 

এই বিষয়ে সোমবার মোদীর বক্তব্যে দেশের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী অটল বিহারী বাজপেয়ীর কথাও উঠে আসে। বাজপেয়ীর কথা মনে করিয়ে দিয়ে মোদী বলেন, ‘রাজনৈতিক দলের অস্তিত্ব টিকে রয়েছে গণতন্ত্রের জন্য, গণতন্ত্র টিকে রয়েছে দেশের জন্য। দেশের বেশিরভাগ রাজনৈতিক দল, মূলত অ-কংগ্রেসি রাজনৈতিক দলগুলি এই নীতি মেনে চলেছে।’ নরেন্দ্র মোদী আরও জানিয়েছেন যে, দেশে জরুরি অবস্থার সময় যখন গণতন্ত্র ধ্বংস করে দেওয়া হয়েছিল, তখন সব গুরুত্বপূর্ণ রাজনৈতিক দলগুলির একসঙ্গে সংবিধানকে রক্ষা করেছিল। 
উল্লেখ্য, সোমবার সংসদের অধিবেশন শুরু হতে ৪ জন কংগ্রেস সাংসদকে গোটা বাদল অধিবেশনের জন্য সাসপেন্ড করে দেওয়া হয়। ওই কংগ্রেস সাংসদরা সংসদরে ভিতরে হাতে প্ল্যাকার্ড নিয়ে মূল্যবৃদ্ধির প্রতিবাদে সোচ্চার হয়েছিলেন। লোকসভার অধ্যক্ষ ওম বিড়লা তাঁদের সতর্ক করলেও, তাতে কর্ণপাত না করে, তাঁরা প্রতিবাদ চালিয়ে গিয়েছিলেন। সাসপেন্ড হওয়া কংগ্রেস সাংসদরা সংসদ চত্বরে গান্ধীমূর্তি পাদদেশেও বিক্ষোভ দেখিয়েছিলেন।