‘ভারত জোড়ো যাত্রা’য় দিব্যার কপালে চুম্বন রাহুলের! লাগাতার কটাক্ষ বিজেপির, পাল্টা জবাব নেত্রীর

বংনিউজ২৪x৭ ডিজিটাল ডেস্কঃ দেখতে দেখতে দুমাস পেরিয়ে গেছে কংগ্রেসের জনসংযোগ কর্মসূচি ‘ভারত জোড়ো যাত্রা’র। এই কর্মসূচিকে কেন্দ্র করে শুরু থেকেই কংগ্রেসকে আক্রমণ করে চলেছে পদ্ম শিবির। বিশেষ করে কংগ্রেস সাংসদ তথা নেতা রাহুল গান্ধীকে এই কর্মসূচিতে নানা সময় বিভিন্ন বিষয়ে লাগাতার কটাক্ষ করতে দেখা গিয়েছে বিজেপিকে। এবারও তেমনই হয়েছে। এবার রাজস্থানের কংগ্রেস বিধায়ক দিব্যা মদের্নার সঙ্গে রাহুলের একটি ছবিকে কেন্দ্র করে একইভাবে কটাক্ষ করতে দেখা দিয়েছে গেরুয়া শিবিরকে। তবে, পাল্টা সমুচিত জবাব দিয়েছেন দিব্যাও। আর সেটা নিয়েই এই মুহূর্তে সরগরম নেটপাড়া।

ঠিক কী দেখা গিয়েছে ওই ছবিতে? আসলে ওই ছবিতে রাজস্থানে ভারত জোড়ো যাত্রা চলাকালীন রাহুলকে দিব্যার কপালে চুম্বন করতে দেখা গিয়েছে। এই ছবিটি শেয়ার করেছিলেন কংগ্রেস বিধায়ক দিব্যা নিজেই। সেই পোস্টে তিনি বিজেপিকে আক্রমণ করেছিলেন। এরপরই হরিয়ানার বিজেপির আইটি সেলের প্রধান অরুণ যাদব ছবিটি টুইট করে বিতর্কে নতুন মাত্রা যোগ করেন। তিনি ছবিটির ক্যাপশনে কী হতে পারে তা জানতে চেয়ে খোঁচা দেন কংগ্রেস শিবিরকে।

এরপরই তাঁকে পাল্টা জবাব দেন দিব্যা। একটি নয়, ৭ টি ক্যাপশন দিয়ে আলাদা আলাদাভাবে নেত্রী ছবিটি ফের একবার পোস্ট করেন সোশ্যাল মিডিয়ায়। আর প্রতিটি পোস্টেই গেরুয়া শিবিরকে আক্রমণ করেন তিনি। যা নিয়েই এখন বিতর্ক তুঙ্গে। ঠিক কী ধরনের ক্যাপশন দিয়েছেন দিব্যা? একটি ক্যাপশনে তিনি লেখেন, ‘লজ্জা হওয়া উচিত আপনার। যদি আপনারও মেয়ে, স্ত্রী, মা থাকত…’ আবার অন্য একটিতে ক্যাপশনে লেখেন, ‘চরিত্র হনন বন্ধ করুন। রাজনৈতিক আক্রমণের ভিন্ন রাস্তা অবলম্বন করুন।’

শুধু যে বিজেপিকে বিঁধেছেন দিব্যা তাই নয়, কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধীর ভূয়সী প্রশংসা করেছেন তিনি। তিনি তাঁর পোস্টে লেখেন, ‘বড়দাদা, রক্ষক, অভিভাবক’, ‘করুণা ও মানবিক গুণে পরিপূর্ণ আমাদের নেতা রাহুল গান্ধী’, এভাবেই নানা বিশেষণে ভরিয়ে দিয়েছেন রাহুলকে। আবার বলেন, ‘ঐতিহাসিক ভারত জোড়ো যাত্রা এক গণ আন্দোলনের চেহারা নিয়েছে। বিজেপির নিরাপত্তাহীনতা স্পষ্ট দেখা যাচ্ছে’। এভাবেই একাধিক পোস্টের মাধ্যমে বিজেপিকে নিশানা করেছেন এবং জবাব দিয়েছেন কংগ্রেস বিধায়ক দিব্যা।

প্রসঙ্গত, উল্লেখ্য,দেশের ১২টি রাজ্যে ‘ভারত জোড়ো যাত্রা’ করছে কংগ্রেস। কয়েকদিন আগেই রাহুল বলেছিলেন, এই যাত্রা শুধুমাত্র রাজনৈতিক কর্মসূচি নয়। তাঁর কাছে এই যাত্রা ব্যক্তিগত পর্যায়ের। নিজেকে ও এই দেশকে ভাল করে বুঝতে চাওয়াও তাঁর এই যাত্রায় অংশ নেওয়ার মূল উদ্দেশ্য।