বুধবার, ০৮ মে, ২০২৪

কলেজের অধ্যাপকদের হাতে প্রহৃত অবসরপ্রাপ্ত অধ্যাপক! অভিযোগ করাতেই কি এই পরিণতি?

আত্রেয়ী সেন

প্রকাশিত: ডিসেম্বর ১৫, ২০২২, ০৪:৩৬ পিএম | আপডেট: ডিসেম্বর ১৫, ২০২২, ১০:৩৬ পিএম

কলেজের অধ্যাপকদের হাতে প্রহৃত অবসরপ্রাপ্ত অধ্যাপক! অভিযোগ করাতেই কি এই পরিণতি?
কলেজের অধ্যাপকদের হাতে প্রহৃত অবসরপ্রাপ্ত অধ্যাপক! অভিযোগ করাতেই কি এই পরিণতি?

বংনিউজ২৪x৭ ডিজিটাল ডেস্কঃ দীর্ঘদিন ধরেই কলেজে শিক্ষকতার সঙ্গে যুক্ত ছিলেন। এরপর অবসর গ্রহণের পরে কলেজ কর্তৃপক্ষের তরফে তাঁকে কলেজের শৃঙ্খলা রক্ষা কমিটির সদস্য বানানো হয়েছিল। দায়িত্ব গ্রহণের পর তাঁর প্রধান কাজই ছিল, কলেজে শৃঙ্খলা রক্ষা হচ্ছে কিনা তা দেখা। এদিকে, সেই দায়িত্ব নিষ্ঠার সঙ্গে পালন করতে গিয়েই চরম পরিণতি হল অবসরপ্রাপ্ত অধ্যাপকের। কলেজেরই অন্য তিন অধ্যাপকের হাতে বেধড়ক মার খেলেন ওই বর্ষীয়ান অধ্যাপক। এই লজ্জাজনক ঘটনাটি ঘটেছে উত্তরপ্রদেশের কানপুরে।

জানা গিয়েছে, কানপুরের একটি কলেজেই শৃঙ্খলা রক্ষা কমিটির সদস্য আফজল আহমেদ হালিম সম্প্রতি অভিযোগ করেছিলেন যে, তিনজন অধ্যাপক নিয়মিত দেরি করে আসেন। অধিকাংশ সময়ে ক্লাসও নেন না। এদিকে, কলেজ কর্তৃপক্ষের কাছে এই অভিযোগ জমা পড়তেই অভিযুক্ত তিন অধ্যাপক তাঁর উপরে কলেজেই চড়াও হন। এবং প্রকাশ্যে বেধড়ক মারধর করেন।

পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, ঘটনাটি ঘটেছে কানপুরের চমনগঞ্জে। শহরের একটি কলেজেরই অধ্যাপক ছিলেন তিনি। কয়েক বছর আগেই অবসর নেন তিনি। তবে, অবসরের পরেও কলেজ কর্তৃপক্ষের তরফ থেকেই তাঁকে শৃঙ্খলা রক্ষা কমিটির সদস্য হিসেবে রাখা হয়। বিগত কয়েক মাস এই দায়িত্বে থেকে নজর রাখার পরে তিনি অভিযোগ করে যে, মহম্মদ সাজিদ, মাসুর আহমেদ ও সইদ মাজ় হুসেন নামক তিন অধ্যাপক নিয়মিত দেরি করে আসেন। ক্লাসও নেন না ঠিকভাবে।

অন্যদিকে, তাঁর এই অভিযোগ কলেজ কর্তৃপক্ষের কাছে জমা পড়তেই কলেজ কর্তৃপক্ষের তরফে ওই তিন অধ্যাপকের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। গত ১০ ডিসেম্বর অভিযুক্ত ওই তিন শিক্ষক কলেজে আসেন। সেই সময় অবসরপ্রাপ্ত ওই অধ্যাপক এক অপর অধ্যাপকের সঙ্গে কথা বলছিলেন। সেই সময় আচমকাই ওই তিন অধ্যাপক তাঁকে গালিগালাজ করতে শুরু করেন। এরপর তাঁর উপর চড়াও হয়ে মারধর করতেও শুরু করেন।

মারধরের ঘটনার পরই কলেজ কর্তৃপক্ষের পক্ষ থেকে চমনগঞ্জ পুলিশ স্টেশনে অভিযোগ দায়ের করা হয়। কিন্তু পুলিশ কোনও পদক্ষেপই গ্রহণ করেনি বলে অভিযোগ। কিন্তু সম্প্রতিই কলেজের সিসিটিভি ফুটেজ ভাইরাল হয়, যেখানে ওই বৃদ্ধ অধ্যাপককে নির্মমভাবে মারধর করতে দেখা যায় অভিযুক্ত তিন অধ্যাপককে। ভিডিওটি পুলিশ কমিশনার দেখার পরই তদন্তের নির্দেশ দেন। বর্তমানে পলাতক অভিযুক্ত তিন অধ্যাপকই।