সোমবার, ২০ মে, ২০২৪

উৎসবের মেজাজে সুর ভঙ্গ! দুই গোষ্ঠীর মধ্যে সংঘর্ষের জেরে হাসপাতালে চলল গুলি, আহত এক পড়ুয়া

আত্রেয়ী সেন

প্রকাশিত: সেপ্টেম্বর ৩০, ২০২২, ০৯:২৬ এএম | আপডেট: সেপ্টেম্বর ৩০, ২০২২, ০৩:৩১ পিএম

উৎসবের মেজাজে সুর ভঙ্গ! দুই গোষ্ঠীর মধ্যে সংঘর্ষের জেরে হাসপাতালে চলল গুলি, আহত এক পড়ুয়া
উৎসবের মেজাজে সুর ভঙ্গ! দুই গোষ্ঠীর মধ্যে সংঘর্ষের জেরে হাসপাতালে চলল গুলি, আহত এক পড়ুয়া

বংনিউজ২৪x৭ ডিজিটাল ডেস্কঃ উৎসবমুখর চারদিক, সেই উৎসবের মেজাজে সুর ভঙ্গ হল ছাত্র সংগঠনের মধ্যে রেষারেষিতে। বিশ্ববিদ্যালয়ের পড়ুয়াদের দুই গোষ্ঠীর মধ্যে সংঘর্ষের জেরে হাসপাতালের মধ্যেই চলল গুলি। এই ঘটনায় এক পড়ুয়া আহত হয়েছেন বলেই খবর। আচমকাই গুলি চালানোর কারণে হাসপাতালে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। পরিস্থিতি এমন পর্যায়ে যায় যে, সামাল দিতে পুলিশের পাশাপাশি নামানো হয় র্যা ফও। বৃহস্পতিবার রাতে এই ঘটনা ঘটেছে রাজধানী দিল্লির এক হাসপাতালে।

পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, এই ঘটনাটি ঘটেছে দক্ষিণ দিল্লির ওখলায়। হোলি ফ্যামিলি হাসপাতালেই রাতে পড়ুয়াদের দুই গোষ্ঠীর মধ্যে সংঘর্ষের জেরে গুলি চালানোর ঘটনা ঘটে। এলাকার বাসিন্দারাই পুলিশে ফোন করে খবর দেন। সঙ্গে সঙ্গেই ঘটনাস্থলে এসে পৌঁছায় পুলিশ। এই গুলি চালানোর ঘটনায় এক পড়ুয়া আহত হয়েছে।

পুলিশের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে যে, বৃহস্পতিবার রাতে হাসপাতাল চত্বরেই পড়ুয়াদের দুই গোষ্ঠীর মধ্যে বচসা শুরু হয়ে যায়। মনে করা হচ্ছে, অভিযুক্তরা জামিয়া মিলিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র বলেই মনে করা হচ্ছে। বচসা ক্রমে হাতাহাতির রূপ নেয়। এরপরেই এক গোষ্ঠীর পক্ষ থেকে গুলি চালানো হয়। এতেই এক পড়ুয়া আহত হন। তাঁর মাথায় গুলি লেগেছে বলেই জানা গিয়েছে। আহত পড়ুয়াকে হোলি ফ্যামিলি হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়েছে।

ওই হাসপাতালের এক চিকিৎসক এই ঘটনা প্রসঙ্গে জানিয়েছেন যে, অনেকক্ষণ ধরেই দুই গোষ্ঠীর মধ্যে বচসা চলছিল। রাত ৯ টা নাগাদ আচমকাই গুলি চালানোর শব্দ শোনা যায়। এরপরেই হাসপাতালে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। হাসপাতালের রোগী এবং তাঁদের পরিবারের সদস্যরা হাসপাতালে থাকা নিয়ে আতঙ্কিত হয়ে পড়েন। পরে অবশ্য পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।

অন্যদিকে, গুলি চালানোর ঘটনার পরে হাসপাতালের পক্ষ থেকে একটি বিবৃতি প্রকাশ করা হয়। তাতে বলা হয়েছে যে, স্থানীয় এলাকার দুই গোষ্ঠীর মধ্যে সংঘর্ষ চলছিল। আচমকাই গুলি চালানো হয়। এক পড়ুয়া আহত হলেও, বাকি কোনও পথচারী, রোগী বা তাঁর পরিবারের কেউ আহত হননি।