বুধবার, ০৮ মে, ২০২৪

ইউক্রেনে আটকে থাকা ভারতীয় পড়ুয়াদের মারধর! দ্রুত দেশে ফেরানোর আর্জি রাহুল গান্ধীর

আত্রেয়ী সেন

প্রকাশিত: ফেব্রুয়ারি ২৮, ২০২২, ০১:০১ পিএম | আপডেট: ফেব্রুয়ারি ২৮, ২০২২, ০১:৩১ পিএম

ইউক্রেনে আটকে থাকা ভারতীয় পড়ুয়াদের মারধর! দ্রুত দেশে ফেরানোর আর্জি রাহুল গান্ধীর
ইউক্রেনে আটকে থাকা ভারতীয় পড়ুয়াদের মারধর! দ্রুত দেশে ফেরানোর আর্জি রাহুল গান্ধীর

বংনিউজ ২৪x৭ ডিজিটাল ডেস্কঃ ইউক্রেনে এখনও আটকে ভারতীয় পড়ুয়ারা। এদিকে, রুশ সেনার ইউক্রেন আক্রমণের পর বেশ কয়েকদিন কেটে গেলেও, এখনও যুদ্ধ পরিস্থিতির কোনও উন্নতি নেই। যদিও রবিবারই রাশিয়া-ইউক্রেন উভয়েই যুদ্ধ পরিস্থিতি এবং তার সমাধান নিয়ে আলোচনায় বসতে রাজি হয়েছে। জানা গিয়েছে, বেলারুসে বসবে সেই আলোচনা। কিন্তু বৈঠকের কথা হলেও, এখনও ইউক্রেনে রুশ সেনার দাপট জারি রয়েছে। উল্টে রাজধানী কিভের উদ্দেশে নতুন করে আরও বেশি সংখ্যায় রুশ বাহিনী রওনা দিয়েছে। উপগহ চিত্রে সেটা ধরাও পড়েছে। 

এই পরিস্থিতিতে ইউক্রেনে আটকে থাকা হাজার হাজার ভারতীয় পড়ুয়ারাই এখন ভারতের কাছে চিন্তার বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে। যদিও আগেই ভারত সরকার ইউক্রেন প্রেসিডেন্টকে ভারতীয়দের নিরাপত্তা সুনিশ্চিত করার কথা জানিয়েছে। প্রতিকূলতার মধ্যেই রোমানিয়ার সীমান্তের কাছে তাঁদের দিন কাটছে। ইতিমধ্যে বেশ কিছু সংখ্যক ভারতীয়কে দেশে ফেরানোও হয়েছে ‘অপারেশন গঙ্গা’র অধীনে।  তারপরেও এখনও অনেকেই আটকে। রুশ সেনার আক্রমণে সবক্ষেত্রে তা সম্ভব হয়ে উঠছে না। 

ইউক্রেনের নাগরিকদের সঙ্গেই বাঙ্কারে প্রাণ হাতে নিয়ে দিন কাটাচ্ছেন ভারতীয় নাগরিকরাও। এই আবহে যুদ্ধবিধ্বস্ত ইউক্রেন থেকে ভারতীয়দের ফেরাতে বিভিন্ন মহল থেকে চাপ আসছে। এবার এই ব্যাপারে কেন্দ্র সরকারের কাছে আবেদন জানালেন কংগ্রেস সাংসদ রাহুল গান্ধীও। টুইটারে তিনি একটি ভিডিও শেয়ার করে লিখেছেন যে, যতোটা সম্ভব তাড়াতাড়ি যেন ভারতীয় পড়ুয়াদের দেশে ফিরিয়ে আনে ভারত সরকার। খুবই অসহায় অবস্থায় দিন কাটছে ওদের ওখানে।  

ভিডিও শেয়ার করে এদিন রাহুল লেখেন, ‘বাঙ্কারে ভারতীয় ছাত্রদের এই ছবি উদ্বেগজনক। আমি তাঁদের উদ্বিগ্ন পরিবারের সদস্যদের পাশে আছে। ছাত্র-ছাত্রীদের পরিবারদের এই ভিডিও না দেখাই ভাল৷ পাশাপাশি আমি ভারত সরকারকে জরুরি ভিত্তিতে উদ্ধারকাজ কার্যকর করার জন্য আবেদন জানাচ্ছি। আমরা আমাদের নিজেদের মানুষদের এভাবে ফেলে রাখতে পারি না৷’ তিনি আরও বলেন যে, ভারত সরকারের উচিত অবিলম্বে ছাত্র-ছাত্রীদের ইউক্রেন থেকে নিয়ে আসার পরিকল্পনা করা। সরকারেরও উচিত এই পরিকল্পনা ওই ছাত্রছাত্রীদের জানানো, সেই সঙ্গে তাঁদের অভিভাবকদেরও জানানো।