শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল, ২০২৪

‘বিয়ে ভেঙে যাবে, দয়া করে পাশ করিয়ে দিন’! খাতায় পরীক্ষার্থীর আজব আর্জি দেখে চোখ কপালে পরীক্ষকের

চৈত্রী আদক

প্রকাশিত: মে ৩, ২০২২, ০৮:০৪ এএম | আপডেট: মে ৩, ২০২২, ০২:০৪ পিএম

‘বিয়ে ভেঙে যাবে, দয়া করে পাশ করিয়ে দিন’! খাতায় পরীক্ষার্থীর আজব আর্জি দেখে চোখ কপালে পরীক্ষকের
‘বিয়ে ভেঙে যাবে, দয়া করে পাশ করিয়ে দিন’! খাতায় পরীক্ষার্থীর আজব আর্জি দেখে চোখ কপালে পরীক্ষকের / প্রতীকী ছবি

বংনিউজ২৪×৭ ডিজিটাল ডেস্কঃ ফের সংবাদ শিরোনামে উত্তরপ্রদেশ। তবে এবার কোনও হিংসা-হানাহানির ঘটনা ঘটেনি। বরং পরীক্ষার উত্তরপত্র দেখতে গিয়ে রীতিমতো চক্ষু চড়কগাছ হচ্ছে পরীক্ষকদের। পরীক্ষার খাতায় উত্তর লেখার বদলে ছাত্র-ছাত্রীরা খাতার পাতা ভরিয়েছে একগুচ্ছ আর্জিতে। এ কোনও যেসে আর্জি নয়। এমনই আবদার করেছে যা দেখে আঁতকে উঠেছেন পরীক্ষকরা। খাতা দেখতে তাঁদের একেবারে গলদঘর্ম অবস্থা হচ্ছে।

ঠিক কী ঘটেছে? উত্তরপ্রদেশের দশম এবং দ্বাদশ শ্রেণীর পড়ুয়াদের খাতা দেখতে গিয়ে রীতিমতো বিপদে পড়েছেন পরীক্ষকরা। এক পরীক্ষার্থী খাতায় লিখেছেন, ‘স্যার, পরীক্ষায় ফেল করার জন্য আমার তিনবার বিয়ে ভেঙে গিয়েছে। অনেক কষ্টে আমার জন্য একটি পাত্র ঠিক করা হয়েছে। কিন্তু, তারা আবার শর্ত রেখেছে যে দ্বাদশ শ্রেণিতে পাশ করতেই হবে। আমার বাবা-মা, গোটা পরিবার অত্যন্ত চিন্তায় রয়েছে। দয়া করে এই পরীক্ষায় আমাকে পাশ করিয়ে দিন। এবারের মতো যাতে আমার বিয়েটা হয়ে যায় সেদিকটা একটু ভেবে দেখুন প্লিজ’।

এখানেই শেষ নয়, পরীক্ষক যাতে তাদের আবদার রাখেন তার জন্য রীতিমতো ঘুষ দেওয়ার নজিরও রয়েছে। এক্ষেত্রে খাতার ভেতর থেকে মাঝেমাঝেই মিলছে ১০০, ২০০ বা ৫০০ টাকার নোট। কেউ কেউ নোটটিকে সুতো দিয়ে পাকিয়ে দিয়েছে আবার কেউ কেউ সেলোটেপ দিয়ে খাতার সঙ্গে জুড়ে দিয়েছে। ছাত্র-ছাত্রীদের এমন কাণ্ড দেখে আকাশ থেকে পড়ছেন শিক্ষক-শিক্ষিকারা।

পরীক্ষার খাতায় এরকম ছবি সচরাচর দেখা যায় না। তাই স্বাভাবিকভাবেই এরকম ঘটনা দেখে অবাক হয়েছেন পরীক্ষকরা। পাস করানোর জন্য কত কান্ডই না করতে হয় ছাত্র-ছাত্রীদের! নিজেদের ভবিষ্যৎ সুনিশ্চিত করা তো দূরের কথা, কেবল বিয়ে ভেঙে যাবে বলে পরীক্ষকদের ঘুষ দিয়ে পাস করতে চাওয়ার ঘটনা সত্যিই অবাক করে।

সম্প্রতি খোদ বাংলার বুকেও এই ধরনের ঘটনা ঘটতে দেখা যায়। মাধ্যমিক পরীক্ষার্থীর খাতা খুলতেই চোখ কপালে ওঠে পরীক্ষকের। কারণে পরীক্ষার্থী খাতায় যা লিখেছিল তা ধারনার বাইরে ছিল। পুষ্পা ছবির সংলাপ তুলে ওই পরীক্ষার্থী খাতায় লেখে, ‘পুষ্পা, পুষ্পরাজ, আপুন লিখেগা নেহি সালা’। এই খবর প্রকাশে আসতেই তা সোশ্যাল মিডিয়ায় রাতারাতি ভাইরাল হয়ে যায়।