শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল, ২০২৪

হাসপাতাল ভর্তি নেয়নি! এই রাজ্যের শহরে রাস্তার ধারেই সন্তানের জন্ম দিলেন মহিলা

আত্রেয়ী সেন

প্রকাশিত: নভেম্বর ২৩, ২০২২, ০৮:৪৫ পিএম | আপডেট: নভেম্বর ২৪, ২০২২, ০২:৪৫ এএম

হাসপাতাল ভর্তি নেয়নি! এই রাজ্যের শহরে রাস্তার ধারেই সন্তানের জন্ম দিলেন মহিলা
হাসপাতাল ভর্তি নেয়নি! এই রাজ্যের শহরে রাস্তার ধারেই সন্তানের জন্ম দিলেন মহিলা

বংনিউজ২৪x৭ ডিজিটাল ডেস্কঃ গুরুতর অভিযোগ! সেই সঙ্গে অমানবিকও, মঙ্গলবার অন্ধ্রপ্রদেশের তিরুপতি শহরের এক সরকারি হাসপাতালের বিরুদ্ধে গর্ভবতী মহিলাকে ভর্তি না নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। ভর্তি না হতে পেরে, রাস্তার ধারেই সন্তানের জন্ম দিয়েছেন ওই মহিলা। এই ঘটনাটি ঘটেছে মন্দির শহরে তিরুপতি ম্যাটারনিটি হাসপাতালের সামনে। একটি ভিডিও সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়েছে। যেখানে দেখা যাচ্ছে, একজন পুরুষ গর্ভবতী মহিলাকে প্রসবের জন্য সাহায্য করছেন এবং দুই মহিলা তাঁকে ঢেকে রাখার জন্য তাঁর উপরে চাদর ধরে রেখেছেন। যদিও ওই ভিডিওর অত্যতা যাচাই করেনি বংনিউজ২৪x৭ ডিজিটাল।

জানা গিয়েছে, সরকারি হাসপাতাল ওই গর্ভবতী মহিলাকে ভর্তি করতে অস্বীকার করে। এরপর প্রসব যন্ত্রণায় কাতরাতে কাতরাতে হাসপাতালে সামনেই রাস্তার উপরে সন্তান প্রসব করতে বাধ্য হন ওই মহিলা। অভিযোগ, ওই মহিলার সঙ্গে কেউ না থাকায়, হাসপাতাল তাঁকে ভর্তি নিতে পারবে না বলেই জানিয়ে দেয়।

এরপরই ওই মহিলা হাসপাতাল থেকে বেরিয়ে আসতে বাধ্য হন। এদিকে, হাসপাতাল থেকে বেরিয়ে আসার পরই তাঁর প্রসব বেদনা শুরু হয়। ওই মহিলাকে ছটফট করতে দেখে রাস্তার কয়েকজন পথচারী এগিয়ে আসেন এবং তাঁকে উদ্ধার করেন। পেশায় প্রাথমিক স্বাস্থ্য কেন্দ্রের কর্মী এক ব্যক্তি ওই মহিলাকে প্রসব করাতে এগিয়ে আসেন। রাস্তাতেই ওই মহিলা সন্তানের জন্ম দেন। এরপর স্থানীয়রা প্রতিবাদ জানালে, হাসপাতালের কর্মীরা ওই মহিলা এবং তাঁর সদ্যোজাত সন্তানকে ভর্তি করায়।

এই ঘটনায় প্রসঙ্গে ঊর্ধ্বতন স্বাস্থ্য আধিকারিকরা জানিয়েছেন, অভিযোগ পাওয়ার পরেই তদন্ত শুরু হয়েছে এবং অভিযোগ প্রমাণিত হলে, দোষীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। আরও জানানো হয়েছে যে, কোনও গর্ভবতী মহিলা যদি একাই হাসপাতালে আসেন, তাহলে তাঁকে ভর্তি না নেওয়ার কোনও নিয়ম নেই।

অন্যদিকে, গর্ভবতী মহিলাকে ভর্তি না নেওয়ার অভিযোগের জবাবে তিরুপতি কালেক্টর একটি বিবৃতি জারি করে বলেছেন যে, হাসপাতাল মহিলাকে ভর্তি করতে অস্বীকার করেনি এবং এক্ষেত্রে কোনও অবহেলা ছিল না। তিনি আরও বলেছেন যে, ওই মহিলা হাসপাতালের কাছে একটি চায়ের দোকানে্র সামনে পড়ে যান। হাসপাতালের কর্মীরা তাঁকে দেখেছেন এবং যেহেতু তিনি প্রসবের একেবারে চূড়ান্ত পর্যায়ে ছিলেন তাই তাঁকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া সম্ভব হয়নি। পরে মা ও শিশুকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। বিবৃতিতে আরও দাবি করা হয়েছে যে, মহিলা মানসিকভাবে সুস্থ ছিলেন না।