শনিবার, ২৭ এপ্রিল, ২০২৪

কোলে ছোট্ট সন্তান, ই-রিকশা চালিয়ে দিন গুজরান ‍‍`একলা‍‍` মা-র! দেখে চোখে জল নেটদুনিয়ার

মৌসুমী মোদক

প্রকাশিত: সেপ্টেম্বর ২৬, ২০২২, ০২:০০ পিএম | আপডেট: সেপ্টেম্বর ২৬, ২০২২, ০৮:০৪ পিএম

কোলে ছোট্ট সন্তান, ই-রিকশা চালিয়ে দিন গুজরান ‍‍`একলা‍‍` মা-র! দেখে চোখে জল নেটদুনিয়ার
কোলে ছোট্ট সন্তান, ই-রিকশা চালিয়ে দিন গুজরান ‍‍`একলা‍‍` মা-র! দেখে চোখে জল নেটদুনিয়ার

মাঝেমধ্যে সোশ্যাল মিডিয়ায় এমন সব কাহিনী ভাইরাল হয় যা আমাদের অনুপ্রেরণা যোগায়৷ এমন কিছু মানুষের কাহিনী তুলে ধরা হয়, যাঁরা হাজার প্রতিকূলতা সত্ত্বেও হাল ছাড়েননি। জীবনের প্রতি পদক্ষেপে নিয়ে চলেছেন চ্যালেঞ্জ। সেই সকল আমাদের ভাবাতে বাধ্য করে।

তেমনই এবার নেটমাধ্যমে উঠে নয়ডার ২৭ বছরের চঞ্চল শর্মার কাহিনী। যিনি আদতে এক ‍‍`সিঙ্গল মাদার‍‍`। আর জীবনযুদ্ধের লড়াইয়ে টিকে থাকার জন্য তিনি সম্বল করেছেন ই-রিকশাকে। নয়ডার রাস্তাঘাটে বিশেষ নজর কেড়েছেন তিনি। ই-রিকশা চালিয়েই সংসার টানেন চঞ্চল। শুধু তা-ই নয়, সঙ্গে থাকে তাঁর একরত্তি সন্তানও। এক বছরের শিশুকে তাঁর শরীরে বেঁধে ই-রিকশা চালিয়ে যাত্রীদের নিয়ে যান তিনি।

স্বামীর সঙ্গে বিবাহবিচ্ছেদ হয়েছে৷ তাঁর যে আর কেউ নেই। কারও কাছে সন্তানকে রেখে যাওয়ার উপায় নেই৷ ছোট্ট ছেলের জন্য ডে কেয়ার বা আয়ার ব্যবস্থা কথার মতো সামর্থ্যও চঞ্চলের নেই। । চঞ্চল তাঁর মায়ের সঙ্গে থাকেন বটে, কিন্তু চঞ্চল যখন রিকসা চালাতে বেরোন, সেই সময়ে তাঁর মা-ও সবজি বিক্রি করতে বসেন বাজারে। তা ছাড়া বোন থাকেন খানিক দূরে। খুব প্রয়োজনে কোনও অনুষ্ঠানে যেতে হলে তবেই বোনের সাহায্য নেন তিনি।

অগত্যা এক বছরের একরত্তিকে নিয়েই রোজগারে বেরোতে হয় তাঁকে। চঞ্চল যেখানে, তাঁর সন্তানও সেখানেই। তিনি প্রতিদিন ৬০০-৭০০ টাকা উপার্জন করেন। যার প্রায় অর্ধেকই ই-রিকশা কেনার জন্য নেওয়া ঋণ মেটাতে চলে যায়। কিন্তু নিজের সন্তানকে ভাল শিক্ষা দিতে তিনি বদ্ধপরিকর। তার জন্য যথাসম্ভব পরিশ্রম করেন তিনি। নয়ডার প্রবল দাবদাহের সময়েও ছেলে কোলে রিকশা চালিয়েছেন।

এই প্রসঙ্গে চঞ্চল একটি সাক্ষাৎকারে বলেন, "তখনও ছেলেকে নিয়ে রাস্তায় বেরোতে হয়েছিল। উপায় ছিল না। আমি গাড়ি চালাতাম আর ছেলে আমার কেঁদেই যেত সারাক্ষণ।" চঞ্চলের কথায় জানা যায়, যাত্রীরা তাঁর এই পরিশ্রম দেখে খুবই প্রশংসা করেন। তা ছাড়া মহিলা যাত্রীরা তাঁর গাড়িতে উঠতেই বেশি স্বাচ্ছন্দ বোধ করেন।