শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল, ২০২৪

পরীক্ষা দিতে যেতেই হবে! জীবন বাজি রেখে সাঁতরে নদী পার হলেন তরুণী, ভাইরাল ভিডিও

মৌসুমী মোদক

প্রকাশিত: সেপ্টেম্বর ১৩, ২০২২, ০২:০০ পিএম | আপডেট: সেপ্টেম্বর ১৩, ২০২২, ০৮:২১ পিএম

পরীক্ষা দিতে যেতেই হবে! জীবন বাজি রেখে সাঁতরে নদী পার হলেন তরুণী, ভাইরাল ভিডিও
পরীক্ষা দিতে যেতেই হবে! জীবন বাজি রেখে সাঁতরে নদী পার হলেন তরুণী, ভাইরাল ভিডিও

অদম্য ইচ্ছেশক্তি ও মানসিক দৃঢ়তা, এই দুইয়ের জেরে কী না হয়! ইচ্ছে থাকলে বহু বাধা বিপত্তি কাটিয়েও যে কোনও অসম্ভব কাজই করে ফেলা সম্ভব! ঠিক সেটাই এবার করে দেখালেন এক পড়ুয়া। আর সেই পড়ুয়ার দৃঢ়তা দেখে কুর্নিশ না জানিয়ে থাকতে পারেনি নেটদুনিয়া।

পরীক্ষা দিতে যেতেই হবে! কিন্তু তার জন্য পেরোতে হবে নদী। এদিকে প্রবল বর্ষায় ফুলেফেঁপে উঠেছে নদী। যা পার করলে তবেই পরীক্ষাকেন্দ্রে পৌঁছানো যাবে। এই অবস্থায় জীবনের ঝুঁকি নিয়ে সাঁতরে নদী পার করলেন এক তরুণী। তাঁকে সঙ্গ দিলেন দুই দাদা। আর তিন ভাই-বোনের নদী ডিঙোনোর এই ভিডিও এখন ভাইরাল সোশ্যাল মিডিয়ায়। পরীক্ষা দেওয়ার জন্য জীবন বাজি রেখে এভাবে নদী সাঁতরে পার হওয়ার ভিডিও দেখে হতবাক নেটদুনিয়া।

জানা গিয়েছে, ঘটনাটি অন্ধ্রপ্রদেশের ভিজিয়ানাগ্রাম জেলার। ওই তরুণীর নাম তড্ডি কলাবতী। একুশ বছরের কলাবতী মারিভালাসা গ্রামের বাসিন্দা। বিশাখাপত্তনমে একটি বেসরকারি সংস্থায় তিনি কাজ করেন। সম্প্রতি দু’দিনের ছুটি কাটাতে গ্রামের বাড়িতে আসেন কলাবতী। আর এসেই জানতে পারেন তাঁর পরীক্ষার দিন ঘোষণা হয়েছে। শুনেই সেই পরীক্ষা দেওয়ার জন্য তড়িঘড়ি বিশাখাপত্তনামে ফেরার তোড়জোড় শুরু করে দেন।

এদিকে প্রবল বৃষ্টির জেরে গ্রামের চম্পাবতী নদীর জলস্তর বেড়ে যাওয়ায় গোটা গ্রাম প্লাবিত হয়ে যায়। আর তার ফলে গ্রাম থেকে শহরে যাওয়ার রাস্তা সম্পূর্ণ বন্ধ হয়ে যায়। এই অবস্থায় কী করবেন কলাবতী! পরীক্ষা যে দিতে যেতেই হবে! তখন অন্য কোনও উপায় না দেখে এক দুঃসাহসিক বিকল্প ব্যবস্তা নেন দুই দাদা। সেই ব্যবস্থা ছিল জীবনকে বাজি রাখার! কারণ ওই ফুলে ওঠা নদী সাঁতরে পার করেই শহরে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নেন তিন ভাই-বোন।

এরপর আর কী! সিদ্ধান্ত মতো ভরা বর্ষায় জলে টইটম্বুর ওই নদী সাঁতরে পার হন কলাবতী। সঙ্গে বোনের সুরক্ষায় ছিলে দুই দাদাও। আর তিন ভাই-বোনের এইভাবে নদী সাঁতরে পার হওয়ার সেই ভিডিওই ভাইরাল হয়েছে নেটমাধ্যমে। ভিডিওটি দেখে স্বাভাবিকভাবেই চমকে গিয়েছে নেটদুনিয়া। কারোর কারোর আবার চোখে জল। তবে সকলেই কলাবতী ও তাঁর দুই দাদার সাহসিকতায় মুগ্ধ। তাঁদের এই অদম্য মানসিক দৃঢ়তাকে কুর্নিশ জানাচ্ছে গোটা নেটদুনিয়া।

অন্যদিকে, এই গোটা ঘটনায় প্রশাসনের ভূমিকা নিয়েও হাজারও প্রশ্ন উঠেছে। কেন প্রবল দুর্যোগের মধ্যে এমন ভাবে জীবনের ঝুঁকি নদী পারাপার করতে হবে গ্রামের বাসিন্দাদের? কেন নেই কোনও বিকল্প পথ? ইত্যাদি প্রশ্নের মুখে এখন সেই রাজ্যের প্রশাসন। উপযুক্ত জবাবদিহি চাইছেন নেটিজেনরা।