শনিবার, ২৭ এপ্রিল, ২০২৪

স্ত্রী-কে সঙ্গী করে এভারেস্ট দর্শনে ৭৮ বছরের বৃদ্ধ! বয়স্ক দম্পতির সাহস দেখে কুর্নিশ নেটদুনিয়ার

মৌসুমী মোদক

প্রকাশিত: ডিসেম্বর ১৯, ২০২২, ১০:০৫ পিএম | আপডেট: ডিসেম্বর ২০, ২০২২, ০৪:২৯ এএম

স্ত্রী-কে সঙ্গী করে এভারেস্ট দর্শনে ৭৮ বছরের বৃদ্ধ! বয়স্ক দম্পতির সাহস দেখে কুর্নিশ নেটদুনিয়ার
স্ত্রী-কে সঙ্গী করে এভারেস্ট দর্শনে ৭৮ বছরের বৃদ্ধ! বয়স্ক দম্পতির সাহস দেখে কুর্নিশ নেটদুনিয়ার

কথায় বলে, ইচ্ছা থাকলেই উপায় হয়। শখপূরণের পথে বয়স কখনও বাধা হয়ে দাঁড়াতে পারে না! ঠিক সেটাই এবার প্রমাণ করে দেখালেন এক বয়স্ক দম্পতি। বৃদ্ধের বয়স ৭৮, স্ত্রী-র বয়সও বিশেষ কম নয়। তবু এই বয়সেও তাঁদের এনার্জি দেখার মতো। যে বয়সে মানুষ সাধারণত জবুথবু হয়ে যান, সেই বয়সে স্ত্রী-র হাত ধরে এভারেস্ট দর্শন করে নিজের বহুদিনের শখ মেটালেন ওই বৃদ্ধ। সম্প্রতি সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল এই কাহিনী। যা অনুপ্রেরণা যোগাবে আপনাকেও।

এক পাইলটের সাহায্য়ে সমুদ্র স্তর থেকে ১৭ হাজার ফুট উচ্চতায় ওঠার সাহস দেখান ওই দম্পত্তি। সম্প্রতি অ্যান্ডি থাপা নামে একটি ইনস্টাগ্রাম অ্যাকাউন্ট থেকে ওই দম্পত্তির দুটি ভিডিয়ো ভাইরাল হয়েছে। ভিডিয়োতে দেখা গিয়েছে, বয়স্ক দম্পত্তি হেলিকপ্টার থেকে নেমে একেবারে সামনে থেকে শ্বেতশুভ্র এভারেস্ট দেখছেন। তাঁদের মধ্যে বয়স্ক ব্যক্তি স্ত্রীকে ধরে লাঠি নিয়ে হাঁটছেন। আর সেই দুর্লভ মুহুর্ত ক্যামেরাবন্দি করেছেন তাদের পাইলট অ্যান্ডি থাপা।

যদিও প্রবীণ-প্রবীণার পক্ষে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া খুব একটা সহজ ছিল না। এই প্রসঙ্গে অ্যান্ডি থাপা জানান যে বয়স্ক মহিলাই তাঁর স্বামীর বিষয়ে আশ্বাস দেন। সারা জীবনের স্বপ্ন পূরণের জন্য তাঁরা ঝুঁকি নিতেও রাজি ছিলেন বলে জানান পাইলট। ভিডিয়োর ক্যাপশনে অ্যান্ডি থাপা লিখেছেন, "এই সুন্দর দম্পতিকে শুভেচ্ছা .. এবং আপনারা দুজনেই আরও 100 বছর বেঁচে থাকুন.. স্মৃতি তৈরি করতে এবং পৃথিবীকে অনুপ্রাণিত করতে থাকুন।

গত অক্টোবর মাসে প্রথম ভিডিয়োটি শেয়ার করা হয়। তারপর থেকে এখনও পর্যন্ত ভিডিয়োতে প্রায় 2 লাখের বেশি লাইক পড়ে গিয়েছে। অন্যান্য নেটিজেনদের মতো ভিডিয়োতে বয়স্ক দম্পত্তির নাতি-নাতনিরাও প্রতিক্রিয়া জানিয়ে বলেন, "ওনাঁরা আমার দাদু-ঠাকুমা। উনি 78 বছর এবং এটি তাঁর সারা জীবনের স্বপ্ন ছিল..তবে শেষ স্বপ্ন নয়। তাদের সব স্বপ্ন যেন সত্যি হয়।"

আসলে পৃথিবীর আর পাঁচটা গন্তব্যস্থলের মতো চাইলেই সহজে মাউন্ট এভারেন্ট দেখতে চলে যাওয়া যায় না। তাই কারোর ক্ষেত্রে পৃথিবীর সর্বোচ্চ শিখরে যাওয়ার পথে বেস ক্যাম্পে পৌঁছানোও অনেক বড় ব্যাপার। আবার বিপদজ্জনক ট্রেকিং-এ যাওয়া সম্ভব হয় না বলে কিছু মানুষ আছেন যারা সারা জীবন এভারেস্টের ছবি এবং ভিডিয়ো দেখেই কাটিয়ে দেন। 

আবার এরই মধ্যে কিছু মানুষ আছেন যারা পৃথিবীর সর্বোচ্চ শিখর দেখার জন্য সর্বোতভাবে চেষ্টা করেন। এমনকী শরীর সঙ্গ না দিলেও মনের জোরেই কার্যত লক্ষ্যে পৌঁছাতে পিছবা হন অনেকে। যেমনটা করেছেন মহারাষ্ট্রের ওয়ি বয়স্ক দম্পত্তি। যাঁরা বয়সের তোয়াক্কা না করেই এভারেস্টকে কাছ থেকে দেখার স্বরপ্ন পূরণ করেন।