শনিবার, ০৪ মে, ২০২৪

পথেই হার্ট অ্যাটাক, সিপিআর দিয়ে ব্যক্তির প্রাণ বাঁচালেন মহিলা পুলিশকর্মী! কুর্নিশ নেটদুনিয়ার

মৌসুমী মোদক

প্রকাশিত: ডিসেম্বর ১৪, ২০২২, ০৫:৪৭ পিএম | আপডেট: ডিসেম্বর ১৪, ২০২২, ১১:৪৭ পিএম

পথেই হার্ট অ্যাটাক, সিপিআর দিয়ে ব্যক্তির প্রাণ বাঁচালেন মহিলা পুলিশকর্মী! কুর্নিশ নেটদুনিয়ার
পথেই হার্ট অ্যাটাক, সিপিআর দিয়ে ব্যক্তির প্রাণ বাঁচালেন মহিলা পুলিশকর্মী! কুর্নিশ নেটদুনিয়ার

পুলিশ মানুষের বন্ধু। যে কোনও বিপদে মানুষের পাশে এসে দাঁড়ানোই পুলিশের কাজ। তবে শুধু সামাজিক বা প্রশাসনিক কাজকর্মই নয়, সাধারণ মানুষের ব্যক্তিগত জীবনেও যে কোনও প্রয়োজন বা বিপদে-আপদে সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিতে দেখা গিয়েছে এই দেশের প্রশাসন বাহিনীকে। এবারও ফের দেখা গেল তেমনই এক দৃশ্য। এক মহিলা পুলিশকর্মীর তৎপরতা এবং বুদ্ধিমত্তায় প্রাণে বাঁচলেন এক বৃদ্ধ।

গোয়ালিয়র পুলিশের মহিলা সাব-ইন্সপেক্টর সোনম পরাশর এক বৃদ্ধের জীবন বাঁচালেন। রাস্তাতেই হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে অজ্ঞান হয়ে পড়েন এক বৃদ্ধ। এসআই সোনম খবর পেয়ে ছুটে আসেন। বৃদ্ধকে সিপিআর দেন। (সিপিআর কার্ডিও পালমোনারি রিসাসিটেশন) জীবন রক্ষা করেন বৃদ্ধের। ডিউটি করাকালীন এক পথচারী তাকে জানান, পাশেই এক বৃদ্ধ অজ্ঞান হয়ে পড়ে আছেন। সোনম সঙ্গে সঙ্গে দৌড়ে বৃদ্ধের কাছে গিয়ে দেখেন তিনি অজ্ঞান অবস্থায় পড়ে রয়েছেন। প্রথম দেখাতেই পুলিশ কর্মী বুঝে নেন বৃদ্ধের হার্ট অ্যাটাক হয়েছে।

দেরি না করে সোনম সেই ব্যক্তিকে সিপিআর (কার্ডিও পালমোনারি রিসাসিটেশন) দেওয়া শুরু করেন। বৃদ্ধের বুকে পাম্প করলেন সোনম। ধীরে ধীরে তার হৃৎপিণ্ড স্পন্দিত হতে থাকে। সোনম অবিলম্বে অ্যাম্বুলেন্স কল করেন এবং বৃদ্ধকে একটি বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি করে্ন। এখন তার অবস্থা স্থিতিশীল বলেই জানিয়েছেন চিকিৎসকরা।

সোনম জানান, ডিউটিতে থাকাকালীন জরুরি অবস্থায় জীবন বাঁচাতে পুলিশকর্মীদের সিপিআর সহ অনেক ট্রেনিং দেওয়া হয়। সিপিআরে হার্ট অ্যাটাকের সময় পাম্পিং করে আক্রান্তকে বাঁচানো যায়। আজ আমি সেটাই করলাম। একজনের জীবন বাঁচিয়ে সে তৃপ্তি তার চেয়ে বড় কিছুই হতে পারেনা।

জানা গিয়েছে ওই বৃদ্ধের নাম অনিল উপাধ্যায়, তিনি গোলার মন্দির এলাকায় থাকেন। তার পরিবার দিল্লিতে থাকে। পুলিশ পরিবারকে খবর দিয়েছে।  আর এই কাহিনী এখন ভাইরাল সোশ্যাল মিডিয়ায়। মহিলা পুলিশ কর্মীকে তার এই মহান কাজের জন্য কুর্নিশ জানিয়েছেন সকলেই।

এই কর্মকাণ্ডের কাহিনী ছড়িয়ে পড়তেই তাঁর উদ্যোগকে সাধুবাদ জানিয়েছেন সহকর্মীরা। নেটদুনিয়ার মানুষও তাঁর প্রশংসায় পঞ্চমুখ। সোনমের এমন মানবতা বোধ দেখে অজস্র মানুষ স্যালুটও ঠুঁকেছেন তাঁকে৷ এমন কাজকে সকলেই কুর্নিশ জানিয়েছেন।