বৃহস্পতিবার, ০২ মে, ২০২৪

প্রথম লটারি কেটেই কোটিপতি হুগলির ‍‍`মা তারা-ভক্ত‍‍` সাধক! এই বড় কাজে ব্যয় করছেন টাকা

মৌসুমী মোদক

প্রকাশিত: সেপ্টেম্বর ২, ২০২২, ১০:৫৩ পিএম | আপডেট: সেপ্টেম্বর ৩, ২০২২, ০৪:৫৩ এএম

প্রথম লটারি কেটেই কোটিপতি হুগলির ‍‍`মা তারা-ভক্ত‍‍` সাধক! এই বড় কাজে ব্যয় করছেন টাকা
প্রথম লটারি কেটেই কোটিপতি হুগলির ‍‍`মা তারা-ভক্ত‍‍` সাধক! এই বড় কাজে ব্যয় করছেন টাকা

ভাগ্যের চাকা যে কখন কার কিভাবে ঘুরে যায় তা কেউ বলতে পারে না। এমনটাই ঘটেছে গুড়াপ পঞ্চায়েতের তেলাকনা এলাকার বাসিন্দা মা তারার সাধক কলেজ ইস্কুর সঙ্গে। নেহাতই ঝোঁকের বশেই লটারির টিকিট কিনেছিলেন তিনি। আর তারপরেই কেল্লাফতে!  রাতারাতি তিনি হয়ে উঠলেন কোটিপতি। আর পুরস্কার মূল্যের অর্থ তিনি খরচ করলেন ‍‍`বড়‍‍` কাজে!

নিজের জন্য কিছু তৈরি না করে মায়ের মন্দির ও আশ্রম তৈরি করছেন ওই সাধক। এমন ঘটনায় তাজ্জব স্থানীয় বাসিন্দারা। হুগলির গুড়াপ পঞ্চায়েতের এক হতদরিদ্র সাধক হলেন কলেজ ইস্কু। বীরপুরের নিজের বাড়িতে ছোট থেকেই তারা মায়ের সাধনা করতেন তিনি। কাজবাজ ও সংসার চালানোর জন্য মাঠে চাষের কাজ করতেন। চাষের কাজের পর অবসর সময় তার কাটতো মায়ের আরাধনায়। স্থানীয় বাসিন্দারা তাঁকে সাধক বলে জানলেও পেটের টানে এবং দারিদ্রতার মুখোমুখি হয়ে চাষের কাজও করতেন তিনি। যদিও, বাকি সময়টায় চলত মায়ের আরাধনা।

তার অনেক দিনের ইচ্ছা ছিল তারা মায়ের জন্য একটি মন্দির বানাবেন। কিন্তু যেখানে দারিদ্রতা দুবেলা অন্য যোগান দিতে হিমশিম খায় সেখানে আকাশ ছোঁয়া মন্দির বানানো শুধুমাত্র স্বপ্নই ছিল। কিন্তু সেই স্বপ্ন বাস্তবায়িত করলেন তিনি নিজেই। , হঠাৎ করেই তিনি একদিন লটারির টিকিট কাটেন। আর সেখানেই সরাসরি প্রথম পুরস্কার অর্থাৎ এক কোটি টাকা জিতে যান কলেজ কিস্কু। পাশাপাশি, লটারি কেটে কোটিপতি হওয়ার কথা সাধক নিজেই জানান স্থানীয় বাসিন্দাদের। আপাতত সেই টাকা দিয়েই মায়ের মন্দির এবং একটি আশ্রম বানিয়ে নিজের স্বপ্নপূরণে ব্রতী হয়েছেন তিনি।

স্থানীয় সূত্রে খবর, সাধক নিজের বাড়িতে তারা মায়ের পূজা করেন। পুজোর বিশেষ পার্বণে স্থানীয় মানুষদের নিমন্ত্রণ থাকত সাধকের বাড়িতে। স্থানীয় মানুষ জানান, তারা দেখেছেন কীভাবে প্রতিদিন চাষবাসের কাজ করেও তারা মায়ের পূজার পার্বনগুলি নিষ্ঠা ভাবে পালন করতেন তিনি। তিনি তার অল্প সামর্থের মধ্যেই যতটা সম্ভব করে পাড়া-প্রতিবেশী স্থানীয় মানুষদের ভোগ ও বিতরণ করতেন।

স্থানীয়রা সাধকের মুখেই জানতে পারেন লটারিতে এক কোটি টাকা পেয়েছেন তিনি। তারপরের দিন থেকেই সাধকের বাড়িতে শুরু হয় মন্দির তৈরির কাজ। জানা গিয়েছে, লটারির প্রথম পুরস্কার হাতে পাওয়ার পরের দিন থেকেই আর অপেক্ষা না করে নিজের বাড়িতে মন্দির তৈরির কাজ শুরু করে দেন ওই সাধক। পাশাপাশি, মন্দিরের পাশে দূর-দূরান্ত থেকে আগত পুণ্যার্থীদের জন্য একটি থাকার আশ্রমও তৈরি করছেন তিনি। আপাতত জোরকদমে চলছে সেই কাজ। স্থানীয় মানুষরা আরও জানান, তারা খুবই খুশি এই মন্দির তৈরি হচ্ছে বলে। মন্দির হলে স্থানীয় মানুষরাও পূজা-পার্বণে মন্দিরে আসতে পারবেন।