সোমবার, ২৯ এপ্রিল, ২০২৪

ঘরে এসেছে ‍‍`লক্ষ্মী‍‍`! মেয়ে হওয়ার খুশিতে ফুচকা বিলি করে গর্বের মুহূর্ত পালন, বিক্রেতাকে কুর্নিশ নেটদুনিয়ার

মৌসুমী মোদক

প্রকাশিত: নভেম্বর ২৫, ২০২২, ০৫:৪৭ পিএম | আপডেট: নভেম্বর ২৫, ২০২২, ১১:৪৭ পিএম

ঘরে এসেছে ‍‍`লক্ষ্মী‍‍`! মেয়ে হওয়ার খুশিতে ফুচকা বিলি করে গর্বের মুহূর্ত পালন, বিক্রেতাকে কুর্নিশ নেটদুনিয়ার
ঘরে এসেছে ‍‍`লক্ষ্মী‍‍`! মেয়ে হওয়ার খুশিতে ফুচকা বিলি করে গর্বের মুহূর্ত পালন, বিক্রেতাকে কুর্নিশ নেটদুনিয়ার / প্রতীকী ছবি

মেয়ে হয়েছে। এই আনন্দে জনসাধারণকে ফ্রি-তে ফুচকা বিলি করলেন মধ্যপ্রদেশের এক ফুচকা বিক্রেতা। পাশাপাশি সমাজের উদ্দেশ্যে তাঁর বার্তা, ‍‍`বেটি হ্যায়, কাল হ্যায়!‍‍` অর্থাৎ মেয়ে হয়েছে তাই ভবিষ্যৎ গড়াও সম্ভব। এই খবর চাউর হতেই ফুচকা বিক্রেতার প্রশংসায় পঞ্চমুখ নেটিজেনরা। তাঁর এই উদ্যোগকে সাধুবাদও জানিয়েছেন প্রত্যেকে।

দীর্ঘ ১০ বছর পরে ঘরে কন্যাসন্তান হওয়ায় খুশিতে আত্মহারা ফুচকা বিক্রেতা সঞ্জিত চন্দ্রবংশী! কন্যাসন্তান হওয়ার খুশিতে ৪ হাজার ফুচকা বিলি করেন তিনি। নেটিজেনরা সঞ্জিতের এমন উদ্যোগকে কুর্নিশ জানিয়েছেন। পাশাপাশি তার এই কাহিনী এখন ভাইরাল। জানা গিয়েছে কন্যা সন্তান হওয়ার খুশিতে তার স্টলের দাঁড়ানো ব্যক্তিদের বিনামূল্যে ৪ হাজার ফুচকা খাওয়ান তিনি। 

সঞ্জিতরা তিন ভাই, সকলেরই বিয়ের পর পুত্র সন্তান হয়। মঙ্গলবার সঞ্জিতের ঘরে একটি কন্যা সন্তানের জন্ম হয়, বুধবার বাড়িতে ‘লক্ষ্মী’র আগমনের খুশিতে ৪ হাজারের বেশি ফুচকা বিনামূল্যে বিতরণ করেন তিনি। সঞ্জিত বলেন, তাঁর ঘরে কন্যাসন্তানের জন্মের খবর পাওয়া মাত্রই তাঁর আনন্দ ‘সপ্তমে’ পৌঁছায়। ওই মুহূর্তে তিনি শহরের মানুষজনদের বিনামূল্যে ফুচকা খাওয়ানোর কথা ভাবেন। 

সঞ্জিতের কথায় ‘১০ বছর পর, আমাদের ঘরে শিশুকন্যা হওয়ায় আমি আমার স্টলে দাঁড়ানো সকলকে ফুচকা খাইয়ে এই খুশি ভাগ করে নিয়েছি। এটা আমাদের পরিবারের জন্য গর্বের মুহূর্ত’। সঞ্জিত আরও বলেন, ‘এখনকার সমাজে মেয়েদের অনেকক্ষেত্রেই ‘পণ্য’ বলে ভাবা হয়। অনেক পরিবার কন্যা সন্তান হওয়ায় স্ত্রী’কে নির্যাতন করেন। আমি বলতে চাই, কন্যাসন্তান সকলের জন্য আর্শীবাদ। এমন খুশির মুহূর্তকে সকলেই উপভোগ করুন। সঞ্জিত প্রতিদিন প্রায় ২ হাজার ফুচকা বিক্রি করেন। কিন্তু একটি কন্যা সন্তানের আনন্দে তিনি বিনামূল্যে ৪ হাজার ফুচকা মানুষকে খাওয়ান।

তাঁর এই উদ্যোগের প্রশংসায় পঞ্চমুখ ফুচকা খেতে আসা সকল মানুষ। কন্যা সন্তানের জন্য অভিনন্দন এবং শুভেচ্ছাও জানিয়েছেন সকলে। ফুচকা খেয়ে এক ব্যক্তি বলেন যে তিনি সঞ্জিতের এই উদ্যোগে খুব খুশি, এই উদ্যোগটি তাদের সকলের জন্য একটি শিক্ষা। প্রসঙ্গত, এ কথা বলা যেতেই পারে, সমাজে পুরুষ এবং নারীর মধ্যে বৈষম্যমুলক আচরণের বিরুদ্ধে এই ফুচকা বিক্রেতার এই উদ্যোগ যেন নয়া এক নজির গড়ে তুলল।