`হাল ছেড়ো না`! ছোটবেলা থেকে আমরা সকলে প্রায় এই কথাটাই শুনে আসছি৷ লড়াই যতই কঠিন হোক, হাল ছাড়া চলবে না। কঠোর অধ্যবসায়ে একদিন না একদিন ঠিক সাফল্য এসে ধরা দেবে হাতের মুঠোয়৷ ঠিক যেমনটা ঘটেছে বিহারের সম্প্রীতি যাদবের ক্ষেত্রে৷ চাকরিযুদ্ধে বারবার ব্যর্থ হয়েও হাল ছাড়েননি তিনি। আর কঠিন লড়াইয়ের পর অবশেষে মিলেছে বড় সাফল্য।
একসময় চাকরির পরীক্ষায় বারবার ব্যর্থ হয়েছেন। আর আজ সেই সম্প্রীতিই পেয়েছেন নিজের স্বপ্নের গুগলে চাকরি। তাঁর বার্ষিক বেতন এখন ১ কোটি ১০ লক্ষ টাকারও বেশি। কীভাবে এই অসম্ভবকে সম্ভব করলেন সম্প্রীতি? ২০২১ সালে দিল্লি টেকনিক্যাল ইউনিভার্সিটি বি টেক স্নাতক উত্তীর্ণ হওয়ার পর, তিনি কমপক্ষে ৫৫টি চাকরির ইন্টারভিউতে ব্যর্থ হন। তবুও তিনি লড়াই চালিয়ে গিয়েছেন।
সম্প্রীতির বাবা স্টেট ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়ার একজন কর্মচারী। তাঁর মা বিহার পরিকল্পনা ও উন্নয়ন বিভাগের সহকারী পরিচালক। সম্প্রীতি জানিয়েছেন, ছোটবেলা থেকেই কাজের ক্ষেত্রে মা-বাবার সততার দ্বারা অনুপ্রাণিত হয়েছিলেন। প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষার প্রস্তুতিতে মায়ের কঠোর পরিশ্রমকে প্রত্যক্ষ করে এগিয়ে গিয়েছেন। একবার ব্যর্থ হওয়ার পর পরেরবার সফলতা আসবে এই ভেবে কঠোর পরিশ্রম করেছেন। আর এই কঠোর পরিশ্রমের ফলস্বরূপই বারবার ব্যর্থতার পরও গুগলে চাকরি পেতে সক্ষম হয়েছেন সম্প্রীতি।
গুগলে চাকরি পেতে তাঁকে নয় রাউন্ডের সাক্ষাৎকার পাশ করতে হয়েছিল। সম্প্রীতি জানান, “অনেক সময় ইন্টারভিউ দিতে গিয়ে খুব নার্ভাস লাগত। তবে হাল ছাড়িনি। মন শক্ত রেখেছি৷ একইসঙ্গে পরিবার এবং বন্ধুবান্ধবদের পাশে পেয়েছি। তাদের ভরসা পেয়েই নার্ভাসনেস কাটিয়ে আত্মবিশ্বাসের সঙ্গে প্রতিটি ইন্টারভিউ দিতে পেরেছি।”
পাশাপাশি তিনি এও জানান, "যে কোনও সফটওয়্যার ইঞ্জিনিয়ারের কাছেই গুগলের চাকরি যেন স্বপ্নের মতো। কারণ বিশ্বের সেরা টেক-ফার্ম গুগল। আমি দীর্ঘদিন ধরে বড় কোম্পানি নিয়ে পড়াশোনা করছি। গুগলের মতো একটি কোম্পানির লন্ডন অফিসে কাজ করার সুযোগ পেয়ে আমি খুবই আনন্দিত।" সম্প্রীতি যেন আমাদের শেখালেন, বারংবার ব্যর্থতার পরও হাল না ছেড়ে কীভাবে সফল হওয়া যায়। আগামী প্রজন্মের কাছে সম্প্রীতি যেন এক অনুপ্রেরণা। তাঁর সংকল্প সকলকে মুগ্ধ করে।
আপনার মতামত লিখুন :