সোমবার, ২৯ এপ্রিল, ২০২৪

চলন্ত ট্রেনের সামনে রিল বানানোর শখ! ট্রেনের ধাক্কায় যেতে বসেছিল প্রাণ, হাসপাতালে কিশোর

মৌসুমী মোদক

প্রকাশিত: সেপ্টেম্বর ৫, ২০২২, ১১:১১ পিএম | আপডেট: সেপ্টেম্বর ৬, ২০২২, ০৫:১১ এএম

চলন্ত ট্রেনের সামনে রিল বানানোর শখ! ট্রেনের ধাক্কায় যেতে বসেছিল প্রাণ, হাসপাতালে কিশোর
চলন্ত ট্রেনের সামনে রিল বানানোর শখ! ট্রেনের ধাক্কায় যেতে বসেছিল প্রাণ, হাসপাতালে কিশোর

আজকাল সোশ্যাল মিডিয়ার যুগ। আর এই সময়ে  কিছু মানুষের জীবনের একমাত্র লক্ষ্য সোশ্যাল মিডিয়ার ভাইরাল হওয়া। সামাজিক মাধ্যমে জনপ্রিয়তা পেতে নিজের জীবন বাজি রাখতেও পিছপা হন না তাঁরা। ভাইরাল হওয়ার জন্য আজকাল মানুষ কত কিছুই না করে বসেন! নিজের জীবন বাজি রেখে স্টান্ট ভিডিও বানাতেও দু’বার ভাবেন না আজকের যুব সমাজ। তবে তবে সম্প্রতি এক যুবক যা করেছেন, তা রীতিমতো শোরগোল ফেলে দিয়েছে নেটমাধ্যমে। ঘটনাটি দেখে আতঙ্কিত হয়ে পড়েছেন নেটিজেনরা।

 ইচ্ছা ছিল, চলন্ত ট্রেনকে পিছনে  রেখে  অন্য ধরনের রিল বানাবে। আর তা করতে গিয়েই ট্রেনের ধাক্কায় গুরুতর আহত হল তেলঙ্গানার এক কিশোর। রেল লাইনের ধারে স্টান্ট ভিডিও শ্যুট করতে গিয়েই এমন পরিণতি হল কিশোরের। ভিডিও শ্যুট করে তা সোশ্যাল মিডিয়ায় আপলোড করে নেটিজেনদের চমকে দেওয়াই ছিল তার উদ্দেশ্য। কিন্তু তা আর পূর্ণ হল না। তার আগেই ট্রেনের ধাক্কায় গুরুতর জখম হল ছেলেটি। 

 চলন্ত ট্রেনকে পিছনে রেখেই রিল বানাতে চেয়েছিল একাদশ শ্রেণীর ওই ছাত্র। তাই জীবনের তোয়াক্কা না করেই রেললাইন ধরে হাঁটছিল। তবে শেষ পর্যন্ত রিল তো বানানো হলই না, উল্টে প্রাণই হারাতে বসেছিল সে। 

ভিডিও বানানোর সময়েই আচমকা পিছনে চলে আসে ট্রেন। আর ট্রেনের ধাক্কায় রেললাইনেই বেশ খানিকটা দূরে ছিটকে পড়ে কিশোর। সেই মুহূর্তে তা দেখতে পান এক রেলকর্মী। কিশোরটিকে রেললাইনে অচেতন অবস্থায় পড়ে থাকতে দেখে সময় নষ্ট না করে অ্যাম্বুল্যান্স ডাকেন তিনি। তারপর তাকে নিকটবর্তী হাসপাতালে নিয়ে যান। বর্তমানে ছেলেটি হাসপাতালেই চিকিৎসাধীন। তার অবস্থা বেশ সঙ্কটজনক বলে জানা গিয়েছে।

প্রসঙ্গত, ইন্টারনেটে বিখ্যাত হওয়ার জন্য দিনের পর দিন এই জাতীয় বিপজ্জনক ক্রিয়াকলাপ বেড়েই চলেছে। প্রায়ই কিছু না কিছু ভয়ঙ্কর স্টান্ট দেখিয়ে বিখ্যাত হতে চাইছেন কিশোর থেকে যুবক কিছু মানুষ। কিন্তু তা অত্যন্ত বিপজ্জনক। এর ফলে ঘটছে নানা দুর্ঘটনা বা মৃত্যুও। তাই এই ধরনের স্টান্ট করা থেকে বারবার বিরত থাকার অনুরোধ করা হয় সাধারণ মানুষকে। কিন্তু কে শোনে কার কথা! ফলে, বিপদ ঘটতেও বিশেষ সময় নেয় না।