শুক্রবার, ১৭ মে, ২০২৪

বর্ধমানের পর হাওড়া! ঘুসুড়িতে মদ্যপানের পরই ৬ জনের রহস্যমৃত্যু, অসুস্থ আরও অনেকে

আত্রেয়ী সেন

প্রকাশিত: জুলাই ২০, ২০২২, ১১:০০ এএম | আপডেট: জুলাই ২০, ২০২২, ০৫:১১ পিএম

বর্ধমানের পর হাওড়া! ঘুসুড়িতে মদ্যপানের পরই ৬ জনের রহস্যমৃত্যু, অসুস্থ আরও অনেকে
বর্ধমানের পর হাওড়া! ঘুসুড়িতে মদ্যপানের পরই ৬ জনের রহস্যমৃত্যু, অসুস্থ আরও অনেকে / প্রতীকী ছবি

বংনিউজ২৪x৭ ডিজিটাল ডেস্কঃ রাজ্যে ফের মদ্যপানে মৃত্যুর ঘটনা ঘটল। বর্ধমানের পর এবার হাওড়া জেলা। হাওড়ার ঘুসুড়িতে মদ খাওয়ার পরেই রহস্যজনকভাবে ৬ জনের মৃত্যু হয়েছে। পাশাপাশি অসুস্থ আরও অনেকেই। এদিকে, এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে এলাকায়।

জানা গিয়েছে, হাওড়ার ঘুসুড়ির মালিপাঁচঘড়া থানার এলাকায় অনেকদিন ধরেই মদের ঠেক চালাচ্ছেন এক ব্যক্তি। এই এলাকায় বেশ কয়েকটি কারখানা রয়েছে। ঘুসুড়ির মালিপাঁচঘড়া থানার এলাকায় রেললাইনের পিছনে প্রতিদিনই মদের ঠেক বসে। সন্ধের পর থেকে প্রতিদিনই সেখানে জমায়েত হয় এলাকার বহু শ্রমিকের। মঙ্গলবারও তার ব্যতিক্রম হয়নি। স্থানীয়দের পক্ষ থেকে দাবি করা হচ্ছে যে, গতকাল সন্ধের সময় ওই ঠেকে মদ খাওয়ার পরেই বেশ কয়েকজন অসুস্থ হয়ে পড়েন। সময় বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে তাঁদের অবস্থার অবনতি হতে শুরু করে। ক্রমশ বাড়তে শুরু করে অসুস্থের সংখ্যা। 

জানা গিয়েছে, রাতেই অসুস্থদের হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। এরপর ভোরের দিকে ৬ জনের মৃত্যু হয়। এখনও হাসপাতালে মদ খেয়ে অসুস্থ হয়ে ২০ জন ভরতি রয়েছে। মৃতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলেই আশঙ্কা করা হচ্ছে। মৃতদেহগুলি ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে। ময়নাতদন্তের রিপোর্ট এলেই মৃত্যুর কারণ সম্পর্কে নিশ্চিত হওয়া যাবে বলেই মনে করা হচ্ছে। 

এদিকে, এই ঘটনার পর উত্তপ্ত হয়ে উঠেছে মালিপাঁচঘড়া এলাকায়। বুধবার সকালে মৃত এবং অসুস্থ ব্যক্তিরা যে দোকান থেকে মদ কিনেছিলেন, সেখানে জড়ো হয় এলাকার উত্তেজিত জনতা। ব্যাপক ভাঙচুর চালানো হয়। তাঁদের পক্ষ থেকে অভিযোগ করা হয়েছে যে, মদে বিষক্রিয়ার জেরেই মৃত্যু হয়েছে ওই ৬ জনের। যদিও মদ থেকেই বিষক্রিয়া এবং মৃত্যুর ঘটনা ঘটেছে, এই বিষয়টি এখনও নিশ্চিত নয়। ইতিমধ্যেই গ্রেফতার করা হয়েছে মদ বিক্রেতা প্রতাপ কর্মকারকে। 

এদিকে, পুলিশের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে যে, গতকাল রাত থেকে যে ৬ জনের মৃত্যু হয়েছে, তাঁরা প্রত্যেকেই একই মদের ঠেক থেকে মদ খেয়েছিলেন। কাজেই মদের কারণেই এই ঘটনা বলে প্রাথমিকভাবে পুলিশের অনুমান। যদিও বিষয়টি এখনও নিশ্চিত নয়। ইতিমধ্যেই শুরু হয়েছে তদন্ত। মদের দোকানটিকে বন্ধ করে দিয়েছে পুলিশ। বর্ধমানের পর হাওড়ায় এই ঘটনা ঘটায় রাজ্য সরকারকে কাঠগড়ায় তুলেছেন বাম নেতা সুজন চক্রবর্তী। পাশাপাশি পুলিশের ভূমিকা নিয়েও উঠছে প্রশ্ন।