মঙ্গলবার, ৩০ এপ্রিল, ২০২৪

বাড়ল উদ্বেগ! এবার করোনার নয়া ভ্যারিয়েন্টের খোঁজ মিলল রাজ্যের এই জেলায়, আক্রান্ত ৪

মৌসুমী

প্রকাশিত: জানুয়ারি ৪, ২০২৩, ০৮:০৭ পিএম | আপডেট: জানুয়ারি ৫, ২০২৩, ০২:০৭ এএম

বাড়ল উদ্বেগ! এবার করোনার নয়া ভ্যারিয়েন্টের খোঁজ মিলল রাজ্যের এই জেলায়, আক্রান্ত ৪
বাড়ল উদ্বেগ! এবার করোনার নয়া ভ্যারিয়েন্টের খোঁজ মিলল রাজ্যের এই জেলায়, আক্রান্ত ৪

গত বছরের শেষ থেকেই ফের নতুন ভাবে উদ্বেগ বাড়াচ্ছে করোনা। এবার চীনের অতি সংক্রামক ভ্যারিয়েন্ট BF.7 আক্রান্তের খোঁজ মিললো পশ্চিমবঙ্গে। এই নয়া প্রজাতিতে আক্রান্ত হয়েছেন নদীয়ার চার বাসিন্দা।

জানা গিয়েছে, গত বছর ডিসেম্বরের একেবারে গোড়ায় নদিয়ার একই পরিবারের তিন জন এবং মাঝামাঝি সময়ে একজন করোনায় আক্রান্ত হন। তাঁদের মধ্যে একজন কলকাতায় বসবাসকারী। আদতে তিনি বিহারের বাসিন্দা। তাঁর সংস্পর্শে আসেন ২২ জন। এদিকে ওই তিনজনের সংস্পর্শে এসেছিলেন মোট ৩৩ জন। সংক্রমিত এবং সংক্রমিতদের সংস্পর্শে আসা প্রত্যেকেই বর্তমানে সুস্থ রয়েছেন।তাঁদের সামান্য সর্দি কাশি হয়েছিল। এরপরেই তাঁরা কোভিড পরীক্ষা করান। সেখানেই জানা যায় তাঁরা কোভিড পজিটিভ। এরপর জিনোম সিকোয়েন্সিংয়ে জানা যায়, তাঁদের দেহে থাবা বসিয়েছে করোনার BF.7 ভ্যারিয়্যান্ট।

যদিও এখনই এই নিয়ে উদ্বেগের কারণ নেই বলে জানাচ্ছেন বিশেষজ্ঞরা। এই প্রজাতির মারণ ক্ষমতা কম বলেই মত তাদের। রাজ্যের প্রতিটি হাসপাতালকে পরিকাঠামো উন্নয়নে জোর দিতে বলা হয়েছে। করোনা রোগীর চিকিৎসার প্রয়োজনীয় ব্যবস্থাপনা মজুত রাখার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। এদিকে অবশ্য জানা গিয়েছে, এই ভ্যারিয়্যান্ট অন্যান্য ভ্যারিয়্যান্টের থেকে সংক্রামক বলেই জানাচ্ছিলেন বিশেষজ্ঞদের একাংশ। চিনের কোভিড পরিস্থিতি সামনে আসার পর ভারতেও উদ্বেগ বাড়ছিল। এই ভ্যারিয়্যান্টের আর ভ্যালু ১০ থেকে ১৮.৬। অর্থাৎ একজন আক্রান্ত ১৮ থেকে ১৯ জনকে সংক্রামিত করতে পারে।

প্রসঙ্গত, কিছুদিন আগেই  কলকাতা বিমান বন্দরে হদিশ মিলেছিল কোভিড পজিটিভ এক মহিলার। তিনি বিদেশ থেকে ফিরেছিলেন। ওই মহিলাকে বেলেঘাটা হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়েছিল। কুয়ালালামপুর থেকে বুদ্ধগয়া যাচ্ছিলেন ওই মহিলা। মাঝে কলকাতায় নেমে বিমান পরিবর্তন করার কথা ছিল তার। এরমধ্যেই কলকাতা বিমানবন্দরের রেপিড টেস্ট করতেই ধরা পড়ে কোভিড পজিটিভ তিনি। এরপর তড়িঘড়ি তাকে ভর্তি করানো হয়, বেলেঘাটা আইডি হাসপাতালে।

এদিকে কোভিড রিপোর্ট পজিটিভ আসতেই বিমানবন্দরে সকলের মধ্যে আতঙ্ক ছড়ায়। এরপর বিমানবন্দরে থাকা স্বাস্থ্য দফতরের আধিকারিকরা ওই মহিলার শারীরিক পরীক্ষা-নিরীক্ষা করেন এবং পুনরায় কোভিড টেস্ট করা হয়। সেই রিপোর্টও পজিটিভ আসে। এরপরই অন্যান্য যাত্রীদের থেকে ওই মহিলাকে আলাদা করা হয় এবং কিছুক্ষণের মধ্যেই বেলেঘাটা হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়।

বিমানবন্দর সূত্রে খবর, ওই মহিলার সঙ্গে যে সমস্ত পার্শ্ববর্তী যাত্রীরা ছিলেন তাদেরও করোনা পরীক্ষা করা হয়েছে। তবে তাদের সকলের রিপোর্ট নেগেটিভ এসেছে। কারো শরীরে কোন উপসর্গ মেলেনি। যদিও ঝুকি এড়াতে সকলকেই পর্যবেক্ষণে রাখা হয়েছিল।